সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী ও সুনামগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ মান্নানের মুক্তির দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার শিক্ষার্থীরা।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কের শান্তিগঞ্জ চত্বর এলাকায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালিত হয়।
বিজ্ঞাপন
এম এ মান্নানের মুক্তির দাবিতে সুনামগঞ্জ টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট, আব্দুল মজিদ কলেজ, ডুংরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, গাগলি উচ্চ বিদ্যালয়, সপ্তগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়, জয়কলস উজানীগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়, হাজী আক্রম আলী মাদরাসা ও আক্তাপাড়া মাদরাসার শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে সড়কে অবস্থায় নেয়। সড়ক অবরোধ করে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে তারা।
এসময় ‘জেলের তালা ভাঙবো- মান্নান ভাইকে আনবো’ উন্নয়নের মান্নান ভাই- আমরা তোমায় ভুলি নাই‘, ‘সৎ মানুষ মান্নান ভাই, আমরা তার মুক্তি চাই’ সহ নানা স্লোগান দেওয়া হয়।
বিজ্ঞাপন
প্রসঙ্গত, গত ৪ আগস্ট সুনামগঞ্জ পৌর শহরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার মামলায় বৃহস্পতিবার রাতে নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার হন সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। শুক্রবার সকালে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলা হাজতে পাঠানো হয়।
নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় পারিবারিক যৌথ পুকুরে মাছ ধরা নিয়ে দ্বন্দ্বে ভাতিজার কিল ঘুষির আঘাতে চাচা আবুল কালাম (৬০) নিহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। নিহত আবুল কালাম উপজেলার আশুজিয়া ইউনিয়নের সিংহেরগাঁও কান্দাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বিকালে সিংহেরগাঁও কান্দাপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভাতিজাকে আটক করেছে পুলিশ। নিহতের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিক যৌথ পুকুর নিয়ে অনেক আগে থেকেই দ্বন্দ্ব চলছিল। শুক্রবার বিকালে ওই পুকুরে মাছ ধরছিল চাচা আবুল কালাম। এ সময় ভাতিজা লিটন তার চাচাকে মাছ ধরতে বাঁধা দেন। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে ভাতিজা লিটন মিয়া তার চাচাকে কিল ঘুষি মারে। পরে স্থানীয়রা ঝগড়া থামায়। পরে চাচা ঘরে চলে গেলে ভাতিজা ঘরের ভিতরে গিয়ে তাকে আবারও কিল ঘুষি শুরু করে। কিল ঘুষির আঘাতে একপর্যায়ে চাচা আবুল কালাম ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এঘটনায় কেন্দুয়া থানা পুলিশ নিহতের ভাতিজা লিটনকে আটক করে।
নিহতের স্ত্রী জোসনা আক্তার তার স্বামীর হত্যাকারী লিটনসহ তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী জানিয়েছেন।
এবিষয়ে কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, ভাতিজার কিল ঘুষিতে চাচা আবুল কালাম মারা গেছেন। নিহতের লাশ সন্ধ্যার দিকে নেত্রকোনা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ভাতিজা লিটনকে আটক করা হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রাজধানীর যানজট নিরসন করে দ্রতগতির যান হিসেবে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে মেট্রোরেল। যানজটের শহর ঢাকায় মানুষের চলার গতি বৃদ্ধিতে অনস্বীকার্য ভূমিকা রাখা মেট্রোরেল আরও কয়েকটি রুটে চালুর তোড়জোড়ও চলছে বেশ। মেট্রোরেলকে শহরের বিভিন্ন স্থানে প্রসারণের লক্ষ্যে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে রাজধানীর মতিঝিল থেকে কমলাপুর অংশের কাজ।
