মুক্ত হয়েই আরিফ বললেন, ‘শহীদদের যে রক্ত ঝরেছে, এর জবাব আমরা নেবো’

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: কোটা সংস্কার আন্দোলনের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক আরিফ সোহেল

ছবি: কোটা সংস্কার আন্দোলনের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক আরিফ সোহেল

জামিনে মুক্ত হয়েই কোটা সংস্কার আন্দোলনের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক আরিফ সোহেল বলেছেন, ‘শহীদদের যে রক্ত ঝরেছে, এর জবাব আমরা নেবো।’ সেতু ভবনে হামলার মামলায় শনিবার (৩ আগস্ট) ঢাকার সিএমএম আদালত থেকে জামিন পান তিনি। এরপর সন্ধ্যায় সিএমএম আদালতের হাজতখানা থেকে মুক্তি পান তিনি।

মুক্ত হয়ে আরিফ সোহেল সাংবাদিকদের বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। কোটা সংস্কারের দাবিতে একটা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে সন্ত্রাসী বাহিনীসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় সংস্থা হামলা করে। আমরা তার বিচার চেয়েও আন্দোলন চালিয়ে গেছি। আমরা বলেছি, শহীদদের রক্তের ওপর পাড়া দিয়ে আমরা আন্দোলন বন্ধ করতে পারি না।

বিজ্ঞাপন

আরিফ বলেন, আমি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় থাকি। সেখানে থেকেই সমন্বয়ক হিসেবে আন্দোলন পরিচালনা করে আসছি। অথচ আমাকে বনানীর সেতু ভবন ভাংচুরের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। যেখানে আমি শেষ কবে গিয়েছি বা গিয়েছি কি না, বলতে পারি না। এ মামলায় আমাকে ৬ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আপনাদের সবার সমর্থনে আমি জামিন পেয়েছি। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ফসল হিসেবে জামিন পেয়েছি।

তিনি আরও বলেন, একটা পরিষ্কার বার্তা দিতে চাই, হামলা, মামলা করে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না। শহীদদের যে রক্ত ঝরেছে, এর জবাব আমরা নেবো। এর জন্য যারা দায়ী, তারা রাষ্ট্রের যে পর্যায়ের ব্যক্তিত্ব হোন না কেন, তাদেরকে বিচারের আওতায় আসতে হবে, জবাবদিহি করতে হব জনগণের কাছে। তার আগ পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। আমরা মরতে শিখে গেছি, শহীদ হতে শিখে গেছি। আমাদের আর ভয় দেখিয়ে লাভ নেই।

বিজ্ঞাপন

গত ২৭ জুলাই রাত সোয়া ৩টার দিকে আট-নয়জনের ডিবির একটি দল আরিফ সোহেলকে গ্রেফতার করে। এরপর তাকে সেতু ভবনে হামলা মামলায় রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়।