ফেনীর হাসানপুর বাঁকে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা, বাড়ছে মৃত্যু



মোস্তাফিজ মুরাদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
আনন্দপুরের হাসানপুর এলাকায় ইংরেজি ‘এস’ আকৃতির বাঁক

আনন্দপুরের হাসানপুর এলাকায় ইংরেজি ‘এস’ আকৃতির বাঁক

  • Font increase
  • Font Decrease

ফেনী-পরশুরাম আঞ্চলিক সড়কে ২৬ কিলোমিটার ছোট-বড় ২০টি ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক রয়েছে। এরমধ্যে ফুলগাজীর আনন্দপুরের হাসানপুর এলাকায় ইংরেজি ‘এস’ আকৃতির বাঁকটি সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ও দুর্ঘটনাপ্রবণ।

এ স্থানে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটায় গত বছর সড়কটি প্রশস্ত করে ফেনী সড়ক বিভাগ। কিন্তু স্থানীয়দের অভিযোগ, সড়ক প্রশস্ত করা হলেও অদক্ষ ও অপ্রাপ্তবয়স্ক সিএনজি অটোরিকশা চালকের বেপরোয়া গতির কারণে এ স্থানে দুর্ঘটনা ও হতাহতের সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) রাতে ফুলগাজী থেকে ফেনীমুখী একটি যাত্রীবাহী সিএনজি অটোরিকশার সঙ্গে একটি স্ক্যাভেটর বহনকারী লরির মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এতে সিএনজির যাত্রী এক সবজি ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, নিহত ওই ব্যবসায়ী ফেনী শহরতলীর লালপোল সিলোনীয়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি দাউদপুর সবজি আড়তে ব্যবসা করতেন। বকেয়া টাকা আদায় করে ফেনী ফেরার পথে হাসানপুর মোড়ে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান তিনি।

শুধু ওই ব্যবসায়ী নন। এ স্থানটিতে সড়ক দুর্ঘটনায় আরও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন চালক কিংবা যাত্রীরা।

বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুয়ায়ী, এ বাঁকে ২০১৮ সালের ২ সেপ্টেম্বর ছাগলনাইয়া উপজেলায় কর্মরত খাদ্য কর্মকর্তা মুন্সীরহাটের বাসিন্দা মো. রাসেল চৌধুরী ফেনী যাওয়ার পথে ওই মোড়ে দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হন। কয়েকদিন রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর মারা যান সরকারি ওই কর্মকর্তা।

একই স্থানে স্থানটিতে ২০১৯ সালের ২৮ এপ্রিল সকালে ঢাকা যাওয়ার পথে দক্ষিণ আনন্দপুরের বাসিন্দা খোরশেদ আলম (৪৫) সিএনজি দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে নিহত হন। একই সময়ে পরশুরামের বাউরপাথর এলাকার বাসিন্দা হতদরিদ্র সিএনজি চালক ছালেহ আহমদ (৩১) দুর্ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় চট্টগ্রামে মারা যান।

এছাড়াও বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে ফেনী অভিমুখী একটি যাত্রীবাহী সিএনজি আনন্দপুর বাজারের দক্ষিণে স'মিলের কাছাকাছি পৌছঁলে সড়কের পাশে একটি গাছ সিএনজির ওপরে ভেঙে পড়ে। এসময় সিএনজির ভেতরে থাকা দুই নারী গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ফেনী সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে কয়েকজন অভিজ্ঞ সিএনজি অটোচালকের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, অপ্রাপ্তবয়স্ক ও অদক্ষ চালকের বেপরোয়া গতির কারণে এসব দুর্ঘটনা বেশি ঘটছে। এতে চালকরাও যেমন প্রাণ হারাচ্ছে, পঙ্গু হচ্ছে তেমনি যাত্রীরা মৃত্যুমুখে পতিত হচ্ছে।

