৩৩ শতাংশ বাসের ফিটনেস নেই: হাইকোর্টে প্রতিবেদন



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

# ৪৪ শতাংশ সিএনজি'র সিলিন্ডার মেয়াদ উত্তীর্ণ


দেশের বিভিন্ন সড়কে চলাচলকারি ৩৩ শতাংশ যাত্রীবাহী বাসের ফিটনেস সার্টিফিকেট নেই বলে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করেছে এ সংক্রান্ত কমিটি।

একইসঙ্গে ৪৪ শতাংশ সিএনজি'র সিলিন্ডার মেয়াদ  উত্তীর্ণ বলে এ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে দাখিল করা ১৫০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য উঠে আসে।

গঠিত কমিটির পক্ষে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন আইনজীবী মো. রাফিউল ইসলাম। অন্যদিকে উপস্থিত ছিলেন রিট আবেদনকারী আইনজীবী মো. তানভির আহমেদ।

এর আগে গত ৩১ জুলাই বিশেষজ্ঞ কমিটির দ্বারা ফিটনেসহীন পরিবহনের ওপর জরিপ চালিয়ে তিন মাসের মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

একইসঙ্গে দ্রুত সময়ের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব, বিআরটিএ চেয়ারম্যান এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সচিবের নেতৃত্বে অভিজ্ঞদের দ্বারা কমপক্ষে ১৫ সদস্যের একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ অনুসন্ধান কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন আদালত। পরে ওই কমিটির দ্বারা ফিটনেসহীন পরিবহনের ওপর জরিপ করে তিন মাসের মধ্যে তা প্রতিবেদন আকারে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়।

এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালত রিটের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী তানভির আহমেদ। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আবু সাঈদ।

রিটকারী আইনজীবী তানভির আহমেদ বলেন, এ মামলার শুনানিকালে তারেক মাসুদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া সংক্রান্ত মামলার সিআইডি রিপোর্ট আদালতকে দেখিয়েছি। ওই রিপোর্টে গাড়ির ফিটনেসের অভাবের বিষয়টি উঠে এসেছে। তিতুমীর কলেজের ছাত্র রাজিবের মামলার ছবিও আদালতকে দেখিয়েছি। সে বাসটিও আনফিট ছিলো। এছাড়াও গত ২৯ জুলাই রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনের বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত ও আহত হওয়ার সঙ্গে জড়িত বাসের ছবিও আদালতকে দেখিয়েছি। দুর্ঘটনার শিকার এসব বাসের একটিরও ফিটনেস ছিলো না। তাই এ বিষয়ে আদালতে রুল জারি সহ নির্দেশনা চাওয়া হয়।

পরে রিটের শুনানি নিয়ে ফিটনেসবিহীন যান চলাচল বন্ধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবেনা, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ফিটনেসবিহীন যান চলাচল বন্ধে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবেনা, রুলে তাও জানতে চান আদালত।

চার সপ্তাহের মধ্যে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সচিব, স্বরাষ্ট মন্ত্রনালয় সচিব, বিআরটিএ চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ সড়ক নিরাপত্তা বিভাগের (বিআরটিএ) পরিচালক, বিআরটিএ ইনফোরসমেন্ট বিভাগের পরিচালক ও পুলিশের আইজিকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিআরটিএ থেকে ফিটনেসহীন পরিবহনের তালিকা করতে ১৬ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।

সড়ক পরবহন ও মহাসড়ক বিভাগের একজন উপযুক্ত প্রতিনিধিকে আহ্বায়ক করে এবং বিআরটিএ এর সচিবকে সদস্য সচিব ঘোষণা করে ওই কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে  সদস্য হিসেবে রাখা হয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি, পুলিশ সদর দপ্তরের একজন উপযুক্ত প্রতিনিধি, হাইওয়ে পুলিশের একজন উপযুক্ত প্রতিনিধি, বিআরটিএ এর একজন উপযুক্ত প্রতিনিধি, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের একজন করে প্রতিনিধি, সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের একজন উপযুক্ত প্রতিনিধি, স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের একজন উপযুক্ত প্রতিনিধি, যন্ত্র প্রকৌশলী বিভাগের (বাংলাদেশ প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়ের) একজন উপযুক্ত প্রতিনিধি, এক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট-বুয়েট এর একজন প্রতিনিধি, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির একজন উপযুক্ত প্রতিনিধি, ঢাকা মহানগর সিএনজি অটোরিকশা মালিক সমিতির একজন উপযুক্ত প্রতিনিধি এবং কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদকে।

