আনার হত্যায় কারা লাভবান সেটা বের হবে: ডিবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সংবাদ সম্মেলনে হারুন অর রশীদ/ছবি: বার্তা২৪.কম

সংবাদ সম্মেলনে হারুন অর রশীদ/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যায় কারা আর্থিক, রাজনৈতিকভাবে লাভবান সেটা বের হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেছেন, মোটিভ অবশ্যই আছে। সম্ভাব্য সব কারণ আমলে নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ।

হারুন অর রশীদ বলেন, যখনই আমাদের কাছে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যার ঘটনার খবর আসে তখনই আমরা মাস্টারমাইন্ড শিমুল ভুঁইয়াকে গ্রেফতার করি। এরপর তানভীর ও শিলাস্তিকে গ্রেফতার করি। তারা বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। এরপর আমরা নিজেরা কলকাতায় গিয়ে সঞ্জিভা গার্ডেন পরিদর্শন করি। এই হত্যাকাণ্ডে আরও দুজন জড়িত দুজনের নাম জানতে পারি। তারা ফয়সাল ভূঁইয়া ও মোস্তাফিজুর রহমান। তারা আত্মগোপনের জন্য ফটিকছড়ি ও সীতাকুণ্ডের মাঝখানে পাতাল কালি মন্দিরে লাল ধূতি পড়ে অবস্থান করছিল। সেখানে তারা হিন্দু পরিচয়ে পাতাল কালি মন্দিরে বাঁচার জন্য লুকিয়েছিল।

এই দুজনকে গ্রেফতারের জন্য আমাদের একটি টিম ছিল ঝিনাইদহে, সুন্দরবনেও একটি গিয়েছিল। আর দুটি টিম ছিল খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, ফটিকছড়ি সীতাকুণ্ডে কাজ করছিল অনেকদিন ধরে। সবদিকে গোয়েন্দা জাল বিছিয়ে আমরা গতকাল আমরা সেই দুজনকে গ্রেফতার করি। শিমুল ভূঁইয়ার নেতৃত্বে হত্যাকাণ্ডের জন্য যা যা করার দরকার তারা তাই করেছে।

১৩ মে সকাল বেলা এমপি আনার তার বন্ধু গোপালের বাসা থেকে বের হন। বিধান সভার কলকাতা পাবলিক স্কুলের সামনে অপেক্ষায় ছিল ফয়সাল। তিনি আনারকে রিসিভ করে লাল গাড়ির কাছে যান। যেখানে অপেক্ষায় ছিল শিমুল ভূঁইয়া। আর অন্যদিকে কলকাতা সঞ্জিভা গার্ডেনের ভাড়া বাসায় অপেক্ষায় ছিলেন মোস্তাফিজ, জিহাদ হাওলাদার। ফয়সাল, শিমুল ভূঁইয়া আনারকে নিয়ে ওই ফ্ল্যাটে নিয়ে গেলে রিসিভ করেন শিলাস্তি রহমান ও মোস্তাফিজুর রহমান। তারা নিচে কর্নারের রুমে যান। আনার যখন বুঝতে পারেন তিন চারজনের গতিবিধি, তখন তিনি অনেক কাকুতি-মিনতি করেন, বাঁচার চেষ্টা করেন। দৌড় দিয়ে বের হতে চেষ্টার সময় ফয়সাল তার নাকে মুখে ক্লোরোফম ধরে নিস্তেজ করেন। এরপর হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত করা হয়।

