চট্টগ্রামে প্রতি তিনজনে একজন কিছুই করেন না



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম জেলার জনশুমারি ও গৃহগণনা প্রতিবেদন প্রকাশ

চট্টগ্রাম জেলার জনশুমারি ও গৃহগণনা প্রতিবেদন প্রকাশ

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামে প্রতি তিনজন মানুষের মধ্যে একজন প্রশিক্ষণ, পড়াশোনা বা চাকরি কিছুই করেন না। এদের অধিকাংশই নারী। এমন তথ্যই উঠে এসেছে ২০২২ সালের জনশুমারি ও গৃহগণনা প্রতিবেদনে।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে চট্টগ্রাম জেলার প্রতিবেদনে প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান জেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. ওয়াহিদুর রহমান।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, চট্টগ্রাম জেলায় মোট জনসংখ্যার ৩০ দশমিক ৩৮ শতাংশ মানুষ প্রশিক্ষণ, পড়াশোনা বা চাকরি কিছুই করেন না। এর মধ্যে ৪৬ দশমিক ৬২ শতাংশ নারী এবং ১২ দশমিক ১৬ শতাংশ পুরুষ।

প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী চট্টগ্রামে মোট জনসংখ্যা ৯১ লাখ ৬৯ হাজার ৪৬৫ জন। ২০১১ সালে চট্টগ্রামের জনসংখ্যা ছিল ৭৬ লাখ ১৬ হাজার জন। গেল দশ বছরে জেলায় জনসংখ্যা বেড়েছে ১৫ লাখ ৫৩ হাজার।

২০২২ সালের ১৪ জুন পর্যন্ত চট্টগ্রামে জনসংখ্যা ছিল ৯১ লাখ ৬৯ হাজার ৪৬৫ জন। এর মধ্যে পল্লী অঞ্চলে জনসংখ্যা ৪২ লাখ ৮৪ হাজার ২৪৯ জন এবং শহর অঞ্চলে জনসংখ্যা ৪৮ লাখ ৮৫ হাজার ২১৬ জন। এছাড়া চট্টগ্রামে প্রতি বর্গকিলোমিটারে বসবাস করেন ১৭৩৬ জন। ২০১১ সালে ছিল ১৪৪২ জন। জেলায় জনসংখ্যার বার্ষিক গড় বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৬৫ শতাংশ। ২০১১ সালে এ হার ছিল ১ দশমিক ৪০ শতাংশ।

চট্টগ্রামে মুসলিম জনসংখ্যা ৮৭ দশমিক ৫৩ শতাংশ। হিন্দু জনসংখ্যা ১০ দশমিক ৭২ শতাংশ। বৌদ্ধ জনসংখ্যা ১ দশমিক ৬৩ শতাংশ। খ্রিস্টান জনসংখ্যা ০ দশমিক ০৯ শতাংশ। অন্যান্য দশমিক ০৩ শতাংশ।

এছাড়া জেলায় অবিবাহিত নারীর চেয়ে পুরুষের সংখ্যা বেশি। নারী ২৬ দশমিক ৫২ শতাংশের বিপরীতে পুরুষের হার ৪২ দশমিক ৪৩ শতাংশ। পুরুষের চেয়ে বেশি নারীর সংখ্যা। প্রতি ১০০ জন নারীর অনুপাতে পুরুষের সংখ্যা ৯৯ দশমিক ৩৭ শতাংশ। চট্টগ্রামে পুরুষের সংখ্যা ৪৫ লাখ ৭০ হাজার ১১৩ এবং নারীর সংখ্যা ৪৫ লাখ ৯৮ হাজার ৯২৬ জন। সে হিসেবে চট্টগ্রামে নারী ২৮ হাজার ৮১৩ জন বেশি।

বিবাহিত নারী ৬৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ, বিবাহিত পুরুষ ৫৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ, বিধবা ৮ দশমিক ৯৯ শতাংশ, বিপত্নীক দশমিক ৭৯ শতাংশ, তালাকপ্রাপ্ত নারী ০ দশমিক ৪২ শতাংশ, পুরুষ ০ দশমিক ০৯ শতাংশ, দাম্পত্য বিচ্ছিন্ন নারী ০ দশমিক ৫২ শতাংশ, পুরুষ ০ দশমিক ১৩ শতাংশ।

