‘আমরা টাকা দিয়ে পানি কিনতে পারি না’

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে গোটা বিশ্ব ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। আমরা টাকা দিয়ে পানি কিনতে পারি না। বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে এই ঝুঁকির মাত্রা সবচেয়ে বেশি।

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ঈশ্বরীপুর এ সোবহান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে জীবাশ্ম জ্বালানি বিনিয়োগ বন্ধের দাবিতে শতাধিক যুবদের অংশগ্রহণে অবরোধ কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন তরুণ জলবায়ু কর্মীরা।

বিজ্ঞাপন

পরে তরুণরা সমাজের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষদের সাথে নিয়ে জলবায়ু অর্থায়ন নিশ্চিত করাসহ জলবায়ু সংকট নিরসন, ন্যায়বিচার ও জীবাশ্ম জ্বালানি বিনিয়োগ বন্ধসহ জলবায়ু সুবিচারের দাবি দাওয়া সম্বলিত প্লাকার্ড নিয়ে অবস্থান করে।

বিশ্ব জলবায়ু কর্মসূচি সপ্তাহ উদযাপন কমিটির আহবায়ক এস এম জান্নাতুল নাঈম এর সভাপতিত্বে ও সোহেল রানার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন জলবায়ু যোদ্ধা ফুয়াদ মাহমুদ, এহসানূল মাহবুব তানভীর, উপকূল কন্যা তনুশ্রী মন্ডল, বিশ্বজিৎ মন্ডল, রবিউল ইসলাম, আব্দুস সালাম, রাজিব বৈদ্য, রনজু শেখ,উম্মে সালমা প্রমুখ।

বিজ্ঞাপন

শরুবের নির্বাহী পরিচালক এস এম জান্নাতুল নাঈম বলেন, উন্নত দেশগুলো জীবাশ্ম জ্বালানিতে অর্থায়নের মাধ্যমে জলবায়ু সংকট সৃষ্টি করছে। তাদের নব্য উপনিবেশিক শোষণ, যুদ্ধ, এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের মাধ্যমে আমাদের এই পৃথিবীকে ধ্বংস করছে। পুঁজিবাদী মানসিকতা নিয়ে সর্বোচ্চ গ্রীন হাউজ গ্যাস নির্গমনকারীরা জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগের মাধ্যমে পৃথিবীকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে যার প্রভাব পড়ছে বর্তমানে।

পরিবেশকর্মী রাইসুল ইসলাম বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে উপকূলের মানুষ আজ বিপদাপন্ন। এই বৈশ্বিক সংকট মোকাবেলায় তরুণদের ভূমিকা আরও অর্থবহ করতে জাতীয় পর্যায়ে নীতি নির্ধারণ থেকে শুরু করে তা বাস্তবায়নে তরুণদের সম্পৃক্ত করতে হবে। একই সাথে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী রাষ্ট্রসমূহকে ক্ষতিপূরণে বাধ্য করতে সোচ্চার হতে হবে।

উপকূল কন্যা তনুশ্রী মন্ডল বলেন, বিশ্ব নেতৃবৃন্দ এই বিষয়টি আমলে নিচ্ছে না। জলবায়ু পরির্বতনের ঝুঁকি হ্রাস করতে এসব দেশের ভূমিকা সংকীর্ণ। প্যারিস চুক্তি প্রণয়নের প্রায় ৫ বছর অতিক্রান্ত হলেও জলবায়ু পরিবর্তন ও এর প্রভাব মোকাবেলায় এখনো কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। তারা আমাদের ভবিষ্যত ও বর্তমান নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। তাই ২০২৫ সালের মধ্যেই গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণের মাত্রা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে৷ জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী রাষ্ট্রসমূহের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় ও জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য আদায়কৃত অর্থ যথাযথভাবে ব্যয় করতে হবে।