নগরে সবুজের মেলা



রুহুল আমিন ও গুলশান জাহান সারিকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
নগরে সবুজের মেলা

নগরে সবুজের মেলা

  • Font increase
  • Font Decrease

আমকে বলা হয় ফলের রাজা। দেশে গোপালভোগ, ক্ষীরশাপাতি, ফজলি, ল্যাংড়া, আম্রপালিসহ আরও বেশ কয়েক ধরনের আমের চাষ হয়। এসব আসে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সাতক্ষীরা ও নওগাঁ থেকে। ফলে গাছ থেকে পেড়ে খাওয়ার সৌভাগ্য হয় না রাজধানী শহরে থাকা অনেকেরই। তবে এবার সে সুযোগ মিলছে খোদ রাজধানীতে।

শুধু আম নয় জাতীয় ফল কাঁঠাল থেকে শুরু করে জাম, কলা, লিচু, বেল, লটকন, খেজুর, মাল্টা, সুইট লেমনসহ আরও শত শত প্রজাতির ফলসহ গাছের দেখা মিলছে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে। নিজ হাতে পেড়ে খাওয়ারও মিলছে সুযোগ; তবে সে জন্য কিনতে হবে গাছ।

গত ৫ জুন থেকে শুরু হয়েছে জাতীয় বৃক্ষমেলা-২৪।  বৃক্ষমেলার এবারের প্রতিপাদ্য 'বৃক্ষ দিয়ে সাজাই দেশ, সমৃদ্ধ করি বাংলাদেশ'। বন অধিদপ্তরের এবারের মেলায় শুধু ফলের গাছই নয়, দেখা মিলছে ফুল, ঔষধি, বনজ, ঘর সাজানোর অর্কিড, বনসাইসহ দেশি-বিদেশি কয়েক হাজার প্রজাতির প্রায় কয়েক লক্ষাধিক গাছের।


সরেজমিনে বুধবার (৩ জুলাই) মেলা প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা মেলে এক চিরায়ত বাংলার। এক সবুজের সমারোহের যে বাংলার কথা বলে গেছেন জীবনানন্দ দাশ থেকে সামসুল হক। কংক্রিটের এই শহরে একটু যেন অভিশাপমুক্ত অক্সিজেন।

মেলায় নেই কোন প্রবেশ ফি, তাই টিকেট কাটারও নেই বাড়তি ঝামেলা। গেইট দিয়ে ঢুকেই ডানে, বামে ও সোজা তিনদিকে চলে গেছে তিনটি রাস্তা। চারদিকে শুধু গাছ; ফলের গাছ, ফুলের গাছ, বাহারি পাতার বাহারি রঙের গাছ। ফল, ফুল, বনজ সব মিলিয়ে এক অন্যরকম আবহ।

হাতের ডান দিয়ে ঢুকে দুই/তিনটি দোকান পার হলেই দেখা মেলে কিশোরগঞ্জ নার্সারির। সেখান থেকে গাছ কিনছিলেন মোসাল্লেমা আক্তার। মেলায় এসেছেন দুই সন্তানকে নিয়ে। গাছও কিনেছেন বেশ কয়েকটি। দরদাম করছিলেন গাছ বহনকারী ব্যক্তির সঙ্গে। গাছ কেনা শেষ? জানতে চাইলে বার্তা২৪.কমকে তিনি বলেন, কিছু কিনেছি আরও কিছু নিবো।


মেলায় এসে কেমন লাগছে, এমন প্রশ্নের জবাবে মোসাল্লেমা বলেন, এখন পর্যন্ত ৭/৮ বার চলে আসছি। বাসা এখানেই (আগারগাঁও) তাই যখনই কোন গাছের কথা মনে হয়, চলে আসি। গাছ কেনা এখন আমার নেশায় পরিণত হয়েছে।

