টাকা, ডলার ও স্বর্নালংকারসহ গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী আটক
বিপুল পরিমান নগদ অর্থ, ডলার ও স্বর্নালংকারসহ বরিশাল নগর থেকে শিক্ষার্থীদের হাতে আটক হয়েছে পটুয়াখালী গণপূর্ত দপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তাকে আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন নির্বাহী হাকিম আশরাফুজ্জামান পলিন।
আটক নির্বাহী প্রকৌশলীর নাম মো. হারুন অর রশিদ। সে পটুয়াখালী গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী। কুষ্টিয়ার মো. হাবিবুর রহমানের ছেলে।
শিক্ষার্থী নাজমুস সাকিব বলেন, নগরের সিএন্ডবি রোড হাতেম আলী কলেজ চৌমাথা এলাকায় যানবাহন চলাচলে শৃংখলায় নিয়োজিত রয়েছে শিক্ষার্থীরা। বেলা সাড়ে ৪ টার দিকে পটুয়াখালী থেকে একটি প্রাইভেট কার আসে। প্রাইভেট কারটি থামানোর পর স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। তখন প্রাইভেট কারের পিছনের ব্যারিয়ার খোলার পর একটি কালো রংয়ের একটি ব্যাগ পাওয়া গেছে। ব্যাগের মধ্যে কিছু টাকা পাওয়া যায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, একটি প্রাইভেটকারে (ঢাকা মেট্রো গ ৩৫ – ৪৬৬৪) স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়ে, গৃহপরিচারিকা ও চালক রয়েছেন।
তাদের নাম জানতে চাইলে কোন কিছু প্রকাশ করেননি। এক পর্যায় চালক বলেন, তার নাম আলতাফ। প্রকৌশলীর স্ত্রীর নাম সুমা। প্রাইভেট কারটি ভাড়ার। তবে প্রকৌশলীর ছেলে নাম না বললেও প্রাইভেট কার তাদের বলে স্বীকার করেছেন।
তখন প্রকৌশলীর স্ত্রী বলেন, ওটা পার্সোনাল টাকা। কিন্তু আস্তে আস্তে আরো টাকা বের হচ্ছিলো। তখন আমরা গাড়ি রেসকিউ করছি। পরে আর্মিকে খবর দেয়া হয়। সেনাবাহিনী ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এলে তাদের কাছে দেয়া হয়।
নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আশরাফুজ্জামান পলিন বলেন, কিছু টাকা পাওয়া গেছে। টাকা সম্পর্কে কোন সদুত্তর দিতে পারছে না। পুলিশকে খবর দেয়া হয়েছে। তারা জব্দ তালিকা করবে। পরে নিয়মিত মামলা করা হবে।
শিক্ষার্থীদের কাছে আটক হওয়ার পর নির্বাহী প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ জানান, তার বাড়ি কুষ্টিয়ায়। তার বাবা গতকাল (বুধবার) এক্সিডেন্ট করেছে। তাকে চিকিৎসার জন্য টাকা নিয়ে কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন।
টাকার পরিমান কত জানতে চাইলে তিনি বলেন, ২০ লাখ টাকার মতো হবে। এছাড়া স্ত্রীর কিছু অর্নামেন্টস রয়েছে বলে দাবি করেন।
বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমানুল্লাহ আল বারী জানান, নগদ বাংলাদেশী ৪৪ লাখ টাকা, ১২ হাজার ডলার ও ৫০০ গ্রাম ওজনের স্বর্নালংকার পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।