উদ্দেশ্যমূলকভাবে আগুন দেওয়া হয়নি রাহুল আনন্দের বাড়িতে
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের পর ধানমন্ডি ৩২-এ অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে আগুন দেওয়ার পাশাপাশি ‘জলের গান’ এর পরিচিত মুখ রাহুল আনন্দের বাড়িতেও আগুন দেওয়ার ঘটনা ছড়িয়ে পড়ে। তবে রাহুল আনন্দের বাড়িতে উদ্দেশ্যেমূলকভাবে আগুন দেয়া হয়নি তা নিশ্চিত করেছে ‘জলের গান’ ফেসবুক পেইজ।
রাহুল আনন্দের পারিবারিক বন্ধু ফারহানা হামিদ এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে এই তথ্য জানান। পরবর্তীতে ফারহানা হামিদের এই স্ট্যাটাস ‘জলের গান’ ফেসবুক পেইজে শেয়ার করা হয়।
ফারহানা হামিদ তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেন, রাহুল আনন্দের বাসা উদ্দেশ্য করে আগুন দেয়া, লুটপাট বা ভাঙচুর করা হয়নি। আগুন দেয়ার মূল উদ্দেশ্য ছিলো ৩২ এর "বর্তমান বঙ্গবন্ধু মিউজিয়াম ও তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার অংশ"। বঙ্গবন্ধু মিউজিয়ামের আগুনই পরবর্তীতে রাহুল আনন্দের বাড়িতে পৌঁছে গেছে।
তিনি আরও লিখেন, রাহুলদাকে উদ্দেশ্য করে আগুন দিলে তারা এই পরিবারকে এভাবে বের হয়ে যাওয়ার সুযোগ দিতো না। আর সুযোগ না দিলে সেই বাসা থেকে বের হওয়া অসম্ভব। রাহুল আনন্দের বাসায় আগুন এর সাথে তার ধর্ম, বর্ণ,জাত, সংস্কৃতি এর কোন সম্পর্ক নেই বলে গুজব না ছড়ানোর আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
একই স্ট্যাটাসে তিনি রাহুল আনন্দের স্ত্রী উর্মিলা শুকলার বার্তাও তুলে ধরেছেন। যেকোনে উর্মিলা শুকলা বলেছেন, বাইরে জনতার বিজয় মিছিলের চিৎকার। হঠাৎ দেখলাম পিছনের সবগুলো বাড়িতে আগুন। আমরা মুহূর্তেই দিশেহারা হয়ে পড়লাম। বুঝলাম ৩২ এর সবগুলো বাড়িতেই আগুন লাগানো হয়েছে। আমাদের বাড়িটা সান্তুর রেষ্টুরেন্টের পিছনে। পাশে আমাদের বাড়িওয়ালা জনাব আইনুল হক-এর তিনতলা বাড়ি,সেখানে প্রথম ভাঙচুর হয় ও আগুন দেয়। যখন সান্তুরের গেইট দিয়ে উল্লাসে জনতা ঢুকে পড়েছে আর সান্তুরে আগুন ধরাচ্ছে তখন আমরা বুঝতে পারছিলাম না কি করবো। আমার যে ঘরভর্তি বাদ্যযন্ত্র। তাদেরকে বুঝানোর জন্য এগিয়ে গেলাম পরিবারের সবাই। তারা তখন ৩২ ধ্বংসের উল্লাসে কোনো কিছুই শোনার চেষ্টা করেনি।
তবে রাহুল আনন্দ তার বাদ্যযন্ত্র পোড়ার বিনিময়ে হলেও দেশে শান্তি ফিরে আসার কামনা করেছেন।