ভালুকায় বাসচাপায় বৃদ্ধ নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
নিহত বৃদ্ধ (৮০) /ছবি: বার্তা২৪.কম

নিহত বৃদ্ধ (৮০) /ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের ভালুকায় যাত্রীবাহী বাসচাপায় অজ্ঞাত পরিচয়ের এক বৃদ্ধ (৮০) নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার ভারাডোবা বাসস্ট্যান্ডে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ময়মনসিংহগামী লেনে ওই দুর্ঘটনা ঘটে।

ভরাডোবা হাইওয়ে থানার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ভারাডোবা বাসস্ট্যান্ডে ময়মনসিংহগামী একটি বাসে উঠার চেষ্টা করছিলেন ওই বৃদ্ধ। ওই সময় তৃতীয় লিঙ্গের (হিজরা) একাধিক ব্যক্তি একই বাসে উঠতে চাইলের বাস হেল্পার তাদের বাধা দেন। এতে, হুড়াহুড়ি লেগে গেলে নিজেকে সামলাতে না পেরে মহাসড়কের উপর পড়ে যান ওই বৃদ্ধ। একই সময় বাসটি ছেড়ে দিলে তিনি বাসের পেছনের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। খবর পেয়ে ভরাডোবা হাইওয়ে থানা পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হিজরাদের হুড়াহুড়িতে ওই লোকটি পড়ে যান এবং বাসের চাপায় পিষ্ট হয়ে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যায়।

ভরাডোবা হাইওয়ে থানার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের পরিচয় উদঘাটনের চেষ্টা চলছে এবং এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

চুয়াডাঙ্গায় কাফন ও বিষের বোতল নিয়ে কৃষকদের বিক্ষোভ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নে তিন ফসলি জমিতে সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ প্রকল্পের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে স্থানীয়রা। এ সময় তারা কাফনের কাপড় পরিধান করে ও বিষের বোতল হাতে নিয়ে প্রতিবাদ জানান।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপনে সরেজমিনে তদন্তে আসে ৪ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। এ সময় গ্রামের কৃষক-কৃষাণীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন ও এ প্রকল্প বাতিলের দাবি জানান।

কৃষকদের বিক্ষোভে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় হলে বিশৃঙ্খলা ও যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এ সময় হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয় পুলিশ।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, জীবননগর উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর মাঠের জমি খাদ্য উৎপাদনে একটি কৃষি সমৃদ্ধ মাঠ। এ জমিতে সব ধরনের ফসল ফলানো হয়। কিন্তু কয়েক বছর আগে ওই গ্রামের ১৮০ একর জমিতে ৫০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপনের উদ্যোগ নেয় সিঙ্গাপুরভিত্তিক বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান ‘সাইক্লেক্ট এনার্জি পিটিই লিমিটেড’। ওই প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহল জমি বিক্রির জন্য মালিকদের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। প্রকল্পের জন্য যে জমি নির্বাচন করা হয়েছে, তা সবই তিন ফসলি।

সেখানে প্রকল্প স্থাপন করলে কৃষির ওপর নির্ভরশীল গ্রামের ৫ হাজারেরও বেশি মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়বেন। পুরো গ্রামে জমির পরিমাণ ৬০০ একর। যার মধ্যে ৬০ শতাংশই কৃষিজমি। এছাড়া ২০ শতাংশ বসতভিটা ও বাকি ২০ শতাংশ বাগান ও অন্যান্য স্থাপনা। মাঠের জমিতে সব ধরনের ধান, ডাল, পাট, গম, আলু, ভুট্টা, বাদাম, পেয়ারা, তিল এবং বিভিন্ন ধরনের শীতকালীন ও গ্রীষ্মকালীন শাকসবজি চাষ করা হয়।

ওই সৌর বিদ্যুৎ স্থাপনের বিষয়ে চার সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে ভূমি মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার সরেজমিনে কৃষ্ণপুর গ্রামে তদন্তে আসেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ও তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক মোছাম্মাৎ মমতাজ বেগম, বিদ্যুৎ বিভাগের (নবায়নযোগ্য জ্বালানি-১) উপ-সচিব ও তদন্ত কমিটির সদস্য আলী আফরোজ, তদন্ত কমিটির সদস্য ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর চুয়াডাঙ্গার উপ-পরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা ও চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. মিজানুর রহমান।