স্থানীয়রা বলছেন, বন্দুয়া দৌলতপুরের উত্তরে ইটভাটা সংলগ্ন ব্রিজ থেকে সড়কটিকে সোজা করা হলে দুর্ঘটনার শঙ্কা থাকতো না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি তারা দুর্ঘটনা কমাতে সড়কটি সোজা করার দাবি জানান।

মোর্শেদ নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, প্রতিনিয়ত এখানে দুর্ঘটনার সংবাদ শুনতে পাই। পরশুরাম, ফুলগাজীর মানুষ জেলা শহরে প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে আসা যাওয়া করে। আঞ্চলিক সড়ক হলেও এ সড়কটি দুর্ঘটনা প্রবণ। চালকদের বেপরোয়া গতি রোধের পাশাপাশি দক্ষ চালক নিশ্চিত করতে পারলে দুর্ঘটনার সংখ্যা কমে আসবে।

নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতকরণে চালকদের সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন ফেনী সড়ক ও জনপদ (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী বিনয় কুমার পাল।

সম্প্রতি ফেনী-পরশুরাম আঞ্চলিক সড়কের আনন্দপুর এলাকায় সিএনজি পরিবহনে দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সচেতনতার অভাবে প্রতিনিয়ত সড়কে দুর্ঘটনা ঘটছে। আর এতে অকালে প্রাণ হারাচ্ছে মানুষ।

নির্বাহী প্রকৌশলী নিজেও সিএনজি অটোর যাত্রী উল্লেখ করে বলেন, এসব দুর্ঘটনা পেছনে যেমন চালকরা দায়ী, একইভাবে পথচারীরাও দায়ী। তাই সড়ক দুর্ঘটনা রোধে চালক এবং পথচারী উভয়কে আরও সচেতন হতে হবে। এ সড়কটিকে প্রশস্তকরণের জন্য একনেক সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। দ্রুত সময়ে সড়কটি প্রশস্তকরণের কাজ শুরু করা হবে বলে জানান নির্বাহী প্রকৌশলী।

স্থানীয়রা বলছেন, সড়ক পথচারীবান্ধব করা, যত্রতত্র যানবাহন পার্কিং না করা, অসচেতনভাবে রাস্তা পারাপার না হওয়া, রাস্তা পারাপার অবস্থায় মোবাইল ফোন ব্যবহার না করা, ট্রাফিক নির্দেশনা মেনে চললে দুর্ঘটনার শঙ্কা কমবে।

নিরাপত্তা চেয়ে থানায় ব্যারিস্টার সুমনের জিডি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন/ছবি: সংগৃহীত

ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন/ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হবিগঞ্জের সংসদ সদস্য ও আলোচিত আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে একটি চক্র হত্যার উদ্দেশ্যে মাঠে নেমেছে এমন অভিযোগে নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন (জিডি) তিনি।

শনিবার (৩০ জুন) রাজধানীর শেরে বাংলা নগর থানায় সুমন নিজে এই জিডি করেন। জিডি নাম্বার ২০৫৬।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের তেজগাঁও জোনের (শেরে বাংলা থানা ও তেজগাঁও থানা) সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. ইমরান হোসেন।

তিনি বলেন, সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন শেরে বাংলা নগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। যদিও ঘটনা তার নির্বাচনী এলাকায়।

ব্যারিস্টার সুমন জিডিতে উল্লেখ করেছেন, গতকাল শুক্রবার রাত ৮টার দিকে সংসদ ভবনে অবস্থান করার সময়ে চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফোন করে জানান যে. আমাকে হত্যার জন্য অজ্ঞাতনামা একটি শক্তিশালী মহল গত তিন দিন আগে ৪ থেকে ৫ জনের একটি টিম হত্যার উদ্দেশ্যে মাঠে নেমেছে। ওসি আমাকে রাতে বাহিরে বের না হওয়ার অনুরোধ করেন সাবধানে থাকার পরামর্শ দেন।

