বন্যা মোকাবিলায় বাংলাদেশকে ১০ লাখ ইউরো দেবে ইইউ

  • Mustafizur Rahman
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

দেশের উত্তরাঞ্চলে আঘাত হানা বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ১০ লাখ ইউরো (প্রায় ১২ কোটি ৭০ লাখ টাকা) মানবিক সহায়তা ঘোষণা করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) ইইউ জানিয়েছে, এই তহবিল দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার ঝুঁকিপূর্ণ মানুষের সবচেয়ে জরুরি প্রয়োজন মেটাতে সহায়তা করবে।

বিজ্ঞাপন

ইইউ'র ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট বিষয়ক কমিশনার জানেজ লেনারসিক বলেন, মৌসুমি বন্যা বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের মানুষকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করেছে।

তিনি বলেন, মৌসুমি ঘূর্ণিঝড় রিমালের পরে আমরা যেমনটি করেছিলাম, ইইউ আবারও সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর জন্য তার সহায়তার হাত প্রসারিত করেছে। এই তহবিল অনেক প্রয়োজনীয় ত্রাণ সরবরাহ করতে সহায়তা করবে।

বিজ্ঞাপন

ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে যাদের বাসস্থান, খাদ্য, সুপেয় পানি, স্বাস্থ্যবিধি এবং স্যানিটেশন সরবরাহের প্রয়োজন তাদের জন্য নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়াসহ সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায়কে সহায়তায় ব্যবহার করা হবে এই তহবিল।

চলতি বছরের শুরুতে বাংলাদেশকে মানবিক সহায়তায় ইতোমধ্যে তিন কোটির বেশি অর্থ এসেছে। এর পরেই নতুন এই বরাদ্দ পেল বাংলাদেশ।

এই সহায়তা মূলত কক্সবাজারে বসবাসরত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে সহায়তার পাশাপাশি দেশের অন্যান্য জরুরি অবস্থা যেমন সাম্প্রতিক তাপপ্রবাহ এবং মৌসুমি ঘূর্ণিঝড় রিমালের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার পাশাপাশি আগাম পদক্ষেপের জন্যও অর্থায়ন করা হয়।

গত দুই মাসে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে বন্যা দেখা দিয়েছে। শুধু বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলেই ৩৭ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ চলছে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলেও।

ক্ষতিগ্রস্ত ছয় লাখেরও বেশি মানুষের আশ্রয় প্রয়োজন বলে অনুমান করা হয়। ঘূর্ণিঝড়ের মৌসুম এখনো থাকায় অতিরিক্ত বন্যার ঝুঁকি রয়েছে। ফলে এটি বিদ্যমান চাহিদাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।

ঢাকার ইইউ দূতাবাস জানিয়েছে, মে মাসে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে এ পর্যন্ত দেশের ৩০ শতাংশ এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।