 

   

মিঠাপুকুরে জাল ভোট দিতে গিয়ে আটক ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরের মিঠাপুকুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জাল ভোট দেয়ার সময় হাতেনাতে দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২১ মে) দুপুরে ১২টায় মিঠাপুকুর উপজেলার শঠিবাড়ি মহাবিদ্যালয় কেন্দ্রে হেলিকপ্টার প্রতীকে জাল ভোট দেয়ার সময় আটক করে পুলিশ।
জানা যায়, আটককৃতরা হলেন- রুমান মিয়া (২৭) উপজেলার দূর্গাপুর গ্রামের এমদাদ মিয়ার পুত্র ও একই গ্রামের সুলতান মিয়ার পুত্র রাশেদ মিয়া (২৮)।

এ বিষয়ে মিঠাপুকুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, জাল ভোট দেয়ার সময় দুইজনকে শঠিবাড়ি মহাবিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উল্লেখ্য, মিঠাপুকুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে হেলিকপ্টার প্রতীক নিয়ে উপজেলা আওয়ামী যুব লীগের সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান কামরু ও মোটর সাইকেল প্রতীক নিয়ে রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন মন্ডল মাওলা লড়ছেন। একই সঙ্গে সাবেক এমপি শাহ্ আলম ফকির এর পুত্র আনারস প্রতীক নিয়ে ইঞ্জিনিয়ার শা্হ সাদমান ইশরাক হোসেন। ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দুজনই সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আ. হালিম মন্ডল (উড়োজাহাজ প্রতীক) নিয়ে ও বাবু নিরঞ্জন মহন্ত (তালা প্রতীক) নিয়ে। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন শামীমা আক্তার জেসমিন ( কলস মার্কা)। অপর দিকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন প্রজাপতি প্রতীক নিয়ে দেলোয়ারা আফরোজ।

মিঠাপুকুর উপজেলায় সর্বমোট ভোটার সংখ‍্যা ৪৪৬৩৯৬জন। মোট পুরুষ ভোটার সংখ্যা ২২২১৪৭ জন, মহিলা ভোটার ২২৪২৪৫জন, তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ০৪ জন।

;

জামালপুরে ভোট কেন্দ্রে ছবি তুলতে সাংবাদিকদের এসিল্যান্ডের বাধা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, জামালপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জামালপুরের বকশিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে একটি ভোট কেন্দ্রে সাংবাদিকদের ভিডিও ধারণ ও ছবি তুলতে বাধা এবং অসদাচরণ করার অভিযোগ উঠেছে এসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বকশিগঞ্জের নিলাখিয়া ইউনিয়নের নিলাখিয়া পাবলিক কলেজ কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। পরে সাংবাদিকেরা বিষয়টি নিয়ে এসিল্যান্ডের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোনো কথা না বলে তার সরকারি গাড়িতে উঠে চলে যান।

জানা গেছে, সকালে ওই ভোট কেন্দ্রের একটি কক্ষে ইভিএমে প্রতীক না আসার অভিযোগ তোলেন ভোটাররা। বিষয়টি নিয়ে জানতে গেলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসমা-উল হুসনা এনটিভি ও মাইটিভির জামালপুর জেলা প্রতিনিধিদের ছবি-ভিডিও করতে বাধা দেন।

এ সময় তাদের সঙ্গে অসদাচারণসহ ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেন।

এরপর উপস্থিত সাংবাদিকেরা নিচে নেমে সিনিয়র সাংবাদিকদের জানান। সেখানে থাকা ১৫-২০ জন সাংবাদিক এসিল্যান্ডের সাথে কথা বলার জন্য আধাঘণ্টা অপেক্ষা করেন। পরে এসিল্যান্ড দোতলা ভবন থেকে নিচে নেমে এলে ঘটনার কারণ জানতে চান উপস্থিত সাংবাদিকেরা। কিন্তু এসিল্যান্ড কোনো উত্তর না দিয়ে তড়িঘড়ি করে পুলিশ বেষ্টনীর মধ্যে দিয়ে চলে যান।