তবে এই অংশের কাজে দেখা দিয়েছে কিছুটা প্রতিবন্ধকতা। এই প্রতিবন্ধকতা কেটে গেলেই দ্রুত গতিতে এই অংশের কাজ শেষ করে আগামী ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে চলাচলের জন্য উন্মুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ।
সরেজমিনে রাজধানীর মতিঝিল অংশে মেট্রোরেলের নির্মাণকাজ ঘুরে দেখা গেছে, রাজধানীর ঠিক মতিঝিল মোড়ের উপরেই অবস্থিত মেট্রোরেল লাইন ৬ প্রকল্পের ৬৩২ নাম্বার পিলার। মতিঝিল মেট্রোরেল স্টেশনটি গিয়ে শেষ হয়েছে ৬২৬ নাম্বার পিলার। অর্থাৎ মেট্রোস্টেশন থেকে মতিঝিল মোড়ে অবস্থিত পিলারটির দূরত্ব ৬টি পিলারের। এর মধ্যে স্প্যান বসানো হয়েছে ৬৩১ নাম্বার পিলার পর্যন্ত। আর মাত্র একটি পিলার পর্যন্ত স্প্যান বসানো হলেই মতিঝিল মোড় পর্যন্ত দৃশ্যমান হবে মেট্রোরেল চলাচলের লাইন।
এদিকে, মেট্রোরেলের লাইনের কাজের জন্য যাবতীয় প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি লাইনের ঠিক নিচের অংশে রেখে দেয়ার চিত্রও দেখা গেছে। এছাড়া মেট্রোরেলের ৬২৮ নম্বর পিলারের সাথে একটি ওঠা নামার সিঁড়িও দেখা গেছে। এছাড়া উপরে নবনির্মিত লাইনের উপর একটি ক্রেন যা ভারী যন্ত্রাংশ উঠানো-নামানোর জন্য এবং নিচে একটি স্কেভেটর মেশিনও দেখা গেছে।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ বার্তা২৪.কমকে বলেন, মতিঝিল থেকে কমলাপুর অংশ আগামী ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে খুলে দেওয়ার প্লান আছে। এই লক্ষ্যেই কাজ এগিয়ে চলছে। আমাদের কাজগুলো যথারীতি এগিয়ে যাচ্ছে। সিভিল ওয়ার্কগুলো ভালোভাবে আগাচ্ছে। আমাদের ইলেকট্রিক্যাল মেকানিক্যাল কাজে কিছু চ্যলেঞ্জ আছে। ভায়াডাক্টের উপর যে ট্রাকগুলো তার ইলেকট্রিক্যাল সিগন্যালিং যে বিষয়গুলো আছে সেখানে আমোদের কিছু চ্যালেঞ্জ আছে।
চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলায় বিকল্প কোন ধরনের চিন্তা করছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমাদের প্রস্তুতি চলছে। এটা তো এক্সটেন্ডেন্ট ওয়ার্ক যারা আগের কাজগুলো করেছে তারাই করছে। এই কাজের জন্য আমরা ঠিকাদার নিয়েগের কাজগুলো এখনও ফাইনাল করতে পারি নাই। এটা চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। এটা যতদ্রুত করতে পারবো তাহলে আমাদের ডিসেম্বরে এই রুট চালুর কাজটি ততোটাই সহজ হবে। এখানেই আমাদের একটু চ্যালেঞ্জ।
বর্তমানে মতিঝিল থেকে কমলাপুর অংশের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ বলেন, মেট্রোরেল লাইন-৬ এর প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. জাকারিয়া এই বিষয়ে আপনাকে সাহায্য করতে পারবেন।
পরে প্রকল্প পরিচালক মো. জাকারিয়া এর কাছ থেকে সঠিক তথ্য সংগ্রহের পরামর্শ দেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ। তবে ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (লাইন-৬) এর প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. জাকারিয়া কাছে এই অংশের অগ্রগতি জানতে চাইলে তিনি ওয়েবসাইট থেকে দেখে নেন কথা বলে ফোন কেটে দেন।
উল্লেখ্য, জাইকা ও ডিএমটিসিএল ২০৩০ সাল নাগাদ ১২৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের মোট ৬টি মেট্রো লাইন নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে। এই নেটওয়ার্কে ৫১টি উড়াল স্টেশন ও ৫৩টি ভূগর্ভস্থ স্টেশন থাকবে। ছয়টি লাইন মিলিতভাবে দিনে ৪৭ লাখ যাত্রী পরিবহন করতে পারবে।
