পল্লী বিদ্যুতের ভুতুড়ে বিলে অতিষ্ঠ গ্রাহক



মো. হোসেন বেপারী, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চাঁদপুর
ভুতুড়ে বিলে অতিষ্ঠ গ্রাহক

ভুতুড়ে বিলে অতিষ্ঠ গ্রাহক

  • Font increase
  • Font Decrease

চাঁদপুর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২ ফরিদগঞ্জ অফিসের ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমে চলছে হযবরল অবস্থায়। প্রতিমাসেই মিটারে ওঠা নির্ধারিত রিডিং-এর চাইতে অতিরিক্ত রিডিং তোলার কারণে অধিকাংশ গ্রাহককে গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল।

যে কজন গ্রাহকই অতিরিক্ত বিল নিয়ে আপত্তি জানাচ্ছেন অফিসের বিল প্রস্ততকারক কোন প্রকার যাচাই-বাছাই ছাড়া মুহূর্তেই পাল্টে দিচ্ছেন বিদ্যুৎ বিল। এর মধ্যে কোন কোন বিলের কাগজে ২০ ইউনিট থেকে একশত ইউনিট পর্যন্ত কমে গিয়ে বিল কমে যাচ্ছে শত টাকা থেকে হাজারের অধিক।

নিজের মিটারে উল্লিখিত ইউনিটের সঙ্গে বিলের কাগজের অতিরিক্ত একশ ইউনিটেরও বেশি পার্থক্য দেখতে পেয়ে বুধবার (২৬ জুন) সকালে বিলের কাগজ নিয়ে বিদ্যুৎ অফিসে ছুটে যান ফরিদগঞ্জ পৌরসভার বাসস্ট্যান্ড এলাকার কনফেকশনারি দোকানদার আব্দুল আলী পাওয়ারী। বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে বলতেই ১২৪৫ ইউনিটের উল্লিখিত ৫ হাজার ৫৩৮ টাকার বিলের কাগজ হয়ে যায় ১১০০ ইউনিটে ৩ হাজার ৩৬৭ টাকা।

একই অভিযোগ নিয়ে আসতে দেখা যায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বেশ কয়েকজনকে। ভুক্তভোগী মোহাম্মদ শরীফ হোসেন জানান, আমার মিটারে এখনকার ইউনিট ৫ হাজার ২০০। অথচ বিদ্যুৎ অফিসের লোক আরও কয়েকদিন আগেই রিডিং তুলেছে ৫ হাজার ২৩০। তবে কি রিডিং তোলার পর এতদিন আমি বিদ্যুৎ ব্যবহার করিনি? বরং বিলের কাগজে উল্লিখিত তখনকার বিলের চাইতেও এখন কম হয় কিভাবে....? এখানে আসার পর ওনারা বিল পরিবর্তন করে কমিয়ে দিয়েছে। এমন ঘটনা গত কয়েক মাস ধরেই ঘটছে।

তিনি আরও বলেন, যে মাসে সময় বের করে বিদ্যুৎ অফিসে বিল কমাতে পারি, সে মাসে কম দিতে পারি; নয়তো অতিরিক্ত বিলই দিতে হয়। এরকম ভোগান্তি আমাদের আর কত পোহাতে হবে?

আরেক ভুক্তভোগী আব্দুল জব্বার বলেন, আমার মিটারে রিডিং কম ওঠছে কিন্তু, বিলের কাগজে বেশি, এখানে আইসা বলাতে বিল কমাই দিছে। এরকম আগেও বহুতবার হইছে, বিলের কাগজ লই আইলে বিল কমাই দেয়। তাইলে বিদ্যুৎ অফিসের লোকরা দিনের পর দিন ভুল করে আমাগোরে কিল্লাই ভোগান্তিতে হালায়।

ভিন্ন অভিযোগ নিয়ে আসা আরও কয়েকজন জানান, বিদ্যুৎ অফিসের লোক রিডিং তুলতেই যাননি। তাদের মনগড়া রিডিং তোলার কারণে আমাদের অতিরিক্ত বিল দিতে হচ্ছে।