সরেজমিনে কৃষ্ণপুর গ্রামে দেখা যায়, সকাল থেকে গ্রামের নারী-পুরুষ একত্র হয়ে ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে গ্রামের প্রবেশমুখে মানববন্ধন করছেন। উত্তেজনাকর পরিস্থিতি এড়াতে ওই এলাকার মোড়ে মোড়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পুলিশের কড়া নিরাপত্তায় তদন্ত কমিটি দল গ্রামে পৌঁছালে গ্রামবাসী বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। পরে তদন্ত দল ওই গ্রামের মাঠ ঘুরে দেখেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হাসিনা মমতাজ, জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম জাবীদ হাসানসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

তদন্ত শেষে বিক্ষুব্ধ কৃষকদের শান্ত করে ভূমি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ও তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক মোছাম্মাৎ মমতাজ বেগম বলেন, ‘এই ধরনের জমিতে কী ধরনের ফসল হয়, এলাকাবাসী কী চায়, আমাদেরকে এটা তদন্ত করার জন্য পাঠিয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়। আমরা জমি দেখলাম, এখানকার কৃষি অফিসারের কাছে তথ্য নিয়েছি, আপনাদের কথাও আমরা শুনলাম। সব বিষয় বিবেচনা করে আমরা একটি প্রতিবেদন দেব।’

এদিকে স্থানীয় কৃষকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা কৃষিকাজ করে খাই। আমাদের মাঠে বছরে তিনটির অধিক ফসল চাষ হয়। আমাদের মাঠে ভুট্টা, ধান, পাট, আলু, পেয়ারা, বাদাম, সব ধরনের ফসল উৎপাদন হয়। আমরা জীবন দিতে রাজি আছি, কিন্তু আমাদের মাঠ দিতে রাজি নাই।’

;

জামালপুরে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, পানিবন্দি হাজারো পরিবার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, জামালপুর
বিপৎসীমার ৭০ সেন্টিমিটার ওপরে যমুনার পানি

বিপৎসীমার ৭০ সেন্টিমিটার ওপরে যমুনার পানি

  • Font increase
  • Font Decrease

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে জামালপুরে বিভিন্ন নদ-নদীর পানি হু হু করে বাড়ছে। প্লাবিত হচ্ছে জেলার নিম্নাঞ্চল। ইতোমধ্যে চারটি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সড়ক ও বসত বাড়িতে পানি উঠতে শুরু করেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েকটি ইউনিয়নের হাজারো পরিবার।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেওয়ানগঞ্জের বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি ৬৮ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

অন্যদিকে পানির স্রোতে দেওয়ানগঞ্জ থেকে খোলাবাড়ি যাওয়ার প্রধান সড়কের ব্রিজের পাশের মাটি সরে গেছে। ফলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এছাড়া কাঠারবিল এলাকায় আঞ্চলিক সড়ক ভেঙে গেছে।

প্লাবিত হচ্ছে জেলার নিম্নাঞ্চল

জামালপুরের পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক (গেজ রিডার) আব্দুল মান্নান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৮ সেন্টিমিটার পানি বেড়ে বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী আরও দুই থেকে তিনদিন পানি বাড়তে পারে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার ইসলামপুর উপজেলার চিনাডুলী, নোয়ারপাড়া, কুলকান্দি, পাথর্শী, সাপধরী, বেলগাছা ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চিকাজানী, চুকাইবাড়ী, বাহাদুরাবাদ এবং মেলান্দহ উপজেলার ঘোষেরপাড়া, আদ্রা, মাহমুদপুর, নাংলা ও কুলিয়া ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে।

বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানান, জামালপুর জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন।

;

মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা কর্মীরা টাকা ফেরত পাবেন: প্রতিমন্ত্রী 



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
শফিকুর রহমান চৌধুরী, ছবি: বার্তা২৪.কম

শফিকুর রহমান চৌধুরী, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা কর্মীরা টাকা ফেরত পাবেন, ১৫ দিনের মধ্যে টাকা না দিলে বায়রাসহ সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) তিনি এ কথা বলেন। 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্মার্ট পরিকল্পনায় দেশ এগিয়ে যাচ্ছে  আমরা সবাই মিলে একসঙ্গে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব।