শহরে তো জায়গার সীমাবদ্ধতা, এতো গাছ কিনছেন লাগাবেন কোথায় এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার ফ্ল্যাট মোটামুটি বড়। চারটি বারান্দা আছে, এর মধ্যে একটিতে অর্কিড বাগান করেছি ও বাকি তিনটিতে বিভিন্ন ফুলের গাছ লাগিয়েছি। আবার ছাদেও ছোট একটি ছাদ বাগান বানিয়েছি, যেখানে নানা প্রজাতির ফল গাছ আছে। এগুলোর  জায়গাও সেখানেই হবে।

সেখান থেকে মোসাল্লেমাকে ধন্যবাদ জানিয়ে সামনে আগাতে থাকি। এমন সময় আকাশ ভেঙে বৃষ্টি নামে। বৃষ্টির রিমঝিম শব্দ আর গাছ-গাছালির কলতানে সবাই তাকিয়ে আছে সবুজের সমারোহের দিকে, টুপ টুপ করে পড়া বৃষ্টির ফোটা গাছের পাতা, কাণ্ড, ডাল হয়ে গড়িয়ে পড়ছে মাটিতে আবার কোথাও বা পরশ বুলিয়ে দিচ্ছে আম, জাম, কাঁঠাল বা অন্য কোন ফলের গায়ে।  


মোট চার সারিতে থরে থরে বিভিন্ন জাতের গাছের পশরা সাজিয়ে বসেছেন মানিকগঞ্জ নার্সারির মালিক মো. আজমত আলী। কয়েকশ' প্রজাতির প্রায় কয়েক হাজার গাছ আছে তার এই বাগানে। গোলাপ, গাঁদা, কনকচাঁপা, নয়নতারা, টগর, জুঁই থেকে শুরু করে আম, কাঁঠাল, জাম্বুরা, কমলা, বেদানা ও মাল্টাসহ এরকম দেশি-বিদেশি নানা জাতের নানান গাছ। তবুও হাসি নেই তার মুখে।

বেচা-বিক্রি কেমন জানতে চাইলে আজমত আলী বার্তা২৪.কমকে বলেন, মোটামুটি বিক্রি হচ্ছে। তবে অন্যান্য বারের তুলনায় এবার বিক্রি কম। সেই সাথে বের হয়ে আসে মুখে হাসি না আসার কারণও। কী গাছ বেশি বিক্রি হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ফুলের গাছ বেশি বিক্রি হচ্ছে। তবে ফলও হচ্ছে, এর মধ্যে আম গাছটাই মানুষ বেশি নিচ্ছে।

বিক্রি কম কেন জানতে চাইলে আজমত আলী বলেন, মেলা শুরু হয়েছে ঈদের আগে, ঈদের কারণে তখন লোকজন খুব একটা আসেনি। এখন ঈদ শেষে ক্রেতারা আসছেন, তবে সে সংখ্যাও বেশি না।

এবারের মেলায় আলোচনায় এসেছে যে দুটি গাছ এর মধ্যে একটি খান নার্সারির বারহি জাতের সৌদিয়ান খেজুর গাছ। গাছটিতে প্রায় ৬/৭ থোকায় ধরে আছে খেজুর, তবু ক্রেতা পাচ্ছেন না নার্সারিটির মালিক।

এবারের মেলায় বিক্রি কেমন জানতে চাইলে নার্সারিটির মালিক সজিব হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, এখন পর্যন্ত বেচা-বিক্রি মোটামুটি!

মোটামুটি কেন? আপনার খেজুর গাছ তো 'সেলিব্রিটি হয়ে গেছে' এমন প্রশ্নের জবাবে সজিব বলেন, এটাই আরও বিক্রি কমিয়ে দিছে। মানুষ খালি থাকলে আসে, কিন্তু এই খেজুর গাছের কারণে কেউ আসছে না। আর যারা আসে সবাই ছবি তুলতে আসে। কিন্তু ক্রেতারা কম আসে।


'সেলিব্রিটি' খেজুর গাছের দাম কত জানতে চাইলে এই বিক্রেতা বলেন, আমরা তো ৬ লাখ টাকা চাচ্ছি। ক্রেতা পাচ্ছেন না? এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, ঈদের আগে কয়েকজন জিজ্ঞেস করলেও ঈদের পর আর কেউ দামও জানতে চাচ্ছে না!