বিলের কাগজে অতিরিক্ত ইউনিট তুলে গ্রাহকদের এমন হয়রানির বিষয়ে কথা হয় বিদ্যুৎ অফিসের বিল প্রস্ততকারক এক কর্মকর্তার সঙ্গে। তিনি জানান, বয়োজ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা রিডিং তোলার কারণে এমন সমস্যা হতে পারে। গ্রাহকরা সমস্যা নিয়ে আসলে আমরা পরিবর্তন করে দিই। কোন প্রকার ডকুমেন্টস ছাড়াই কেন পরিবর্তন করা হয়, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এবিষয়ে আমি কিছু জানি না, ডিজিএম স্যার বলতে পারবেন।

চাঁদপুর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২ ফরিদগঞ্জ অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডি.জি.এম) মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, পল্লীবিদ্যুৎ সমিতিতে জনবল সংকট রয়েছে। জনবল সংকটের কারণে বয়োজ্যেষ্ঠ কয়েকজনকে দিয়ে কাজ করানোর কারণে এমন মিসিংগুলো হচ্ছে। চাঁদপুর পল্লীবিদ্যুৎ অফিস আমাদের জনবল নিয়োগ দিলেও এখন পর্যন্ত মাঠ পর্যায়ে কাজে লাগানোর জন্য আমরা তাদের পাইনি।

সংশ্লিষ্ট কর্মী ভুল রিডিং তোলার পর অতিরিক্ত বিলের কাগজ নিয়ে বিদ্যুৎ অফিসে আসার সাথে সাথে বিল প্রস্তুতকারক কোন প্রকার যাচাই-বাছাই না করে বিল কমিয়ে সংশোধিত বিল দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জুন আমাদের ক্লোজিং মাস, অফিসের সব কর্মকর্তাদের প্রচুর কাজের চাপ যাচ্ছে, অন্য সময় হলে যাচাই-বাছাই করেই বিলের কাগজ সংশোধন করা হতো।

পল্লীবিদ্যুৎ গ্রাহকদের চলমান ভোগান্তি লাঘবে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, আমারা যথাযথ জনবল পেলে এ ধরনের সমস্যাগুলো আর হবে না।

নিরাপত্তা চেয়ে থানায় ব্যারিস্টার সুমনের জিডি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন/ছবি: সংগৃহীত

ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন/ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হবিগঞ্জের সংসদ সদস্য ও আলোচিত আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে একটি চক্র হত্যার উদ্দেশ্যে মাঠে নেমেছে এমন অভিযোগে নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন (জিডি) তিনি।

শনিবার (৩০ জুন) রাজধানীর শেরে বাংলা নগর থানায় সুমন নিজে এই জিডি করেন। জিডি নাম্বার ২০৫৬।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের তেজগাঁও জোনের (শেরে বাংলা থানা ও তেজগাঁও থানা) সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. ইমরান হোসেন।

তিনি বলেন, সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন শেরে বাংলা নগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। যদিও ঘটনা তার নির্বাচনী এলাকায়।

ব্যারিস্টার সুমন জিডিতে উল্লেখ করেছেন, গতকাল শুক্রবার রাত ৮টার দিকে সংসদ ভবনে অবস্থান করার সময়ে চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফোন করে জানান যে. আমাকে হত্যার জন্য অজ্ঞাতনামা একটি শক্তিশালী মহল গত তিন দিন আগে ৪ থেকে ৫ জনের একটি টিম হত্যার উদ্দেশ্যে মাঠে নেমেছে। ওসি আমাকে রাতে বাহিরে বের না হওয়ার অনুরোধ করেন সাবধানে থাকার পরামর্শ দেন।

সংসদ সদস্য সুমন আরও উল্লেখ করেন, আমি অফিসার ইনচার্জ'র কাছে ওই ব্যক্তিদের পরিচয় জানতে চাইলে ওসি ব্যক্তিদের পরিচয় জানাতে অস্বীকার করেন। এবং আমাকে সাবধানে থাকার পরামর্শ দেন। বিষয়টি জানার পরে আমি মারাত্মকভাবে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেছি।

