বগুড়ার মহাস্থানে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে হত্যার পর জঙ্গলে একটি গাছে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে।
বিজ্ঞাপন
শিবগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক ( এসআই) আব্দুর রাজ্জাক এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, মহাস্থান মাদ্রাসার উত্তর পশ্চিম পাশে জঙ্গলে একটি গাছের সাথে একজন অজ্ঞাত ব্যক্তির (৫৫) ঝুলন্ত মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দেয়। আশেপাশের লোকজন মরদেহ দেখলেও কেউ নাম পরিচয় বলতে পারছেন না। তবে অনেকেই জানিয়েছেন অজ্ঞাত ওই ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে মহাস্থান এলাকায় ফেরী করে কাপড় বিক্রি করতেন।
বিজ্ঞাপন
শিবগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক ( এসআই) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে মঙ্গলবার রাতে দুর্বৃত্তরা অজ্ঞাত ওই ব্যক্তিকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর মরদেহ গাছের সাথে ঝুলিয়ে রাখে। নিহতের পরিচয় শনাক্তের কাজ চলছে।
‘এই পদ্মা এই মেঘনা’ গানের গীতিকার আবু জাফরের মরদেহ জানাজা শেষে কুষ্টিয়া পৌর কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বাদ আসর সরকারি কলেজ মাঠে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজায় আবু জাফরের ভক্ত, জেলা জামাতের আমির অধ্যাপক আবুল হাসেমসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, ছাত্র, সহকর্মী, পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী অংশগ্রহণ করেন।
জানাজা পড়ান কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোল্লা মোহাম্মদ রুহুল আমীন। এরপর কুষ্টিয়া পৌর কবরস্থানে তাঁর মরদেহ দাফন করা হয়।
আজ ভোরে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আবু জাফর। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় দীঘদিন অসুস্থ অবস্থায় ছিলেন এই গীতিকার।
চুয়াডাঙ্গা কলেজ ও কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। রাজশাহী ও ঢাকা বেতার এবং টেলিভিশনের নিয়মিত কণ্ঠশিল্পী ও গীতিকার ছিলেন। তার রচিত বেশিরভাগ গানের সুর ও কণ্ঠ তিনি নিজেই দিয়েছেন। তবে আলোচিত বেশিরভাগ গানেই কণ্ঠ দিয়েছেন আবু জাফরের প্রাক্তন স্ত্রী ফরিদা পারভীন। আবু জাফর কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের গড়ের বাড়ি কাঞ্চনপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে এক কৃষককে কোদালের ডান্ডা দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার মিরওয়ারিশপুর ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের বাঁশতলা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত মো: নুরুল হক বাবুল (৬০) উপজেলার মিরওয়ারিশপুর ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের লেদির বাড়ের বাড়ির মৃত আনোয়ার উল্যার ছেলে। তিনি পেশায় একজন কৃষক ছিলেন।
নিহতের ছেলে নুরুল আমিন স্বপন অভিযোগ করে বলেন, গত ১৩ বছর আমাদের বাড়ির সামনের ৩৩ শতাংশ জায়গা নিয়ে প্রতিবেশী মু্ন্নার সাথে আমাদের বিরোধ ছিল। কিছু দিন সামাজিক ভাবে সালিশি বৈঠকে বিষয়টি মীমাংসা হয়। ওই সালিশে ৩৩ শতাংশ জায়গার মধ্যে আমাদেরকে ১০ শতাংশ জায়গা দেওয়া হয়। বাকী ২৩ শতাংশ জায়গা মুন্নাকে দেওয়া হয়। এখন মুন্না বলে তিনি সালিশি বৈঠকের সিন্ধান্ত মানেন না।
এরপর শুক্রবার বিকেলে মুন্না আমাদের সামেনর অংশের জায়গা দখল করে দেয়াল নির্মাণ শুরু করে। খবর পেয়ে বাবা আর আমি ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে আমাকে আটকে রেখে মুন্না, রাব্বি, রনি, নজরুল, জাহাঙ্গীর, নুরুল হুদা আমার বাবার সাথে হাতাহাতি শুরু করে। একপর্যায়ে কোদালের (ডান্ডা) লাঠি দিয়ে বাবার কাঁধে আঘাত করে। এতে তিনি ঘটনাস্থলে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চৌমুহনী প্রাইম হাসপাতালে নিয়ে গেলে বিকেল ৫টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
বেগমঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.লিটন দেওয়ান বলেন, মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে নিহতের শরীরে কোনো আঘাতের কোনো চিহৃ পাওয়া যায়নি। তবে ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যু সঠিক কারণ জানা যাবে। লিখিত অভিযোগের আলোকে তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় পারিবারিক যৌথ পুকুরে মাছ ধরা নিয়ে দ্বন্দ্বে ভাতিজার কিল ঘুষির আঘাতে চাচা আবুল কালাম (৬০) নিহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। নিহত আবুল কালাম উপজেলার আশুজিয়া ইউনিয়নের সিংহেরগাঁও কান্দাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বিকালে সিংহেরগাঁও কান্দাপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভাতিজাকে আটক করেছে পুলিশ। নিহতের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিক যৌথ পুকুর নিয়ে অনেক আগে থেকেই দ্বন্দ্ব চলছিল। শুক্রবার বিকালে ওই পুকুরে মাছ ধরছিল চাচা আবুল কালাম। এ সময় ভাতিজা লিটন তার চাচাকে মাছ ধরতে বাঁধা দেন। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে ভাতিজা লিটন মিয়া তার চাচাকে কিল ঘুষি মারে। পরে স্থানীয়রা ঝগড়া থামায়। পরে চাচা ঘরে চলে গেলে ভাতিজা ঘরের ভিতরে গিয়ে তাকে আবারও কিল ঘুষি শুরু করে। কিল ঘুষির আঘাতে একপর্যায়ে চাচা আবুল কালাম ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এঘটনায় কেন্দুয়া থানা পুলিশ নিহতের ভাতিজা লিটনকে আটক করে।
