উপস্থাপিকা দীপ্তির কাছে ক্ষমা চাইলেন বিচারপতি মানিক

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও উপস্থাপিকা দীপ্তি চৌধুরী

সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও উপস্থাপিকা দীপ্তি চৌধুরী

টকশোতে উপস্থাপিকা দীপ্তি চৌধুরীকে রাজাকারের বাচ্চা বলে সম্বোধন করার ঘটনায় ক্ষমা চেয়েছেন আলোচিত-সমালোচিত সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।

কোটা আন্দোলন নিয়ে টকশোতে উপস্থাপিকা দীপ্তি চৌধুরীর সঙ্গে দুর্ব্যবহারের ঘটনায় জাতির কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে রোববার সাবেক বিচারপতি মানিককে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়।

বিজ্ঞাপন

‘‌ফাউন্ডেশন ফর ল’ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (ফ্লাড) পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফাওজিয়া করিম ফিরোজ এ নোটিশ পাঠান। নোটিশে বিচারপতি মানিককে প্রকাশ্য ও লিখিতভাবে ক্ষমা চাইতে বলা হয়। নতুবা তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের হুমকি দেওয়া হয়।

সোমবার (১২ আগস্ট) বিচারপতি মানিক লিগ্যাল নোটিশের জবাবে অ্যাডভোকেট ফাওজিয়া করিম ফিরোজের কাছে লিখিতভাবে এ ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

বিজ্ঞাপন

জবাবে বিচারপতি মানিক লিখেছেন, তিনি একজন হাইপারটেনশন ও ডায়াবেটিসের রোগী। ঘটনার দিন তার ব্লাড সুগার নেমে যায় ও ব্লাড প্রেসার বেড়ে যায়। যার কারণে তিনি তার নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলেন। তিনি তার এরূপ আচরণের জন্যে উপস্থাপিকার কাছে গভীরভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। একই সাথে তিনি জাতির কাছেও ক্ষমা চান।

কোটা আন্দোলন ইস্যুতে আয়োজিত টকশোতে আলোচক হিসেবে অংশ নেন সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও গোলাম মাওলা রনি। কিন্তু আলোচনার একপর্যায়ে মেজাজ হারিয়ে সঞ্চালক দীপ্তি চৌধুরীর ওপর ক্ষিপ্ত হন তিনি। তিনি অনুষ্ঠান শেষে স্টুডিও ছাড়ার আগে উপস্থাপিকাকে ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলে গালি দেন। ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।

ভিডিওতে দেখা যায়, আলোচনা শেষে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করার আগ মুহূর্তে বিচারপতি মানিক বলে ওঠেন, ‘সে তো রাজাকারের বাচ্চা।’ তাৎক্ষণিক প্রতিবাদে সঞ্চালক দীপ্তি বলেন, ‘আপনার কোনো অধিকার নেই আমাকে রাজাকারের বাচ্চা বলার। আমি একটা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান।’ তখন বিচারপতি মানিক বলেন, ‘অবশ্যই। একশবার অধিকার আছে। আপনি রাজাকারের বাচ্চা।’