সংসদ সদস্য আনার কিলিং মিশনে সাতজন অংশ নিয়েছেন। তারা সাতজনেই গ্রেফতার হয়েছেন।

আখতারুজ্জামান শাহীনের বিষয়ে হারুন বলেন, শাহীন মাস্টারমাইন্ড ছিল। কিলিং মিশনে সরাসরি জড়িত ৭ জড়িত। সাতজনই গ্রেফতার হয়েছে। এর বাইরে মাস্টারমাইন্ড, পরিকল্পনাকারী, মোটিভ, অর্থদাতা এগুলো তো অন্য বিষয়। এখনো আমাদের কাছে শাহীন মাস্টারমাইন্ড। কারণ উনিই তো তার পাসপোর্ট দিয়ে কলকাতার সঞ্জিভা গার্ডেনে ফ্ল্যাটটি ভাড়া নিয়েছিল। হত্যাকার পরিকল্পনা, বাসা ভাড়া, এসবই তো শাহীন করেছে। শাহীন ১০ মে দেশে ফিরে এসেছেন। জিহাদ বাদে হত্যার পর একে একে কিলিং মিশনে অংশ নেয়া সবাই দেশে কেউ নেপালে চলে যায়। শিমুল ভূঁইয়া গ্রেফতারের পর শাহীন প্রথমে দিল্লী, এরপর নেপাল তারপর দুবাই হয়ে আমেরিকা চলে যান। তিনি তো ইউএস সিটিজেন।

হত্যার মূল মোটিভটা কি? জানতে চাইলে হারুন বলেন, এই সংসদ সদস্য কিলিং মিশনে জড়িত সাতজনের সবাই গ্রেফতার হয়েছে। যেকোনো হত্যার পেছনে একটা মোটিভ থাকে। ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার জনপ্রিয় সংসদ সদস্য। তাকে টাকা-পয়সা লেনদেনের কথা বলে যান শাহীন। তাদের মধ্যে কি কথা হয়েছিল? কারা লাভবান? কারা আর্থিক, রাজনৈতিকভাবে লাভবান সেটা আশা করি বের হবে। সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যায় মোটিভ তো অবশ্যই আছে। তবে এখন পর্যন্ত আমরা সুনির্দিষ্ট মোটিভ বলতে পারছি না।

আমরা সবগুলো রাজনৈতিক, অর্থনৈতিকসহ সম্ভাব্য কারণ আমলে নিয়ে তদন্ত করছি। আমরা সর্বশেষ গ্রেফতারদের রিমান্ডে নিবো। জিজ্ঞাসাবাদ করবো। হত্যার সম্ভাব্য সব মোটিভ সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আমরা অনর্থক কাউকে ডাকাডাকি করছি না। নির্দোষ কাউকে হয়রানি করছি না।

নিরাপত্তা চেয়ে থানায় ব্যারিস্টার সুমনের জিডি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন/ছবি: সংগৃহীত

ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন/ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হবিগঞ্জের সংসদ সদস্য ও আলোচিত আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে একটি চক্র হত্যার উদ্দেশ্যে মাঠে নেমেছে এমন অভিযোগে নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন (জিডি) তিনি।

শনিবার (৩০ জুন) রাজধানীর শেরে বাংলা নগর থানায় সুমন নিজে এই জিডি করেন। জিডি নাম্বার ২০৫৬।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের তেজগাঁও জোনের (শেরে বাংলা থানা ও তেজগাঁও থানা) সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. ইমরান হোসেন।

তিনি বলেন, সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন শেরে বাংলা নগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। যদিও ঘটনা তার নির্বাচনী এলাকায়।

ব্যারিস্টার সুমন জিডিতে উল্লেখ করেছেন, গতকাল শুক্রবার রাত ৮টার দিকে সংসদ ভবনে অবস্থান করার সময়ে চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফোন করে জানান যে. আমাকে হত্যার জন্য অজ্ঞাতনামা একটি শক্তিশালী মহল গত তিন দিন আগে ৪ থেকে ৫ জনের একটি টিম হত্যার উদ্দেশ্যে মাঠে নেমেছে। ওসি আমাকে রাতে বাহিরে বের না হওয়ার অনুরোধ করেন সাবধানে থাকার পরামর্শ দেন।

সংসদ সদস্য সুমন আরও উল্লেখ করেন, আমি অফিসার ইনচার্জ'র কাছে ওই ব্যক্তিদের পরিচয় জানতে চাইলে ওসি ব্যক্তিদের পরিচয় জানাতে অস্বীকার করেন। এবং আমাকে সাবধানে থাকার পরামর্শ দেন। বিষয়টি জানার পরে আমি মারাত্মকভাবে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেছি।

