বগুড়ায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম,বগুড়া
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার শাজাহানপুরের সাগর তালুকদার (৩৫) ও তার সহযোগী স্বপন মিয়াকে (২৮) কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সাগর তালুকদার আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মী ছিলেন বলে জানা যায়। তবে তার কোনো পদ পদবি ছিলো না।

রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৭ টার দিকে শাজাহানপুর উপজেলার আশেকপুর ইউনিয়নের ছোট মন্ডলপাড়া গ্রামে হত্যার ঘটনা ঘটে।

বিজ্ঞাপন

নিহত সাগর আশেকপুর ইউনিয়নের হাটখোলা পাড়া গ্রামের গোলাম তালুকদারে ছেলে। অপরদিকে, স্বপন মিয়া একই গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে।

বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সরাফত ইসলাম এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিজ্ঞাপন

সাগর তালুকদার এলাকায় সন্ত্রাস কার্যক্রমের জন্য সকলের কাছে পরিচিত ছিলেন বলে জানা যায়। পুলিশ সূত্র থেকে জানা যায়, সাগরের নামে চারটি হত্যাসহ ১৯ টি মামলা রয়েছে। সাগর পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। 

স্থানীয়রা জানান, রবিবার সন্ধ্যার পর সাগর,স্বপন ও মুক্তার একটি মোটরসাইকেল যোগে গ্রামের রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। সন্ধ্যা সোয়া ৭ টার দিকে ছোট মন্ডলপাড়া গ্রামের রাস্তায় অপেক্ষায় থাকা দুর্বৃত্তরা তাদেরকে এলোপাথারী কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়।

ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে গ্রামের রাস্তায় সাগরের লাশ এবং গফুরের বাড়ির উঠানে স্বপনের লাশ পড়ে আছে। রাস্তায় আরো একটি হাতের কব্জি পড়ে থাকতে দেখা যায়। ধারনা করা হচ্ছে সাগরের সাথে থাকা মুক্তার নামের ওই যুবকের হাতের কব্জি হতে পারে।তবে ওই যুবকের কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। হাসপাতালেও তাকে নেয়া হয়নি।

বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সরাফত ইসলাম বলেন, ঘটনার পরপরই পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এলাকায় তল্লাশী শুরু করেছে। তবে উদ্ধার হওয়া হাতের কব্জিটি কার তা সনাক্ত করা যায়নি। 

উল্লেখ্য, গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর সকাল ১০ টার দিকে আশেকপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি প্রভাষক পারভেজকে মাথইল চাপড় গ্রামের রাস্তায় কুপিয়ে হত্যা করা হয়। সেই সময় সাগর জেল খানায় আটক ছিল। পুলিশ ওই মামলায় জড়িত দুইজনকে গ্রেফতারের পর তারা জানায় সাগর নিজেই খুন হওয়ার আশঙ্কায় জেলখানায় বসে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে পারভেজকে খুন করায়।পরে জেলা খানায় সাগরের হেফাজত থেকে পুলিশ মোবাইল ফোন উদ্ধার করে এবং সাগর পারভেজ হত্যা পরিকল্পনার কথা স্বিকার করে আদালতে জবানবন্দী দেয়। গত তিন মাস আগে সাগর জামিনে বের হয়। এরপর থেকেই সাগর এলাকায় থাকলেও দিনের বেলা বের হতেন না তিনি।