সংসদ সদস্য সুমন আরও উল্লেখ করেন, আমি অফিসার ইনচার্জ'র কাছে ওই ব্যক্তিদের পরিচয় জানতে চাইলে ওসি ব্যক্তিদের পরিচয় জানাতে অস্বীকার করেন। এবং আমাকে সাবধানে থাকার পরামর্শ দেন। বিষয়টি জানার পরে আমি মারাত্মকভাবে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেছি।

;

মেঘনার জোয়ারের পানিতে ভেসে কৃষকের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
নিহত ছেরাজুল হক/ছবি: সংগৃহীত

নিহত ছেরাজুল হক/ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় মেঘনা নদীর জোয়ারের পানিতে ভেসে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।

নিহত মো.সেকান্তর হোসেন (৬২) উপজেলার নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত ছেরাজুল হকের ছেলে। তিনি ৯ সন্তানের জনক ছিলেন।

শনিবার (২৯ জুন) রাত ১১টার দিকে উপজেলার নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডের পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এর আগে, একই দিন বেলা ১১টার দিকে উপজেলার নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের দমারচর ও নিঝুম দ্বীপের মধ্যবর্তী চ্যানেলে এই ঘটনা ঘটে।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেন নিহতের নাতি ও নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মেহরাজ উদ্দিন। তিনি বলেন, আমার নানা সেকান্তর পেশায় একজন কৃষক ছিলেন। উপজেলার নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের দমারচরেে উনার বেশ কিছু আবাদি কৃষি জমি রয়েছে। ওই সব আবাদি জমি দেখতে সকাল ১০টার দিকে তিনিসহ আরও পাঁচজন পায়ে হেঁটে দমারচরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। যাত্রা পথে দমারচর ও নিঝুম দ্বীপের মধ্যবর্তী চ্যানেলে পৌঁছলে আকস্মিক মেঘনা নদীর জোয়ারের পানিতে তিনি ভেসে যান। খবর পেয়ে ২শতাধিক স্থানীয় মানুষ এক সাথে নদীতে নেমে খোঁজখুঁজির দেড় ঘণ্টা পর দমারচর সংলগ্ন নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে।

হাতিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জয়নাল আবেদী বলেন, জোয়ারের পানিতে ডুবে কৃষকের মৃত্যুর বিষয়টি জানা নেই। তবে এ বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হবে।

;

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৯০ শতাংশই দুর্নীতিতে জড়িত: হাফিজ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৯০ শতাংশ দুর্নীতিতে জড়িত বলে দাবি করেছেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ। তিনি বলেছেন, কাস্টমসে যারা চাকরি করেন, তাদের প্রত্যেকের ঢাকা শহরে দুই-তিনটা বাড়ি আছে। বনবিভাগে যারা চাকরি করেন, তাদের দুই-তিনটা করে সোনার দোকান রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী যদি পদক্ষেপ নেন, তাহলে দুর্নীতি রোধ করতে পারব। না হলে, যে হারে লাগামহীনভাবে বড় বড় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দুর্নীতি করছেন, কি করব? আমরা অসহায়। অনেক সরকারি কর্মকর্তা আছেন তারাও অসহায়। কারণ, এখানে ৯০ শতাংশ লোকই ওইদিকে (দুর্নীতি), ১০-১৫ শতাংশ লোক ভালো থেকে কি করবে?

শনিবার (২৯ জুন) দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ২০২৪-২৫ অর্থ বাজেটের অর্থবিলের ওপর সংশোধনীর আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

হাফিজ উদ্দিন বলেন, নির্বাচনের সময় আমার কি সম্পদ আছে, তা হলফনামায় দিয়ে থাকি। তারপর পাঁচ বছর পরে নির্বাচনে আবার হলফনামা দেই। সেখানে সম্পত্তি কত বাড়ল, একশ গুণ না পাঁচশ গুণ বাড়ল, তা পত্রিকায় নিউজ হয়। আমাদের আমলানামা চলে আসে। কিন্তু সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী যখন প্রথমে চাকরিতে যোগ দেন তখন তারা যদি হলফনামা দিতেন। তারপর পাঁচ-দশবছর হলফনামা দিতে এবং তাদের আলোচনা-সমালোচনা হতো। তাহলে দুর্নীতির চাবিটা বন্ধ হতো। না হলে বন্ধ হবে না। চলতে থাকবে।