;

মেঘনার জোয়ারের পানিতে ভেসে কৃষকের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
নিহত ছেরাজুল হক/ছবি: সংগৃহীত

নিহত ছেরাজুল হক/ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় মেঘনা নদীর জোয়ারের পানিতে ভেসে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।

নিহত মো.সেকান্তর হোসেন (৬২) উপজেলার নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত ছেরাজুল হকের ছেলে। তিনি ৯ সন্তানের জনক ছিলেন।

শনিবার (২৯ জুন) রাত ১১টার দিকে উপজেলার নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডের পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এর আগে, একই দিন বেলা ১১টার দিকে উপজেলার নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের দমারচর ও নিঝুম দ্বীপের মধ্যবর্তী চ্যানেলে এই ঘটনা ঘটে।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেন নিহতের নাতি ও নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মেহরাজ উদ্দিন। তিনি বলেন, আমার নানা সেকান্তর পেশায় একজন কৃষক ছিলেন। উপজেলার নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের দমারচরেে উনার বেশ কিছু আবাদি কৃষি জমি রয়েছে। ওই সব আবাদি জমি দেখতে সকাল ১০টার দিকে তিনিসহ আরও পাঁচজন পায়ে হেঁটে দমারচরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। যাত্রা পথে দমারচর ও নিঝুম দ্বীপের মধ্যবর্তী চ্যানেলে পৌঁছলে আকস্মিক মেঘনা নদীর জোয়ারের পানিতে তিনি ভেসে যান। খবর পেয়ে ২শতাধিক স্থানীয় মানুষ এক সাথে নদীতে নেমে খোঁজখুঁজির দেড় ঘণ্টা পর দমারচর সংলগ্ন নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে।

হাতিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জয়নাল আবেদী বলেন, জোয়ারের পানিতে ডুবে কৃষকের মৃত্যুর বিষয়টি জানা নেই। তবে এ বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হবে।

;

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৯০ শতাংশই দুর্নীতিতে জড়িত: হাফিজ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৯০ শতাংশ দুর্নীতিতে জড়িত বলে দাবি করেছেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ। তিনি বলেছেন, কাস্টমসে যারা চাকরি করেন, তাদের প্রত্যেকের ঢাকা শহরে দুই-তিনটা বাড়ি আছে। বনবিভাগে যারা চাকরি করেন, তাদের দুই-তিনটা করে সোনার দোকান রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী যদি পদক্ষেপ নেন, তাহলে দুর্নীতি রোধ করতে পারব। না হলে, যে হারে লাগামহীনভাবে বড় বড় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দুর্নীতি করছেন, কি করব? আমরা অসহায়। অনেক সরকারি কর্মকর্তা আছেন তারাও অসহায়। কারণ, এখানে ৯০ শতাংশ লোকই ওইদিকে (দুর্নীতি), ১০-১৫ শতাংশ লোক ভালো থেকে কি করবে?

শনিবার (২৯ জুন) দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ২০২৪-২৫ অর্থ বাজেটের অর্থবিলের ওপর সংশোধনীর আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

হাফিজ উদ্দিন বলেন, নির্বাচনের সময় আমার কি সম্পদ আছে, তা হলফনামায় দিয়ে থাকি। তারপর পাঁচ বছর পরে নির্বাচনে আবার হলফনামা দেই। সেখানে সম্পত্তি কত বাড়ল, একশ গুণ না পাঁচশ গুণ বাড়ল, তা পত্রিকায় নিউজ হয়। আমাদের আমলানামা চলে আসে। কিন্তু সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী যখন প্রথমে চাকরিতে যোগ দেন তখন তারা যদি হলফনামা দিতেন। তারপর পাঁচ-দশবছর হলফনামা দিতে এবং তাদের আলোচনা-সমালোচনা হতো। তাহলে দুর্নীতির চাবিটা বন্ধ হতো। না হলে বন্ধ হবে না। চলতে থাকবে।