নিহতের স্ত্রী জোসনা আক্তার তার স্বামীর হত্যাকারী লিটনসহ তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী জানিয়েছেন।
এবিষয়ে কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, ভাতিজার কিল ঘুষিতে চাচা আবুল কালাম মারা গেছেন। নিহতের লাশ সন্ধ্যার দিকে নেত্রকোনা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ভাতিজা লিটনকে আটক করা হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রাজধানীর যানজট নিরসন করে দ্রতগতির যান হিসেবে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে মেট্রোরেল। যানজটের শহর ঢাকায় মানুষের চলার গতি বৃদ্ধিতে অনস্বীকার্য ভূমিকা রাখা মেট্রোরেল আরও কয়েকটি রুটে চালুর তোড়জোড়ও চলছে বেশ। মেট্রোরেলকে শহরের বিভিন্ন স্থানে প্রসারণের লক্ষ্যে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে রাজধানীর মতিঝিল থেকে কমলাপুর অংশের কাজ।
তবে এই অংশের কাজে দেখা দিয়েছে কিছুটা প্রতিবন্ধকতা। এই প্রতিবন্ধকতা কেটে গেলেই দ্রুত গতিতে এই অংশের কাজ শেষ করে আগামী ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে চলাচলের জন্য উন্মুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ।
সরেজমিনে রাজধানীর মতিঝিল অংশে মেট্রোরেলের নির্মাণকাজ ঘুরে দেখা গেছে, রাজধানীর ঠিক মতিঝিল মোড়ের উপরেই অবস্থিত মেট্রোরেল লাইন ৬ প্রকল্পের ৬৩২ নাম্বার পিলার। মতিঝিল মেট্রোরেল স্টেশনটি গিয়ে শেষ হয়েছে ৬২৬ নাম্বার পিলার। অর্থাৎ মেট্রোস্টেশন থেকে মতিঝিল মোড়ে অবস্থিত পিলারটির দূরত্ব ৬টি পিলারের। এর মধ্যে স্প্যান বসানো হয়েছে ৬৩১ নাম্বার পিলার পর্যন্ত। আর মাত্র একটি পিলার পর্যন্ত স্প্যান বসানো হলেই মতিঝিল মোড় পর্যন্ত দৃশ্যমান হবে মেট্রোরেল চলাচলের লাইন।
এদিকে, মেট্রোরেলের লাইনের কাজের জন্য যাবতীয় প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি লাইনের ঠিক নিচের অংশে রেখে দেয়ার চিত্রও দেখা গেছে। এছাড়া মেট্রোরেলের ৬২৮ নম্বর পিলারের সাথে একটি ওঠা নামার সিঁড়িও দেখা গেছে। এছাড়া উপরে নবনির্মিত লাইনের উপর একটি ক্রেন যা ভারী যন্ত্রাংশ উঠানো-নামানোর জন্য এবং নিচে একটি স্কেভেটর মেশিনও দেখা গেছে।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ বার্তা২৪.কমকে বলেন, মতিঝিল থেকে কমলাপুর অংশ আগামী ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে খুলে দেওয়ার প্লান আছে। এই লক্ষ্যেই কাজ এগিয়ে চলছে। আমাদের কাজগুলো যথারীতি এগিয়ে যাচ্ছে। সিভিল ওয়ার্কগুলো ভালোভাবে আগাচ্ছে। আমাদের ইলেকট্রিক্যাল মেকানিক্যাল কাজে কিছু চ্যলেঞ্জ আছে। ভায়াডাক্টের উপর যে ট্রাকগুলো তার ইলেকট্রিক্যাল সিগন্যালিং যে বিষয়গুলো আছে সেখানে আমোদের কিছু চ্যালেঞ্জ আছে।
চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলায় বিকল্প কোন ধরনের চিন্তা করছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমাদের প্রস্তুতি চলছে। এটা তো এক্সটেন্ডেন্ট ওয়ার্ক যারা আগের কাজগুলো করেছে তারাই করছে। এই কাজের জন্য আমরা ঠিকাদার নিয়েগের কাজগুলো এখনও ফাইনাল করতে পারি নাই। এটা চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। এটা যতদ্রুত করতে পারবো তাহলে আমাদের ডিসেম্বরে এই রুট চালুর কাজটি ততোটাই সহজ হবে। এখানেই আমাদের একটু চ্যালেঞ্জ।
বর্তমানে মতিঝিল থেকে কমলাপুর অংশের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ বলেন, মেট্রোরেল লাইন-৬ এর প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. জাকারিয়া এই বিষয়ে আপনাকে সাহায্য করতে পারবেন।
পরে প্রকল্প পরিচালক মো. জাকারিয়া এর কাছ থেকে সঠিক তথ্য সংগ্রহের পরামর্শ দেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ। তবে ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (লাইন-৬) এর প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. জাকারিয়া কাছে এই অংশের অগ্রগতি জানতে চাইলে তিনি ওয়েবসাইট থেকে দেখে নেন কথা বলে ফোন কেটে দেন।
উল্লেখ্য, জাইকা ও ডিএমটিসিএল ২০৩০ সাল নাগাদ ১২৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের মোট ৬টি মেট্রো লাইন নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে। এই নেটওয়ার্কে ৫১টি উড়াল স্টেশন ও ৫৩টি ভূগর্ভস্থ স্টেশন থাকবে। ছয়টি লাইন মিলিতভাবে দিনে ৪৭ লাখ যাত্রী পরিবহন করতে পারবে।