গাইবান্ধায় ঘন কুয়াশার সঙ্গে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় ক্রমেই বাড়ছে ঠান্ডার প্রকোপ। ফলে শীতের প্রভাব পড়েছে জনজীবনে।
গতকাল সোমবার (৯ ডিসেম্বর) থেকে মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সকাল সাড়ে সোয়া ১০ টায় দেখা মেলেনি সূর্যের। গত রোববার শীতের আবাহাওয়া কিছুটা অনুভূত হলেও গতকাল থেকে সূর্য না ওঠায় শীত তার নিজস্ব রূপ ধারণ করতে শুরু করেছে। বিশেষ করে সকাল-সন্ধ্যায় ঠান্ডা বাতাসের সঙ্গে কুয়াশার ঘনত্ব পরিস্থিতি আরও কঠিন করে তুলেছে।
মঙ্গলবার সকাল সোয়া ১০ টায় গাইবান্ধা শহরের সড়কগুলোতে যানবাহনের চলাচল তুলনামূলক কম দেখা গেছে। মানুষজন জরুরি কাজ ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। তবে, শিক্ষার্থী এবং কোমলমতি শিশুদের নিয়ে স্কুলে যেতে দেখা গেছে অভিভাবকদের।
গাইবান্ধার সদর উপজেলার রাধাকৃষ্ণপুর গ্রামের শরিফুল ইসলাম তারা বলেন, গত দুদিন থেকে শীত নামতে শুরু করেছে। আজকে অনেক বেশি ঠান্ডা অনূভুত হচ্ছে। কিছুটা হাত পা টাটাচ্ছে।
কলেজিয়েট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থীর তামান্ন জাহান নামের এক অভিভাবক বলেন, গতকাল থেকে সূর্যের দেখা নেই। প্রচন্ড শীত অনুভূত হচ্ছে। বিশেষ করে সন্ধ্যা এবং এই সকালে চলাফেরা অনেক কঠিন হয়ে গেছে। বাচ্চাদের পরীক্ষা চলছে আমরা বাধ্য হয়ে বের হয়েছি।
গাইবান্ধা সরকারি কলেজের যুঁথি ইমলাম নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, প্রচন্ড ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। আমরা প্রাইভেটের কারণে বের হয়েছি। অন্যথায় এই ঠান্ডা উপেক্ষা করে বের হতাম না।
অন্যদিকে, ধীরে ধীরে শীতজনিত রোগের প্রভাবও বাড়ছে সরকারি হাসপাতালেও। গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের দায়িত্বরত নার্স শেলী আক্তার মোবাইল ফোনে জানান, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টের রোগী ধীরে ধীরে বাড়ছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি রয়েছে।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তরিকুল ইসলাম মোবাইল ফোনে বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘প্রত্যেক বছরের ন্যায় শীত মোকাবিলায় আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। আশা করছি খুব দ্রুত সরকারি বরাদ্দ হাতে পৌঁছাবে। সরকারি বরাদ্দ এলেই নির্দেশনা মোতাবেক শীতার্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হবে।
রংপুর আবহাওয়া আবহাওয়া অফিস সূত্র জানাচ্ছে, ঘন কুয়াশার সঙ্গে মৃদু ঠাণ্ডা বাতাসের ফলে গাইবান্ধার তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রী সেলসিয়াসের নিচে নেমে এসেছে। একই সাথে শীত আরও কয়েকদিন স্থায়ী হতে পারে বলেও ধারণা দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।