চট্টগ্রামে সাক্ষরতার হার ৮১ দশমিক ০৬ শতাংশ, এর মধ্যে নারী ৭৯ দশমিক ২৬ শতাংশ এবং পুরুষ ৮২ দশমিক ৮৮ শতাংশ। জেলায় ১৫-২৪ বছর বয়সী জনসংখ্যার প্রায় ৩০ দশমিক ৩৮ শতাংশ তরুণ-তরুণী পড়ালেখা, কাজ বা কোনো ট্রেনিং কার্যক্রমে যুক্ত নেই। এর মধ্যে নারীর সংখ্যা ৪৬ দশমিক ৬২ শতাংশ, পুরুষের সংখ্যা ১২ দশমিক ১৬ শতাংশ।

চট্টগ্রামে কমছে কৃষিনির্ভর পেশার পরিমাণ। জেলায় কৃষিক্ষেত্রে কাজ করা জনসংখ্যার পরিমাণ ১৭ দশমিক ৪৬ শতাংশ। এর বিপরীতে শিল্পখাতে ২৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ এবং সেবাখাতে ৫৩ দশমিক ৮০ শতাংশ জড়িত।

১৫ বছরের ঊর্ধ্বে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৭৭ দশমিক ০৭ শতাংশ। এর মধ্যে নারী ৬৮ দশমিক ৫০ শতাংশ। পুরুষ ৮৫ দশমিক ৯৮ শতাংশ। অন্যদিকে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন ৫০ দশমিক ৮২ শতাংশ। এর মধ্যে নারী ৪২ দশমিক ৪৩ শতাংশ এবং পুরুষ ৫৯ দশমিক ৫৪ শতাংশ।

প্রতিবেদন থেকে আর জানা যায়, চট্টগ্রামের ৩ দশমিক ২২ শতাংশ মানুষের ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে একাউন্ট রয়েছে। এর মধ্যে ২৪ দশমিক ০৯ শতাংশ নারী এবং ৩৬ দশমিক ৫৯ শতাংশ পুরুষ।

এছাড়াও চট্টগ্রামের মোবাইল ব্যাংকিং এ একাউন্ট রয়েছে ৩৫ দশমিক ২১ শতাংশ মানুষের। এর মধ্যে ২৪ দশমিক ১৫ শতাংশ নারী এবং ৪৬ দশমিক ৭১ শতাংশ পুরুষ।

জেলায় মোট ৪ লাখ ৬৮ হাজার ৮৭৬ জন মানুষ নানা উদ্দেশ্যে বিদেশে রয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৫৭ হাজার ৯৬৩ জন ফটিকছড়ি উপজেলার বাসিন্দা। আর সবচেয়ে কম ৪ হাজার ৬২৮ জন কর্ণফুলী উপজেলার বাসিন্দা। এছাড়াও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকার ৬৫ হাজার ৬১৯ জন মানুষ প্রবাসে অবস্থান করছেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, পরিসংখ্যান ব্যুরো যে তথ্য উপাত্ত উপস্থাপন করেছে তা চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন উন্নয়নে কাজে লাগবে। বিশেষ করে স্যানিটেশন, জ্বালানিসহ বিভিন্ন বিষয়ে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। চট্টগ্রামে এখনো ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ মানুষ কাঁচা/খোলা টয়লেট ব্যবহার করেন। এটিকে কিভাবে শূন্যে নামিয়ে আনা যায় তা নিয়ে কাজ করার জন্য জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগকে অনুরোধ করছি।

পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্মসচিব দেবদুলাল ভট্টাচার্য্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের চেয়ারম্যান চন্দন কুমার পোদ্দার। এছাড়া সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

নিরাপত্তা চেয়ে থানায় ব্যারিস্টার সুমনের জিডি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন/ছবি: সংগৃহীত

ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন/ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হবিগঞ্জের সংসদ সদস্য ও আলোচিত আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে একটি চক্র হত্যার উদ্দেশ্যে মাঠে নেমেছে এমন অভিযোগে নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন (জিডি) তিনি।

শনিবার (৩০ জুন) রাজধানীর শেরে বাংলা নগর থানায় সুমন নিজে এই জিডি করেন। জিডি নাম্বার ২০৫৬।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের তেজগাঁও জোনের (শেরে বাংলা থানা ও তেজগাঁও থানা) সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. ইমরান হোসেন।

তিনি বলেন, সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন শেরে বাংলা নগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। যদিও ঘটনা তার নির্বাচনী এলাকায়।