ঢাকা রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন-র্যাক সদস্য, দৈনিক জনবাণী পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি বশির হোসেন খানের উপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়েছে র্যাক।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় রাজধানীর বিজয় নগর নাইটেঙ্গেল মোড় এলাকায় অজ্ঞাত ৫/৬ জন যুবক কর্তৃক হামলার শিকার হন তিনি।
বশির হোসেন খান জানান, হামলাকারীরা তাকে রিকশা থেকে টেনে নামিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করাসহ শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত করার চেষ্টা চালায়। এসময় তারা 'ডিপিডিসি' কেন্দ্রিক একটি সংবাদ প্রকাশের সূত্র ধরে তাকে হুমকি দেয়। এমনকি পরবর্তীতে সংস্থাটি নিয়ে এমন সংবাদ প্রকাশ না করতেও হুশিয়ারী দেয়। এবিষয়ে রমনা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন তিনি।
এক বিবৃতিতে র্যাক সভাপতি জেমসন মাহবুব এবং সাধারণ সম্পাদক শাফি উদ্দিন আহমদসহ কার্যনির্বাহী কমিটির নেতৃবৃন্দ বশির হোসেনের উপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে।
'আওয়ামী স্বৈরাচারী সরকার শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও তাদের দোসর ও সন্ত্রাসরা মিলে দেশব্যাপী নৈরাজ্য সৃষ্টির অপতৎপরতা চালাচ্ছে। তাদের এ অপতৎপরতা রুখে দিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।'
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বিকালে ফটিকছড়ির দাঁতমারা ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স মাঠে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।
দেশব্যাপী আওয়ামী লীগের দোসর কর্তৃক সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টির অপতৎপরতা ও ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব শফিউল আজম চৌধুরীর বিরুদ্ধে হয়রানী ও ষড়যন্ত্রমুলক মিথ্যা মামলা দেয়ার প্রতিবাদে এ সমাবেশ আয়োজন করেছে দাঁতমারা ইউনিয়ন বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, আওয়ামী স্বৈরাচারী সরকার শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও তাদের দোসর ও সন্ত্রাসরা মিলে দেশব্যাপী নৈরাজ্য সৃষ্টির অপতৎপরতা চালাচ্ছে। তাদের এ অপতৎপরতা রুখে দিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সে অপতৎপরতার অংশ হিসেবে দাঁতমারা ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব শফিউল আজম চৌধুরীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দিয়ে জলঘোলা করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এতে আমরা বিচলিত নই। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের সকল অপতৎপরতা রুখে দিতে প্রস্তুত।
ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক বেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশ প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব জহির আজম চৌধুরী, প্রধান বক্তা ছিলেন উপজেলা বিএনপি নেতা শওকত উল্লাহ্ চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপির সদস্য ইদ্রিস মিয়া ইলিয়াস, এডভোকেট আবছার উদ্দিন হেলাল, এডভোকেট ইউসুফ আলম মাসুদ, উত্তর জেলা বিএনপি নেতা আব্দুল হালিম, সুয়াবিল ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক ইয়াকুব শহীদ।
ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব নাছির উদ্দিনের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন- যুবদল নেতা নুরুল আমীন, শাহদাত হোসেন, ডা. মানিক, হাবিবুর রহমান সিকদার, ফারুক বিন মুছা, মিজানুর রহমান সোহেল, ছাত্রদলের সদস্য সচিব ইঞ্জি. বেলাল উদ্দিন মুন্না প্রমুখ।
প্রতিবাদ সমাবেশের দাঁতমারা ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডের বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের শত শত নেতাকর্মী অংশ নেয়।