;

মেঘনার জোয়ারের পানিতে ভেসে কৃষকের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
নিহত ছেরাজুল হক/ছবি: সংগৃহীত

নিহত ছেরাজুল হক/ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় মেঘনা নদীর জোয়ারের পানিতে ভেসে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।

নিহত মো.সেকান্তর হোসেন (৬২) উপজেলার নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত ছেরাজুল হকের ছেলে। তিনি ৯ সন্তানের জনক ছিলেন।

শনিবার (২৯ জুন) রাত ১১টার দিকে উপজেলার নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডের পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এর আগে, একই দিন বেলা ১১টার দিকে উপজেলার নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের দমারচর ও নিঝুম দ্বীপের মধ্যবর্তী চ্যানেলে এই ঘটনা ঘটে।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেন নিহতের নাতি ও নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মেহরাজ উদ্দিন। তিনি বলেন, আমার নানা সেকান্তর পেশায় একজন কৃষক ছিলেন। উপজেলার নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের দমারচরেে উনার বেশ কিছু আবাদি কৃষি জমি রয়েছে। ওই সব আবাদি জমি দেখতে সকাল ১০টার দিকে তিনিসহ আরও পাঁচজন পায়ে হেঁটে দমারচরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। যাত্রা পথে দমারচর ও নিঝুম দ্বীপের মধ্যবর্তী চ্যানেলে পৌঁছলে আকস্মিক মেঘনা নদীর জোয়ারের পানিতে তিনি ভেসে যান। খবর পেয়ে ২শতাধিক স্থানীয় মানুষ এক সাথে নদীতে নেমে খোঁজখুঁজির দেড় ঘণ্টা পর দমারচর সংলগ্ন নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে।

হাতিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জয়নাল আবেদী বলেন, জোয়ারের পানিতে ডুবে কৃষকের মৃত্যুর বিষয়টি জানা নেই। তবে এ বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হবে।

;

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৯০ শতাংশই দুর্নীতিতে জড়িত: হাফিজ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৯০ শতাংশ দুর্নীতিতে জড়িত বলে দাবি করেছেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ। তিনি বলেছেন, কাস্টমসে যারা চাকরি করেন, তাদের প্রত্যেকের ঢাকা শহরে দুই-তিনটা বাড়ি আছে। বনবিভাগে যারা চাকরি করেন, তাদের দুই-তিনটা করে সোনার দোকান রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী যদি পদক্ষেপ নেন, তাহলে দুর্নীতি রোধ করতে পারব। না হলে, যে হারে লাগামহীনভাবে বড় বড় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দুর্নীতি করছেন, কি করব? আমরা অসহায়। অনেক সরকারি কর্মকর্তা আছেন তারাও অসহায়। কারণ, এখানে ৯০ শতাংশ লোকই ওইদিকে (দুর্নীতি), ১০-১৫ শতাংশ লোক ভালো থেকে কি করবে?

শনিবার (২৯ জুন) দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ২০২৪-২৫ অর্থ বাজেটের অর্থবিলের ওপর সংশোধনীর আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

হাফিজ উদ্দিন বলেন, নির্বাচনের সময় আমার কি সম্পদ আছে, তা হলফনামায় দিয়ে থাকি। তারপর পাঁচ বছর পরে নির্বাচনে আবার হলফনামা দেই। সেখানে সম্পত্তি কত বাড়ল, একশ গুণ না পাঁচশ গুণ বাড়ল, তা পত্রিকায় নিউজ হয়। আমাদের আমলানামা চলে আসে। কিন্তু সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী যখন প্রথমে চাকরিতে যোগ দেন তখন তারা যদি হলফনামা দিতেন। তারপর পাঁচ-দশবছর হলফনামা দিতে এবং তাদের আলোচনা-সমালোচনা হতো। তাহলে দুর্নীতির চাবিটা বন্ধ হতো। না হলে বন্ধ হবে না। চলতে থাকবে।