সরকারের সফলতা তুলে ধরে জাপা এমপি বলেন, সরকার অনেক প্রশংসা পেয়েছে। কিন্তু শুধু দুর্নীতি বন্ধ করতে পারলে সোনার অক্ষরে যেভাবে ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর নাম রয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর নামও সেভাবে লেখা থাকবে। পদক্ষেপ নিলে দুর্নীতি রোধ সম্ভব হবে। এমপি সাহেবদের যেভাবে আমলনামা আছে, প্রত্যেক সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আমলনামা যদি সেবাবে তৈরি করা হয়, তাহলে দুর্নীতি রোধ করা যাবে।

সংসদ সদস্যদের নির্বাচনী এলাকায় কোনো কার্যালয় নেই বলে উল্লেখ করে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, আমার বাড়ি যে উপজেলায় সেখানে বাড়িকে অফিস হিসাবে ব্যবহার করি। কিন্তু আরেক উপজেলায় বসার জায়গাও নেই। হয় ইউএনও সাহেবের পাশে টেবিল নিয়ে বসতে হয়। তিনি বলেন, নির্বাচনী এলাকায় অনেক সালিশ-বিচার করতে হয়। অনেক সমস্যার সমাধান দিতে হয়। এলজিইডিসহ বিভিন্ন বিভাগের সঙ্গে বসতে হয়, সেজন্য অফিস থাকলে ভালো হয়। প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় সংসদ সদস্যদের জন্য অফিস বরাদ্দ দেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।

;

সাপের কামড়ে যুবকের মৃত্যু, মরদেহ নিয়ে ওঝার অপেক্ষায় স্বজনরা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
নানা আয়োজনে মরদেহ বাঁচিয়ে তোলার চেষ্টা ওঝার/ছবি: বার্তা২৪.কম

নানা আয়োজনে মরদেহ বাঁচিয়ে তোলার চেষ্টা ওঝার/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাতের আধারে মাছ ধরতে গিয়ে বিষধর গোখরা সাপের কামড়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাইফুল ইসলাম (৩৮) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তবে সেই মরদেহ বাঁচিয়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এক ওঝা। মরদেহ দাফন না করে সেই ওঝার অপেক্ষায় রয়েছেন স্বজনরা।

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার ঢালজোড়া ইউনিয়নের পশ্চিম বাসুরা গ্রামে এ ঘটে। মৃত যুবক একই গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে।

এর আগে, গত শুক্রবার (২৮ জুন) রাত ১১টার দিকে বিলে মাছ শিকার করতে গিয়ে সাপের কামড় খায় সাইফুল। এ সময় তার হাতে থাকা টেটা দিয়ে সাপটিকে শিকার করে নিয়ে আসে। পরে আটক করা সাপটি বিষধর গোখরা চিহ্নিত করা হলে সাইফুলকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হয়। হাসপাতালে ভর্তির পর এন্টিভেনম প্রয়োগের পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পরে শনিবার (২৯ জুন) দুপুরে মরদেহ দাফনের আয়োজন করলে, ঢাকার সাভার থেকে এক ওঝা দম্পতি এসে তাকে জীবিত করার প্রতিশ্রুতি দিলে মরদেহ দাফন না করে ফাকা জায়গায় নিয়ে ঝাড়ফুঁকসহ নানাভাবে চেষ্টা করে। সন্ধ্যার দিকে আরো কিছু ওষুধ লাগবে বলে রাত ১১টায় আসার কথা বলে চলে যায়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওঝার অপেক্ষায় ওই মরদেহ নিয়ে বসে আছেন পরিবার।

ঢালজোড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ইছামুদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেছেন। শনিবার যোহরের নামাজের পর তার জানাজা শেষে দাফন হওয়ার কথা থাকলেও ওঝা এসে মৃত ব্যক্তিকে বাঁচানোর চেষ্টা করে।

;