রংপুরে জ্বালানি তেলের সংকট

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,রংপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে মজুদ ও পরিবহন জটিলতায় জ্বালানি তেলের সংকট দেখা দিয়েছে রংপুরে। এতে বিপাকে ফিলিং স্টেশনের মালিকসহ, বাহন চালকেরা।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, রাষ্ট্রায়ত্ত্ব জ্বালানি তেল বিপণনকারী মেঘনা, পদ্মা ও যমুনা পেট্রোলিয়ামের আওতায় রংপুরে একেকটি ডিপোতে জ্বালানী তেল সরবারহ করা হয় রেলের ৯ ওয়াগনে ৩৯ হাজার লিটার তেল। যা চাহিদার তুলনায় কম। গত ২৯ জুলাই সবশেষ তেলের ওয়াগন আসলেও এখন পর্যন্ত আর ঝুঁকি আতঙ্কে সরবরাহ করা সম্ভব হয় নি। ফলে রংপুরের ৮৫টি ফিলিং স্টেশনগুলোতে জ্বালানি সংকটে পোহাতে হচ্ছে ভোগান্তি। কবে নাগাদ এ সমস্যা কাটবে, তা বলতে পারছে না ডিপোগুলো। তবে খুব দ্রুত এই ভোগান্তি কাটবে বলে আশাবাদী তারা।

বিজ্ঞাপন

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, চার জেলায় জ্বালানি ডিজেলের মাসিক চাহিদা ১ কোটি ২৫ লাখ, পেট্রোল ২৫ লাখ ৫০ হাজার ও অকটেন ৪ লাখ ৪০ হাজার লিটার। তবে রংপুরে পদ্মা, মেঘনা, যমুনা পেট্রোলিয়ামের ডিপোয় ২৭ লাখ লিটার ডিজেল, ১০ লাখ ৬০ হাজার লিটার কেরোসিন, ছয় লাখ লিটার পেট্রোল ও ৬ লাখ ৮০ হাজার লিটার অকটেন মজুদ করে রাখা যায়। রংপুর ছাড়াও দিনাজপুরের পার্বতীপুরেও সরবরাহ করা হয়। তবে পার্বতীপুরে পরিবহন খরচ দ্বিগুণ গুনতে হওয়ায় চাহিদা বেশি রংপুরের ডিপোগুলোতে। 

ফিলিং স্টেশনের মালিকরা জানান, বর্তমানের সার্বিক পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে তেল সরবরাহ না থাকায় সংকট বিরাজ করছে। আমরা যেহেতু ডিপোর উপর নির্ভরশীল তাই জ্বালানি তেল না পাওয়ায় ভোগান্তির পাশাপাশি আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি। আমরা জ্বালানি বিক্রি করতে না পেরে লোকসান গুনছি।

জ্বালানি যমুনা ডিপো'র ম্যানেজার শাহজালাল বলেন, চট্টগ্রাম থেকে রেলের ওয়াগনে করে জ্বালানি তেল রংপুরের ডিপোয় আনা হয়। প্রতি মাসে তিন-চারবার ওয়াগনে করে জ্বালানি তেল আনার কথা থাকলেও আনা হয় এক-দুবার। এ কারণে জ্বালানি তেলের সংকট থেকেই যায় চাহিদা অনুযায়ী জ্বালানির। তবে এই সংকট মূলত বর্তমান পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করেই। তবে দুই একদিনের মধ্যে তেল সরবরাহ সম্ভব হবে বলে ব্যক্ত করছি।

বিজ্ঞাপন