ব্যারিস্টার সুমন জিডিতে উল্লেখ করেছেন, গতকাল শুক্রবার রাত ৮টার দিকে সংসদ ভবনে অবস্থান করার সময়ে চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফোন করে জানান যে. আমাকে হত্যার জন্য অজ্ঞাতনামা একটি শক্তিশালী মহল গত তিন দিন আগে ৪ থেকে ৫ জনের একটি টিম হত্যার উদ্দেশ্যে মাঠে নেমেছে। ওসি আমাকে রাতে বাহিরে বের না হওয়ার অনুরোধ করেন সাবধানে থাকার পরামর্শ দেন।

সংসদ সদস্য সুমন আরও উল্লেখ করেন, আমি অফিসার ইনচার্জ'র কাছে ওই ব্যক্তিদের পরিচয় জানতে চাইলে ওসি ব্যক্তিদের পরিচয় জানাতে অস্বীকার করেন। এবং আমাকে সাবধানে থাকার পরামর্শ দেন। বিষয়টি জানার পরে আমি মারাত্মকভাবে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেছি।

;

মেঘনার জোয়ারের পানিতে ভেসে কৃষকের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
নিহত ছেরাজুল হক/ছবি: সংগৃহীত

নিহত ছেরাজুল হক/ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় মেঘনা নদীর জোয়ারের পানিতে ভেসে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।

নিহত মো.সেকান্তর হোসেন (৬২) উপজেলার নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত ছেরাজুল হকের ছেলে। তিনি ৯ সন্তানের জনক ছিলেন।

শনিবার (২৯ জুন) রাত ১১টার দিকে উপজেলার নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডের পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এর আগে, একই দিন বেলা ১১টার দিকে উপজেলার নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের দমারচর ও নিঝুম দ্বীপের মধ্যবর্তী চ্যানেলে এই ঘটনা ঘটে।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেন নিহতের নাতি ও নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মেহরাজ উদ্দিন। তিনি বলেন, আমার নানা সেকান্তর পেশায় একজন কৃষক ছিলেন। উপজেলার নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের দমারচরেে উনার বেশ কিছু আবাদি কৃষি জমি রয়েছে। ওই সব আবাদি জমি দেখতে সকাল ১০টার দিকে তিনিসহ আরও পাঁচজন পায়ে হেঁটে দমারচরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। যাত্রা পথে দমারচর ও নিঝুম দ্বীপের মধ্যবর্তী চ্যানেলে পৌঁছলে আকস্মিক মেঘনা নদীর জোয়ারের পানিতে তিনি ভেসে যান। খবর পেয়ে ২শতাধিক স্থানীয় মানুষ এক সাথে নদীতে নেমে খোঁজখুঁজির দেড় ঘণ্টা পর দমারচর সংলগ্ন নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে।

হাতিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জয়নাল আবেদী বলেন, জোয়ারের পানিতে ডুবে কৃষকের মৃত্যুর বিষয়টি জানা নেই। তবে এ বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হবে।

;

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৯০ শতাংশই দুর্নীতিতে জড়িত: হাফিজ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৯০ শতাংশ দুর্নীতিতে জড়িত বলে দাবি করেছেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ। তিনি বলেছেন, কাস্টমসে যারা চাকরি করেন, তাদের প্রত্যেকের ঢাকা শহরে দুই-তিনটা বাড়ি আছে। বনবিভাগে যারা চাকরি করেন, তাদের দুই-তিনটা করে সোনার দোকান রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী যদি পদক্ষেপ নেন, তাহলে দুর্নীতি রোধ করতে পারব। না হলে, যে হারে লাগামহীনভাবে বড় বড় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দুর্নীতি করছেন, কি করব? আমরা অসহায়। অনেক সরকারি কর্মকর্তা আছেন তারাও অসহায়। কারণ, এখানে ৯০ শতাংশ লোকই ওইদিকে (দুর্নীতি), ১০-১৫ শতাংশ লোক ভালো থেকে কি করবে?