সরকারের সফলতা তুলে ধরে জাপা এমপি বলেন, সরকার অনেক প্রশংসা পেয়েছে। কিন্তু শুধু দুর্নীতি বন্ধ করতে পারলে সোনার অক্ষরে যেভাবে ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর নাম রয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর নামও সেভাবে লেখা থাকবে। পদক্ষেপ নিলে দুর্নীতি রোধ সম্ভব হবে। এমপি সাহেবদের যেভাবে আমলনামা আছে, প্রত্যেক সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আমলনামা যদি সেবাবে তৈরি করা হয়, তাহলে দুর্নীতি রোধ করা যাবে।

সংসদ সদস্যদের নির্বাচনী এলাকায় কোনো কার্যালয় নেই বলে উল্লেখ করে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, আমার বাড়ি যে উপজেলায় সেখানে বাড়িকে অফিস হিসাবে ব্যবহার করি। কিন্তু আরেক উপজেলায় বসার জায়গাও নেই। হয় ইউএনও সাহেবের পাশে টেবিল নিয়ে বসতে হয়। তিনি বলেন, নির্বাচনী এলাকায় অনেক সালিশ-বিচার করতে হয়। অনেক সমস্যার সমাধান দিতে হয়। এলজিইডিসহ বিভিন্ন বিভাগের সঙ্গে বসতে হয়, সেজন্য অফিস থাকলে ভালো হয়। প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় সংসদ সদস্যদের জন্য অফিস বরাদ্দ দেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।

;

সাপের কামড়ে যুবকের মৃত্যু, মরদেহ নিয়ে ওঝার অপেক্ষায় স্বজনরা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
নানা আয়োজনে মরদেহ বাঁচিয়ে তোলার চেষ্টা ওঝার/ছবি: বার্তা২৪.কম

নানা আয়োজনে মরদেহ বাঁচিয়ে তোলার চেষ্টা ওঝার/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাতের আধারে মাছ ধরতে গিয়ে বিষধর গোখরা সাপের কামড়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাইফুল ইসলাম (৩৮) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তবে সেই মরদেহ বাঁচিয়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এক ওঝা। মরদেহ দাফন না করে সেই ওঝার অপেক্ষায় রয়েছেন স্বজনরা।

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার ঢালজোড়া ইউনিয়নের পশ্চিম বাসুরা গ্রামে এ ঘটে। মৃত যুবক একই গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে।

এর আগে, গত শুক্রবার (২৮ জুন) রাত ১১টার দিকে বিলে মাছ শিকার করতে গিয়ে সাপের কামড় খায় সাইফুল। এ সময় তার হাতে থাকা টেটা দিয়ে সাপটিকে শিকার করে নিয়ে আসে। পরে আটক করা সাপটি বিষধর গোখরা চিহ্নিত করা হলে সাইফুলকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হয়। হাসপাতালে ভর্তির পর এন্টিভেনম প্রয়োগের পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পরে শনিবার (২৯ জুন) দুপুরে মরদেহ দাফনের আয়োজন করলে, ঢাকার সাভার থেকে এক ওঝা দম্পতি এসে তাকে জীবিত করার প্রতিশ্রুতি দিলে মরদেহ দাফন না করে ফাকা জায়গায় নিয়ে ঝাড়ফুঁকসহ নানাভাবে চেষ্টা করে। সন্ধ্যার দিকে আরো কিছু ওষুধ লাগবে বলে রাত ১১টায় আসার কথা বলে চলে যায়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওঝার অপেক্ষায় ওই মরদেহ নিয়ে বসে আছেন পরিবার।

ঢালজোড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ইছামুদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেছেন। শনিবার যোহরের নামাজের পর তার জানাজা শেষে দাফন হওয়ার কথা থাকলেও ওঝা এসে মৃত ব্যক্তিকে বাঁচানোর চেষ্টা করে।

;