দাফনের ২৫ দিন পর গৃহবধুর মরদেহ উত্তোলন

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

গৃহবধুর মরদেহ উত্তোলন/ছবি: সংগৃহীত

গৃহবধুর মরদেহ উত্তোলন/ছবি: সংগৃহীত

গাইবান্ধায় দাফনের ২৫ দিন পর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে এক গৃহবধূর মরদেহ উত্তোলন করেছে পুলিশ। মরদেহ উত্তোলন করা ওই গৃহবধুর নাম জান্নাতী বেগম (৩০)।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে সদর উপজেলার বল্লমঝাড় ইউনিয়নের মধ্যপাড়া গ্রামের গৃহবধুর স্বামীর বাড়ির কবরস্থান থেকে ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ উত্তোলন করা হয়।

বিজ্ঞাপন

জান্নাতী বেগম সদর উপজেলার বল্লমঝাড় ইউনিয়নের মধ্যপাড়া গ্রামের রোস্তম আলীর ছেলে সোরহাব হোসেনের স্ত্রী। তার বাবার বাড়ি জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায়। বাবার নাম ছালজার মিয়া।

পুলিশ, নিহতের পরিবার এবং স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ৫ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টার দিকে ঢাকার একটি ভাড়া বাসায় ডিস লাইনের তার লাগাতে গিয়ে বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে জান্নাতী বেগমের মৃত্যু হয়েছে বলে জানায় তার স্বামীর পরিবার। পরে স্বামী সোরহাবসহ তার পরিবারের লোকজন ঢাকা থেকে মরদেহ জেলার সদর উপজেলার বল্লমঝাড় ইউনিয়নের মধ্যপাড়া গ্রামে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে এবং তড়িঘড়ি করে ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করে।

এ ঘটনার ৭ দিন পর জান্নাতী বেগমের মামা ছকু মিয়া বাদী হয়ে গত ১২ সেপ্টেম্বর স্বামী সোরহাব হোসেনসহ ৫ জনকে আসামি করে আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

অভিযোগে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নয়, বিয়ের পর থেকেই জান্নাতীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হতো। তাকে মারপিট করে হত্যার পর বিদ্যুৎপৃষ্টে মৃত্যুর বিষয়টি প্রচার করা হয়। মূলত মারধর ও নির্যাতনের কারণেই জান্নাতীর মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। কেননা, জান্নাতীর মরদেহ ঢাকা থেকে নিয়ে আসার পর গোসল করার সময় তার গলা, বাম পাজর ও বাম হাতে রক্তাক্ত জখম দেখা গেছে।

বিষয়টি মোবাইল ফোনে বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা। তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জসিম উদ্দিনের উপস্থিতিতে ওই নারীর মরদেহ কবর থেকে তোলা হয়েছে। পরে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ গাইবান্ধা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, ১০ বছর আগে জান্নাতী-সোরহাবের বিয়ে হয়। তাদের পরিবারে ১২ বছরের এক মেয়ে ও ৫ বছরের এক ছেলে সন্তান রয়েছে।