মেলা ঘোরা শেষে বেরিয়ে যাবার সময় দেখা হয় আরেক গাছপ্রেমি সানজিদা আক্তারের সঙ্গে। মেলায় মেয়েকে নিয়ে এসেছেন। থাকেন রাজধানীর গ্রিনরোডে। বাসায় বারান্দা আছে তিনটি, সবগুলোই ভর্তি গাছে। তবু গাছ কেনার সাধ যেন শেষ হয় না তার। বাসার কোন জায়গায় আর ফাঁকা আছে, কতটুকু ফাঁকা আছে, কোন গাছটিকে রাখা যাবে এনিয়েই আলাপ করছিলেন মেয়ের সঙ্গে।

এমন সময় উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞেস করি, বৃক্ষমেলায় গাছ কেনায় কেমন লাগছে? প্রশ্নের জবাবে সানজিদা বার্তা২৪.কমকে বলেন, গাছ বলতেই আমি পাগল। যা দেখি সবই ভাল লাগে, ইচ্ছে হয় সবই নিয়ে যাই, কিন্তু বাসায় আর জায়গা নেই। তারপরও একটি কসমস ফুলের গাছ নিছি, আরও দেখছি কী নেওয়া যায়।

এবারের মেলায় সরকারি-বেসরকারি ৮০টি প্রতিষ্ঠান ও নার্সারির ১২০টি স্টল বসেছে। যেখানে প্রায় দেশি-বিদেশি ২ শতাধিক প্রজাতির ফলদ, বনজ ও শোভাবর্ধক গাছের পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। এর মধ্যে বেশি বিক্রি হচ্ছে ছাদ-বাগান ও ঘর সাজানোর গাছ। গাছের পাশাপাশি বীজ, সার, মাটি, কীটনাশক, টব, ল্যান্ডস্কেপ ডিজাইন, টব বা গাছ রাখার বিভিন্ন আসবাবপত্রও বিক্রি হচ্ছে।

মেলার তথ্যকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা বন্যপ্রাণি ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা সোহেলা সরকার বার্তা২৪.কমকে বলেন, মেলার প্রথমদিকে বিক্রি কিছুটা কম থাকলেও এখন বিক্রি বাড়ছে। তখন যেহেতু ঈদ ছিল, তাই ক্রেতার উপস্থিতি কম ছিল। ঈদের পর থেকে সে অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে।

ক্রেতারা সাধারণত সন্ধ্যার দিকে বেশি আসেন জানিয়ে এ কর্মকর্তা আরও জানান, গত ১ জুলাই পর্যন্ত পাওয়া হিসেবে এখন পর্যন্ত মেলা থেকে গাছ বিক্রি হয়েছে ২১ লাখ ৬১ হাজার ১০৩টি। যার মোট মূল্য ১১ কোটি ৮১ লাখ ২ হাজার ৬৮৭ টাকা।

ভবনের নকশা অনুমোদনে খালি জায়গায় গাছ লাগানোর শর্ত যুক্ত করার নির্দেশনা গণপূর্তমন্ত্রীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ভবনের নকশা অনুমোদনে খালি জায়গায় গাছ লাগানোর শর্ত যুক্ত করার নির্দেশনা গণপূর্তমন্ত্রীর

ভবনের নকশা অনুমোদনে খালি জায়গায় গাছ লাগানোর শর্ত যুক্ত করার নির্দেশনা গণপূর্তমন্ত্রীর

  • Font increase
  • Font Decrease

ভবনের নকশা অনুমোদনে খালি জায়গায় গাছ লাগানোর শর্ত যুক্ত করার নির্দেশনা দিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।

