যানজট ও চাঁদাবাজি সমস্যা সমাধানে ডিএমপিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নির্দেশনা

  • স্টাফ করেসপন্ডেট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সাংবাদিকদের ব্রিফ করছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সাংবাদিকদের ব্রিফ করছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ঢাকা মহানগর পুলিশকে উজ্জীবিত করার পাশাপাশি রাজধানীর ট্রাফিক ও চাঁদাবাজি সমস্যা সমাধানে ডিএমপিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ডিএমপি সদরদফতরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশকে পুরনো রূপে মানবিক পুলিশ হতে উজ্জীবিত করে কীভাবে তাদের পুরানো গৌরবটা ফিরে পাওয়া যায় এবং জনবান্ধব পুলিশ যেন বাস্তবে হয়। এটা যেন কোনো কাগজ-কলমে না থাকে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। থানা পর্যায়ে লোকজনকে অনেক সময় বিভিন্ন কাজের জন্য গিয়ে তাদের যে সমস্যা সেটা সমাধান করতে পারে না, সবসময় সমাধান সম্ভবও নয়। কিন্তু তারপরেও তাদের যেন একটা প্যাসেন্ট হিয়ারিং দেওয়া হয়। কাজগুলি কীভাবে সমাধান করা যায় এইটা বলা হয়েছে।

মেইনলি আলোচনা হয়েছে- তাদের যে পুরানো ফর্মে যেন পুলিশ যত তাড়াতাড়ি ফিরে যেতে পারে। তারা যেন জনবান্ধব পুলিশ হতে পারে। জনগণের একটা আশা, তারা যেন জনবান্ধব পুলিশ হতে পারে।

বিজ্ঞাপন

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ট্রাফিকে যে একটা সমস্যা হচ্ছে, এই ট্রাফিকটা কীভাবে উন্নত করা যায় এইক্ষেত্রে বলা হয়েছে। চাঁদাবাজি কীভাবে বন্ধ করা যায় এই সম্বন্ধে বলা হয়েছে। চাঁদাবাজিটা যদি বন্ধ হয় জিনিসপত্রের দামটা একটু সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে। এই চাঁদাবাজি যেন না হয়, প্লাস এই ঘুষ এবং দুর্নীতিতে আমাদের সমাজটাকে গ্রাস করে নিয়েছে। এটাকে কীভাবে বন্ধ করা যায় এগুলি সম্বন্ধে তাদের সাথে আলোচনা হয়েছে।

রাজধানীর বিভিন্ন থানায় হয়রানিমূলক মামলা হচ্ছে। বাদী আসামিদের চেনে না। পুরাতন ফরম্যাটে হয়রানির বিষয় জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, পুলিশ কিন্তু আগে মামলা দিতো, এই সময়ে কোনো পুলিশ একটা মামলা দিয়েছে? আগে পুলিশ ১০ জনের নাম দিয়া ১০০ জনকে অজ্ঞাত রেখে দিতো। কিন্তু আজ পর্যন্ত পুলিশ কিন্তু মামলা দিচ্ছে না, এটা কিন্তু সাধারণ পাবলিকরা দিচ্ছে। যদি পুলিশ একটা এমন মামলা দেয় আপনি আমার কাছে আইনের, যে ১০ জনরে নাম দিয়ে, ৫০০ জনকে অজ্ঞাত করে দেওয়া। এখন যারা মামলা দিচ্ছে তারা সাধারণ জনগণ। তাদের বলতে হবে ভাই, যারা অ্যাকচ্যুয়াল ক্রিমিনাল তারে দেও। কালকে আমার কাছে একজন আসছিল, বলে স্যার, আমাদের যে অরিজিনাল আসামি তাকে ১১ নম্বরে রাখা হয়েছে। আমি বলি কেন? তারেতো এক নাম্বারে দিবেন। বলে যে না, যারা এইটা ড্রাফট করছে তারা দিয়েছে। অন্যরা এইভাবে সাজায়ে দিয়েছে।

আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ, শুধু যারা দোষী তাদেরই নাম দেন। অন্য কাউরে নাম দিয়েন না। অন্য নাম দিলে এইটা তদন্ত করতে সময়ও বেশি যাচ্ছে এবং নিরীহ লোকও যেন হেনস্তা না হয় এদিকে খেয়াল রাখতে। এইজন্য আমরা কিন্তু বলে দিয়েছি যে, সাধারণ লোক যেন হেনস্তা না হয়। তদন্ত ছাড়া কাউকেই অ্যারেস্ট করা হবে না এবং আমি ডিবিরে আজকে ইনস্ট্রাকশন দিয়ে দিয়েছি, তাদের পরিচয় আগে দিতে হবে। এরপর গ্রেফতার করতে হবে। এইখানে আমার ধরার কথা শুধু ক্রিমিনালদের। আমি সাধারণ মানুষকেতো ধরার জন্য বলবো না, ক্রিমিনালদের ধরার জন্য। সাধারণ পাবলিকের যেটা কমফোর্ট হয়, এটার দিকে পুলিশ চেষ্টা করবে।

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিচারবহির্ভূত হত্যার ঘটনা ঘটছে। এটা বন্ধের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, মব জাস্টিসের ক্ষেত্রে জনসচেতনতাটা একটু বাড়াতে হবে। কালকে দেখলাম জাহাঙ্গীরনগরে..., তারাতো সবচেয়ে শিক্ষিত। তাদের ক্ষেত্রেতো এই সচেতনতাটা আসতে হবে। একজন অন্যায় করলে তাকে আইনের হাতে সোপর্দ করেন। কিন্তু আইনতো আপনার হাতে তুলে নেওয়ার কারও কিন্তু অধিকার নাই। আইনের হাতে তাকে সোপর্দ করতে হবে। এইটার ক্ষেত্রে আপনারাও একটু আমাদের সাথে কাজ করতে পারেন। জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। ইনোসেন্ট লোক যেন কোনো অবস্থায়ই কোনো হেনস্তা শিকার না হয়।