তিনি বলেন, মালয়েশিয়া ইস্যু নিয়ে আমরা সবাই উদ্বিগ্ন। মানুষ জানতে চায় কী হয়েছে? মালয়েশিয়ার সঙ্গে আমাদের অনেক দিন আগে থেকে কাজ চলে, মাঝখানে বন্ধ হয়েছিল। আবারও শুরু হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এবার আমাদের ৫ লক্ষ ২২ হাজার অনুমোদন ছিল। এর মধ্যে যেতে পেরেছে ৪ লক্ষ ৭৬ হাজার। ডেটলাইন যা ছিল তা আমরা অবহিত করেছিলাম। মে মাসের দুই তারিখ ১০টি পেপারে এবং বিভিন্ন অনলাইনে আমরা বিজ্ঞাপন দিয়েছি। ১৫ তারিখ আমরা সবার সঙ্গে মিটিং করেছিলাম। সব মিলে ২২ ফ্লাইটসহ ৪৪টি চার্টার ফ্লাইট গেছে। বিভিন্ন এয়ারলাইনস গেছে। তবে আমাদের হিসেব মতে ১৭৭৭৭ জন যেতে পারেনি। অনেকে জায়গা জমি বিক্রি করে, ঋণ নিয়ে, কষ্টার্জিত টাকা দিয়েছে। 

তদন্ত কমিটির তথ্য মতে, ১০০ টি এজেন্ট কারো ১০,৫০,৫০০ জন করে যেতে পারেনি। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যারা যেতে পারেনি সবার টাকা আমরা ফেরত দিব। বায়রার সঙ্গে মিটিং হয়েছে। কোনো মাধ্যমে টাকা দিয়েছে তার প্রমাণ দিলেই সম্পূর্ণ টাকা ফেরত দেওয়া হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, গরিবের টাকা রিটার্ন দেওয়া আমাদের প্রথম কাজ। এবং এই মাসের শেষে মালয়েশিয়াতে আমরা আবারও যোগাযোগ করছি৷  যাওয়ার পারমিট পেলে যারা যেতে পারেনি, তাদের অগ্রাধিকার আগে দেওয়া হবে।

;

রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও মিয়ানমারের আবাসিক রাষ্ট্রদূত কাও সো মো

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও মিয়ানমারের আবাসিক রাষ্ট্রদূত কাও সো মো

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া জোরপূর্বক বাস্তচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে নিরাপদে ও সম্মানজনকভাবে তাদের নিজ মাতৃভূমি মিয়ানমার ফিরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বঙ্গভবনে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত মিয়ানমারের আবাসিক রাষ্ট্রদূত কাও সো মো রাষ্ট্রপতির কাছে তার পরিচয়পত্র পেশকালে তার মাধ্যমে মিয়ানমার সরকারকে তিনি এ আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, বিদ্যমান রোহিঙ্গা সমস্যা বাংলাদেশের জন্য একটি বড় সমস্যা। আশা করি, জোরপূর্বক বাস্তচ্যুত এসব জনগণ যাতে নিরাপদে ও সম্মানজনকভাবে তাদের নিজ মাতৃভূমিতে ফিরে যেতে পারে মিয়ানমার সেই পরিবেশ সৃষ্টি করবে।

রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন পরে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেয় বাংলাদেশ।

নতুন রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, নিকটতম প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ সবসময় মিয়ানমারের সঙ্গে ভালো দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বজায় রাখাকে অগ্রাধিকার দেয়।

রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন আশা প্রকাশ করেন, তার দায়িত্ব পালনকালে দেশটির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও সম্প্রসারিত হবে। উভয় দেশেরই অন্বেষণের অনেক সম্ভাবনা রয়েছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক রয়েছে এবং উভয় দেশেরই এই সুযোগগুলো কাজে লাগাতে হবে।

বাংলাদেশ আগামী সেপ্টেম্বরে বিমসটেকের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, বিমসটেক-কে শক্তিশালী করতে মিয়ানমারের সাথে বাংলাদেশ ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ আসিয়ানের ডায়লগ পার্টনার হতে চায়। এই ব্যাপারে তিনি মিয়ানমারের সমর্থন ও সহযোগিতা কামনা করেন। রাষ্ট্রদূত ঢাকায় তার দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতির সহযোগিতা কামনা করেন।

তিনি বলেন, মিয়ানমার থেকে বাস্তচ্যুতদের কারণে সৃষ্ট সমস্যা সমাধানে তার দেশ কাজ করছে।

মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত বলেন, এই ব্যাপারে বাংলাদেশের উদ্বেগের কথা তিনি তার সরকারকে জানাবেন এবং সমস্যার সমাধানে উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।

সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আদিল চৌধুরী এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এরআগে, রাষ্ট্রদূত বঙ্গভবনে পৌঁছলে রাষ্ট্রপতির গার্ড রেজিমেন্টের (পিজিআর) একটি অশ্বারোহী দল অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে রাষ্ট্রদূতকে ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করে।

;