সোমবার (৮ জুলাই) সকালে পূর্বাচলের ১ নম্বর সেক্টরের ম্যাকানিক্যাল স্ট্যাকইয়ার্ডে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ সপ্তাহের (৮-১৪ জুলাই) উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ‘বৃক্ষ দিয়ে সাজাই দেশ, সমৃদ্ধ করি বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে এই বৃক্ষরোপণ সপ্তাহ উদযাপন করা হচ্ছে। এ বছর পাঁচ লাখ গাছ লাগানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়।

গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা হচ্ছে, গাছ লাগানোকে সামাজিক আন্দোলনে রুপান্তর করতে হবে। সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে বাংলাদেশে অনেক গাছ লাগানো হয়েছে, তবে এক্ষেত্রে ঘাটতিও রয়েছে। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং এর অধীন দপ্তর-সংস্থার মালিকানা/নিয়ন্ত্রণে যেসব জমি রয়েছে, তার খালি অংশে বৃক্ষরোপণ করা হবে। আগামী এক বছরে আমরা পাঁচ লক্ষ গাছ লাগানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি। কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অন্যান্যরা যারা উপস্থিত আছেন, এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সবার সহযোগিতা কামনা করছি।

গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, বাড়ি করার জন্য রাজউক যে সকল শর্তের ভিত্তিতে নকশা অনুমোদন দেয়, সেখানে একটি শর্ত যুক্ত করতে বলেছি- তারা যেন বাড়ির অবশিষ্ট জায়গায় গাছ লাগায়, অন্তত ফুলের বাগান হলেও যেন করে। তাতেও বনায়নের কিছুটা কাজ হবে।

গণপূর্তমন্ত্রী আরো বলেন, পূর্বাচলে বাড়ি বানানোর ক্ষেত্রে অন্তত ২০ শতাংশে যেন গাছ লাগানো হয়, সেটি খেয়াল রাখতে হবে, ফলদ, বনজ এবং ঔষধি- যেকোনো ধরনের গাছ হতে পারে। একই সঙ্গে নিজেদের খাওয়ার উপযোগী সবজি উৎপাদন করা যেতে পারে। ঘরের বারান্দায়, ছাদে বা বাড়ির আঙিনায় কাঁচামরিচ বা এ ধরনের অনেক কিছু নিজেরা আবাদ করা যায়।

সভাপতির বক্তব্যে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নবীরুল ইসলাম মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর/সংস্থায় কর্মরত সবাইকে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, গাছ লাগাতে বেশি সময় লাগে না, আমরা যেন এটা করতে গিয়ে অফিসের কাজে ফাঁকি না দেই। অফিসের কাজের পাশাপাশি অনায়াসে গাছ লাগানো যায়। ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য শহরে নগরকৃষির জনপ্রিয়তা বাড়ানোর প্রতি গুরুত্বারোপ করেন গণপূর্তসচিব।

অনুষ্ঠান শেষে মন্ত্রী ও সচিব ম্যাকানিক্যাল স্ট্যাকইয়ার্ড চত্বরে খালি জায়গায় একটি করে নারিকেল গাছের চারা রোপণ করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন রাজউক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) ড. মো: ছিদ্দিকুর রহমান সরকার। বক্তব্যের পর উপস্থিত রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ এবং আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। অনুষ্ঠানে গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো: শামীম আখতার, স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতি মীর মঞ্জুরুর রহমান এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন দপ্তর/সংস্থার উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

;

ট্রেনের আসন কমানোর প্রতিবাদে ঠাকুরগাঁওয়ে মানববন্ধন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ঠাকুরগাঁও হতে ঢাকা ট্রেনের আসন কমানোর প্রতিবাদে ঠাকুরগাঁওয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

