লালমনিরহাটে নদীতে বালু উত্তোলনের মহোৎসব

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাটে নদীতে বালু উত্তোলনের মহোৎসব/ছবি: বার্তা২৪.কম

লালমনিরহাটে নদীতে বালু উত্তোলনের মহোৎসব/ছবি: বার্তা২৪.কম

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় সানিয়াজান নদীতে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে।

প্রতিদিন ভোর থেকে উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের তালেব মোড় নতুন ব্রিজ এলাকায় সানিয়াজান নদী থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রভাবশালী চক্র ক্ষমতার অপব্যবহার করে সানিয়াজান নদী থেকে প্রতিদিন ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে আসছে। ভোর থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত চলে বালু উত্তোলনের মহোৎসব। তালেব মোড় নতুন ব্রিজ এলাকায় সানিয়াজান নদীতে চারটি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে প্রতিদিন বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এসব বালু দিনভর ট্রাকে করে পাঠানো হচ্ছে বিভিন্ন স্থানে।

প্রতিনিয়ত বালু উত্তোলন করায় নদীর গতি পরিবর্তনের আশঙ্কা আছে। নদীর তীরে বালু উত্তোলন করায় নদী ভাঙনের শঙ্কাও রয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। প্রভাবশালীদের ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করতে পারছে না বলে জানা গেছে। ভাঙন দেখা দিলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে শতাধিক পরিবার। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

বিজ্ঞাপন

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাতীবান্ধার প্রভাবশালী একাধিক ব্যক্তি এসব বালু উত্তোলন সিন্ডকেটের সাথে জড়িত। তাদের অনেকেই ড্রেজার মেশিনের পাশে থাকেন না। তারা মুলত ড্রেজার মেশিন ভাড়া নিয়ে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছেন। ঘটনাস্থলে থাকেন মেশিন চালক আর শ্রমিক। বালু বিক্রির টাকা চলে যায় মালিকদের পকেটে।

ড্রেজার মেশিন চালক মনিরুজ্জামান মনির বলেন, ‘আমরা ভাড়ায় বালু উত্তোলন করে দিচ্ছি। মূলত বালুর মালিক আমরা নই। প্রশাসন বন্ধ করলে আমরা চলে যাব।’

হাতীবান্ধা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দুলাল হোসেন বলেন, ‘বালু উত্তোলনের কোন অনুমতি নেই। তবে খবর পেলে অভিযান চালানো হবে।’