হাসপাতাল থেকে কারাগারে সাবেক বিচারপতি মানিক

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক

বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক

দীর্ঘ ১৯ দিন চিকিৎসা নেওয়ার পর অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় তাকে ছাড়পত্র (ডিসচার্জ) দিয়েছে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে ছাড়পত্র দেওয়া। পরে কড়া নিরাপত্তা ও অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে হাসপাতাল থেকে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাবেক এই বিচারপতির চিকিৎসায় মেডিকেল বোর্ডের প্রধান শিশির চক্রবর্তী।

তিনি বলেন, সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক এখন সুস্থ। তিনি এখন অনেকটা স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারেন। সেজন্য তার সার্বিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ড তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সব প্রস্তুতি শেষে তাকে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে শামসুদ্দিন মানিকের হার্টে সমস্যা আছে। ১০ বছর আগে বাইপাস সার্জারি করেছিলেন। এছাড়া ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ আছে।

উল্লেখ্য, গত ২৩ আগস্ট রাতে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার দনা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। পরদিন শনিবার (২৪ আগস্ট) সকালে তাকে কানাইঘাট থানায় হস্তান্তর করা হয়। ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে ওই দিন বিকালে আদালতে হাজির করলে সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ আলমগীর হোসাইন তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

সেদিন আদালতে প্রবেশের সময় আদালত প্রাঙ্গণে শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে ডিম ছোড়ার পাশাপাশি জুতাও নিক্ষেপ করেন। এসময় তাকে বেধড়ক কিল-ঘুষি মারা হয়। এতে তার অণ্ডকোষেও গুরুতর আঘাত লাগে। আদালত থেকে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার পর সন্ধ্যায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

পরবর্তীতে ২৫ আগস্ট সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের চিকিৎসায় ৮ সদস্য বিশিষ্ট মেডিকেল বোর্ড গঠন করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।