সরকারের সফলতা তুলে ধরে জাপা এমপি বলেন, সরকার অনেক প্রশংসা পেয়েছে। কিন্তু শুধু দুর্নীতি বন্ধ করতে পারলে সোনার অক্ষরে যেভাবে ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর নাম রয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর নামও সেভাবে লেখা থাকবে। পদক্ষেপ নিলে দুর্নীতি রোধ সম্ভব হবে। এমপি সাহেবদের যেভাবে আমলনামা আছে, প্রত্যেক সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আমলনামা যদি সেবাবে তৈরি করা হয়, তাহলে দুর্নীতি রোধ করা যাবে।

সংসদ সদস্যদের নির্বাচনী এলাকায় কোনো কার্যালয় নেই বলে উল্লেখ করে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, আমার বাড়ি যে উপজেলায় সেখানে বাড়িকে অফিস হিসাবে ব্যবহার করি। কিন্তু আরেক উপজেলায় বসার জায়গাও নেই। হয় ইউএনও সাহেবের পাশে টেবিল নিয়ে বসতে হয়। তিনি বলেন, নির্বাচনী এলাকায় অনেক সালিশ-বিচার করতে হয়। অনেক সমস্যার সমাধান দিতে হয়। এলজিইডিসহ বিভিন্ন বিভাগের সঙ্গে বসতে হয়, সেজন্য অফিস থাকলে ভালো হয়। প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় সংসদ সদস্যদের জন্য অফিস বরাদ্দ দেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।

;

সাপের কামড়ে যুবকের মৃত্যু, মরদেহ নিয়ে ওঝার অপেক্ষায় স্বজনরা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
নানা আয়োজনে মরদেহ বাঁচিয়ে তোলার চেষ্টা ওঝার/ছবি: বার্তা২৪.কম

নানা আয়োজনে মরদেহ বাঁচিয়ে তোলার চেষ্টা ওঝার/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাতের আধারে মাছ ধরতে গিয়ে বিষধর গোখরা সাপের কামড়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাইফুল ইসলাম (৩৮) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তবে সেই মরদেহ বাঁচিয়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এক ওঝা। মরদেহ দাফন না করে সেই ওঝার অপেক্ষায় রয়েছেন স্বজনরা।

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার ঢালজোড়া ইউনিয়নের পশ্চিম বাসুরা গ্রামে এ ঘটে। মৃত যুবক একই গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে।

এর আগে, গত শুক্রবার (২৮ জুন) রাত ১১টার দিকে বিলে মাছ শিকার করতে গিয়ে সাপের কামড় খায় সাইফুল। এ সময় তার হাতে থাকা টেটা দিয়ে সাপটিকে শিকার করে নিয়ে আসে। পরে আটক করা সাপটি বিষধর গোখরা চিহ্নিত করা হলে সাইফুলকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হয়। হাসপাতালে ভর্তির পর এন্টিভেনম প্রয়োগের পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পরে শনিবার (২৯ জুন) দুপুরে মরদেহ দাফনের আয়োজন করলে, ঢাকার সাভার থেকে এক ওঝা দম্পতি এসে তাকে জীবিত করার প্রতিশ্রুতি দিলে মরদেহ দাফন না করে ফাকা জায়গায় নিয়ে ঝাড়ফুঁকসহ নানাভাবে চেষ্টা করে। সন্ধ্যার দিকে আরো কিছু ওষুধ লাগবে বলে রাত ১১টায় আসার কথা বলে চলে যায়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওঝার অপেক্ষায় ওই মরদেহ নিয়ে বসে আছেন পরিবার।

ঢালজোড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ইছামুদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেছেন। শনিবার যোহরের নামাজের পর তার জানাজা শেষে দাফন হওয়ার কথা থাকলেও ওঝা এসে মৃত ব্যক্তিকে বাঁচানোর চেষ্টা করে।

;