চট্টগ্রামে হাসপাতালে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন, বন্ধ থাকে অস্ত্রোপচার

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

প্রায় সাড়ে ছয় লাখ টাকা বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) পরিচালিত মেমন মাতৃসদন হাসপাতালের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিল বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। এতে ভোগান্তিতে পড়েন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীরা। বিশেষ করে বন্ধ হয়ে যায় অস্ত্রোপচার। পরে অনেক দেন দরবারের পর প্রায় চার ঘণ্টা পর বিদ্যুৎ সংযোগ পুনরায় চালু করে দিলে অচলাবস্থা কাটে।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় চট্টগ্রামে আলকরণ ওয়ার্ডের কালীবাড়ি এলাকায় অবস্থিত মেমন মাতৃসদন হাসপাতালটিতে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। বেলা আড়াইটার দিকে বিদ্যুৎ সংযোগ ফের দেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

পিডিবি বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. খোরশেদ আলী চৌধুরী জানান, হাসপাতালটিতে দুই মাসের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে। বিল পরিশোধে নোটিশ দেওয়ার পরও পরিশোধ করা হয়নি। তাই নিয়ম অনুযায়ী সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।

১০০ শয্যার মেমন মাতৃসদন হাসপাতালটিতে মূলত গাইনি ও শিশু চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। প্রতিদিন হাসপাতালে সাধারণ রোগীদের পাশাপাশি সার্জারি রোগীও চিকিৎসা নিতে আসেন। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগে অন্তত হাসপাতালে ৩৫ জন সার্জারি রোগী ছিল। হঠাৎ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করায় রোগীরা দুর্ভোগে পড়েন। জেনারেটর চালিয়ে কিছু সেবা চালু রাখলেও এক পর্যায়ে অস্ত্রোপচার বন্ধ করে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

দেশের পট পরিবর্তনের পর চলমান পরিস্থিতিতে প্রায় সাড়ে ছয় লাখ টাকার বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ সম্ভব হয়নি বলে জানান হাসপাতালের ইনচার্জ সৈয়দ দিদারুল মনির রুবেল। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ না থাকায় সার্জারি করার ঝুঁকি নেননি চিকিৎসকেরা, যেহেতু জেনারেটর দুই ঘণ্টার মতো চলবে। তবে সমস্যার সমাধান হয়েছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে বকেয়া বিল পরিশোধের কথা জানানোর পর পিডিবি সংযোগ পুনরায় চালু করে দিয়েছে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগী ও তাদের স্বজনেরা জানান, বিদ্যুৎ না থাকায় আধঘণ্টা পরপর জেনারেটর ছাড়া হয়। অপারেশন থিয়েটার ও রোগী বহনের লিফটও বন্ধ হয়ে যায়। আবার জেনারেটর বন্ধ হলে হাসপাতালের ভেতরের পরিবেশ রূপ নেয় ঘুটঘুটে অন্ধকারে।

চসিকের বিদ্যুৎ বিভাগ জানায়, পিডিবি থেকে বিদ্যুৎ ব্যবহার বাবদ যে বিল চসিকের বিদ্যুৎ বিভাগে আসে, সেই বিলগুলো চসিকের সংশ্লিষ্ট বিভাগে উত্থাপন করা হয়। সেখান থেকে বিল পাস হলে চেক আকারে তা পিডিবিকে পরিশোধ করা হয়। কিন্তু সরকার পরিবর্তনের পর মেয়র কার্যালয়ে না আসা, এক পর্যায়ে মেয়রের জায়গায় প্রশাসক নিয়োগ দেওয়াসহ নানা জটিলতায় সেই বিলগুলো আটকে ছিল।