নির্বাচনের পরিবেশ না ফেরা পর্যন্ত ইউনূসের সরকারকে সময় দিবে জামায়াত
সব দলের অংশ গ্রহণে সুষ্ঠ, অবাধ ও নিরপেক্ষ ভোটের পরিবেশ না ফেরা পর্যন্ত অর্ন্তবর্তীকালীন ইউনূসের সরকারকে সময় দিতে চায় জামায়াত। বেশিও না, কমও না। ঠিক যতটুকু প্রয়োজন, ততটুকু সময় দিবে দলটি।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে গাইবান্ধার হোটেল আর রহমানে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার অভ্যুথানে গাইবান্ধার শহীদ পরিবারের সাথে মতবিনিয়ম সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
এ সময় তিনি বলেন, আমরা নিরপেক্ষ, নির্দলীয় সরকারের অধীনে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য যতটুকু সময় প্রয়োজন তা দেওয়া হবে। এখন যে পুলিশ, ডিসি, এসপি, এসআই প্রশাসনে যারা বসে আছেন, ভোট ডাকাতে যারা সহযোগিতা করেছে তারা এখনো যায় নাই। পনেরো বছরের জঞ্জাল পরিষ্কার করা লাগবে। ১৫ বছরের জঞ্জাল ১৫ দিনে শেষ করা সম্ভব নয়। নির্বাচন কমিশনের আইন বদলাতে হবে, সংস্কার করতে হবে। দলবাজ, সরকারি পদে থেকে যারা আ.লীগ করেছিলো তাদেরকে সরাতে হবে। এই দ্রুততম সংস্কারের কাজগুলো করতে যতটুকু সময় লাগে যতটুকু সময় দিতে জামায়াতে ইসলামী রাজি আছে। এটার জন্য কোনো মাস, দিন, ঘণ্টা আমরা বেঁধে দিতে পারিনা। তবে আমরা বলেছি এটা যেন খুব লম্বা সময় না হয়।
এ সময় তিনি আরো বলেন, একমাসও হয়নি অনেকেই বলছেন ভোট দেন ভোট দেন ভোট দেন। এখন ভোট দিলেতো ওই ভোটেই হবে। ভোট দিতে যখন যাবেন পথে আ.লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ বাঁধা দিবে। আর পুলিশ বলবে ভোট হয়ে গেছে।
গ্রহণযোগ্য ভোটের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত তারা এই সরকারকে সহযোগিতা করবেন বলেও উল্লেখ করেন।
এসময় শহীদ পরিবারগুলোর পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করে গাইবান্ধার ছয় শহীদ পরিবারের সব সময় খোঁজ-খবর রাখতে স্থানীয় জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের নির্দেশনাও দেন সেক্রেটারি জেনারেল। এছাড়া শহীদ পরিবারের প্রত্যেকের হাতে নগদ একলাখ করে টাকা তুলে দেন সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
গাইবান্ধা জেলা জামাতের সেক্রেটারী মাওলানা জহুরুল ইসলামের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল ও রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের পরিচালক মাওলানা আব্দুল হালিম, গাইবান্ধা জেলা জামায়াতের সাবেক আমির ডা.আব্দুর রহিম, বর্তমান আমির ও সাবেক সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল করিম, ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের রাষ্টবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সালেকিন। এ সময় গাইবান্ধার জামায়াত ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।