শনিবার (২৯ জুন) দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ২০২৪-২৫ অর্থ বাজেটের অর্থবিলের ওপর সংশোধনীর আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

হাফিজ উদ্দিন বলেন, নির্বাচনের সময় আমার কি সম্পদ আছে, তা হলফনামায় দিয়ে থাকি। তারপর পাঁচ বছর পরে নির্বাচনে আবার হলফনামা দেই। সেখানে সম্পত্তি কত বাড়ল, একশ গুণ না পাঁচশ গুণ বাড়ল, তা পত্রিকায় নিউজ হয়। আমাদের আমলানামা চলে আসে। কিন্তু সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী যখন প্রথমে চাকরিতে যোগ দেন তখন তারা যদি হলফনামা দিতেন। তারপর পাঁচ-দশবছর হলফনামা দিতে এবং তাদের আলোচনা-সমালোচনা হতো। তাহলে দুর্নীতির চাবিটা বন্ধ হতো। না হলে বন্ধ হবে না। চলতে থাকবে।

সরকারের সফলতা তুলে ধরে জাপা এমপি বলেন, সরকার অনেক প্রশংসা পেয়েছে। কিন্তু শুধু দুর্নীতি বন্ধ করতে পারলে সোনার অক্ষরে যেভাবে ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর নাম রয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর নামও সেভাবে লেখা থাকবে। পদক্ষেপ নিলে দুর্নীতি রোধ সম্ভব হবে। এমপি সাহেবদের যেভাবে আমলনামা আছে, প্রত্যেক সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আমলনামা যদি সেবাবে তৈরি করা হয়, তাহলে দুর্নীতি রোধ করা যাবে।

সংসদ সদস্যদের নির্বাচনী এলাকায় কোনো কার্যালয় নেই বলে উল্লেখ করে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, আমার বাড়ি যে উপজেলায় সেখানে বাড়িকে অফিস হিসাবে ব্যবহার করি। কিন্তু আরেক উপজেলায় বসার জায়গাও নেই। হয় ইউএনও সাহেবের পাশে টেবিল নিয়ে বসতে হয়। তিনি বলেন, নির্বাচনী এলাকায় অনেক সালিশ-বিচার করতে হয়। অনেক সমস্যার সমাধান দিতে হয়। এলজিইডিসহ বিভিন্ন বিভাগের সঙ্গে বসতে হয়, সেজন্য অফিস থাকলে ভালো হয়। প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় সংসদ সদস্যদের জন্য অফিস বরাদ্দ দেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।

;

সাপের কামড়ে যুবকের মৃত্যু, মরদেহ নিয়ে ওঝার অপেক্ষায় স্বজনরা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
নানা আয়োজনে মরদেহ বাঁচিয়ে তোলার চেষ্টা ওঝার/ছবি: বার্তা২৪.কম

নানা আয়োজনে মরদেহ বাঁচিয়ে তোলার চেষ্টা ওঝার/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাতের আধারে মাছ ধরতে গিয়ে বিষধর গোখরা সাপের কামড়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাইফুল ইসলাম (৩৮) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তবে সেই মরদেহ বাঁচিয়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এক ওঝা। মরদেহ দাফন না করে সেই ওঝার অপেক্ষায় রয়েছেন স্বজনরা।

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার ঢালজোড়া ইউনিয়নের পশ্চিম বাসুরা গ্রামে এ ঘটে। মৃত যুবক একই গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে।

এর আগে, গত শুক্রবার (২৮ জুন) রাত ১১টার দিকে বিলে মাছ শিকার করতে গিয়ে সাপের কামড় খায় সাইফুল। এ সময় তার হাতে থাকা টেটা দিয়ে সাপটিকে শিকার করে নিয়ে আসে। পরে আটক করা সাপটি বিষধর গোখরা চিহ্নিত করা হলে সাইফুলকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হয়। হাসপাতালে ভর্তির পর এন্টিভেনম প্রয়োগের পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পরে শনিবার (২৯ জুন) দুপুরে মরদেহ দাফনের আয়োজন করলে, ঢাকার সাভার থেকে এক ওঝা দম্পতি এসে তাকে জীবিত করার প্রতিশ্রুতি দিলে মরদেহ দাফন না করে ফাকা জায়গায় নিয়ে ঝাড়ফুঁকসহ নানাভাবে চেষ্টা করে। সন্ধ্যার দিকে আরো কিছু ওষুধ লাগবে বলে রাত ১১টায় আসার কথা বলে চলে যায়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওঝার অপেক্ষায় ওই মরদেহ নিয়ে বসে আছেন পরিবার।

ঢালজোড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ইছামুদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেছেন। শনিবার যোহরের নামাজের পর তার জানাজা শেষে দাফন হওয়ার কথা থাকলেও ওঝা এসে মৃত ব্যক্তিকে বাঁচানোর চেষ্টা করে।

;