সোমবার ১২টায় জেলা শহরের চৌরাস্তায় 'বদলে দাও ঠাকুরগাঁও' এর আয়োজনে ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় বক্তব্য রাখেন, 'বদলে দাও ঠাকুরগাঁও' এর প্রধান সমন্বয়ক বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ডেপুটি এটর্নি জেনারেল ব্যারিষ্টার নুর উস সাদিক, এটিএন নিউজ এর জেলা প্রতিনিধি এম এ সামাদ, সাংবাদিক এস এম জসিম, সাংবাদিক আল মামুন, এ্যাডভোকেট আশিকুর রহমান রিজভী, আরমান শিহাব প্রমূখ।

এ সময় বক্তারা বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ে আগেও ট্রেনের বগি পরিবর্তন করা হয়েছে যার ফলে ঠাকুরগাঁও পঞ্চগড়ের মানুষের অনেক দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। একদিকে যেমন ট্রেনের বগি পরিবর্তন করেছে অন্যদিকে কয়েকদিন আগে আবার ট্রেনের আসন সংখ্যা কমিয়ে আনা হয়েছে যা আমাদের উত্তরবঙ্গের মানুষের সাথে বৈষম্যমূলক আচরণ। সকলের দাবি বাংলাদেশের সবচেয়ে দূরত্বের জায়গা ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড় তাই এই অঞ্চলে ভালো মানসম্পন্ন ট্রেনের পাশাপাশি আসন সংখ্যা বাড়ানো হোক।

এ সময় বক্তারা আরো বলেন, আমাদের আসন সংখ্যা যেটা পূর্বের ছিল সেই আসন সংখ্যা থেকে ৬০টি আসন কমানো হয়েছে। আমরা মনে করি আরও আসন সংখ্যা বেশি দিয়ে যদি ভালো মানের বগি দেওয়া হয় তাহলে এই অঞ্চলে মানুষের জন্য অর্থনৈতিক যেরকম পথ সুগম হবে অন্যদিকে যাতায়াতের রাস্তাও সুখময় হবে।

বক্তারা পরবর্তিতে আরও বড় আন্দোলনের হুশিয়ারী দেন মানববন্ধন থেকে।

;

রথযাত্রায় ৫ জনের মৃত্যুতে বিরোধীদলীয় নেতার শোক



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের, ছবি: বার্তা২৪.কম

বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব রথযাত্রায় বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে ৫ জনের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের।

সোমবার (৮ জুলাই) এক শোকবার্তায় নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন বিরোধীদলীয় নেতা।

শোকবার্তায় বলেন, ধর্মীয় অনুষ্ঠানে এমন শোকাবহ সংবাদে আমি ব্যক্তিগতভাবে মর্মাহত। এমন দুঃখজনক সংবাদে জাতি ব্যথিত। আমরা আশা করছি, আগামী দিনগুলোতে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে সর্বোচ্চ সতর্কতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে সংশ্লিষ্ট সব মহল সচেতন থাকবেন।

বগুড়ায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব রথযাত্রায় বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে ৫ জনের মৃত্যুতে একইভাবে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টি মহাসচিব মোঃ মুজিবুল হক চুন্নু এমপি।

;

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ২৫



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: ডিএমপি

ছবি: ডিএমপি

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে ২৫ জনকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ। মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে তাদের আটক করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

রোববার (৭ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে সোমবার (৮ জুলাই) সকাল ছয়টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ তাদেরকে আটক করা হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩৭৮ পিস ইয়াবা, ৩৬০ গ্রাম হেরোইন, ২ কেজি ৯৫০ গ্রাম গাঁজা, ২০ লিটার দেশি মদ ও ৭১ বোতল বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জা‌নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ।

ডিএমপির নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে এ অ‌ভিযান প‌রিচালনা করা হয়েছে বলে জানানো হয়। সেই সঙ্গে আটককৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে, ১৯ টি মামলা রুজু হয়েছে বলেও জানানো হয়।

;