এবিষয়ে এনটিভির জেলা প্রতিনিধি আসমাউল আসিফ বার্তা২৪.কম-কে বলেন, এসিল্যান্ড হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে বলতে থাকে সাংবাদিকরা কোন ছবি ফুটেজ তুলতে পারবে না। তিনি ভোট কেন্দ্রের বাইরে থেকে ছবি তুলতে ও ফুটেজ নিতে বলেন। তখন আমি বলি সাংবাদিকরা কোথায় ফুটেজ নিতে পারবে, আর কোথায় ফুটেজ নিতে পারবে না সেটা আমরা জানি।

এসময় এসিল্যান্ড উত্তেজিত হয়ে আমাদের কেন্দ্র থেকে বের হয়ে যেতে বলেন এবং আইন প্রয়োগ করার হুমকি দেন।

এ বিষয়ে বকশীগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসমাউল-উল-হুসনা সাংবাদিকদের বলেন, এ বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নাই।

এদিকে এ নিয়ে জানার জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শীতেষ চন্দ্র সরকারের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

তবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শানিয়াজ্জামান তালুকদার বার্তা২৪.কম-কে বলেন, গোপন বুথের ভিডিও ও ছবি তোলা যাবে না। সাংবাদিকদের কাজে বাধা দেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নাই। বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে দেখার কথা জানান তিনি।

;

হাসপাতাল নয়, যেন কোনো বাজার!



রাকিব হাসান-গুলশান জাহান সারিকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীতে সরকারি মালিকানাধীন যে কয়েকটি হাসপাতাল রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম শের-ই-বাংলা নগরে অবস্থিত শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। প্রতিদিন দেশের নানা প্রান্ত থেকে হাজার হাজার রোগী চিকিৎসার জন্যে আসেন এই হাসপাতালে।

১৯৬৩ সালে ৮৭৫টি বেড নিয়ে প্রতিষ্ঠিত এই হাসপাতালটির ভালো চিকিৎসার জন্যে যেমন অনেক সুনাম রয়েছে, তেমনি হাসপাতালটির দায়িত্বে থাকা আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠানের নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মীদের নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার জন্যে দিন দিন সাধারণ মানুষ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

হাসপাতালের সামনে অবৈধ দোকানের সারি

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রধান সড়ক থেকে হাসপাতালে প্রবেশ করতে গিয়ে ভাসমান দোকানের কারণে অ্যাম্বুলেন্সসহ রোগী নিয়ে আসা অন্য গাড়িগুলোকে বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে। দুপাশে সারিবদ্ধভাবে চায়ের দোকান, ফলমূল, প্লাস্টিকের পণ্যসহ নানা রকমের দোকানের পসরা সাজিয়ে বসে আছেন দোকানিরা। পাশেই দাঁড়িয়ে সিগারেটের ধোঁয়া ছড়াচ্ছেন কিশোর থেকে শুরু করে বয়োবৃদ্ধরা। দেখে মনে হবে যেন এটি হাসপাতাল নায়, কোনো বাজার!

এছাড়াও হাসপাতালের অভ্যন্তরে বেশ কয়েকটি ওয়ার্ড ঘুরে দেখা যায়, ওয়ার্ডের ভেতর ভাসমান হকারদের উৎপাত। চা, কফি, বিস্কুট থেকে শুরু করে কাপড়ের ব্যাগ, এমনকি ভিক্ষুকরাও প্রবেশ করছে ভিক্ষা করতে। এতে রোগীরা যেমন নিজেদের মালামালের সুরক্ষা নিয়ে চিন্তিত, তেমনি দায়িত্ব পালন করা জুনিয়র চিকিৎসকরাও বিব্রতবোধ করছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জুনিয়র চিকিৎসক বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমরা যারা এখানে চিকিৎসক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছি অনেক সময় নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তায় পড়ে যাই। যে কেউ চাইলেই ওয়ার্ডে চলে আসে। এতে রোগী ও চিকিৎসকদের মালামাল হারানোর একটা ভয় থাকে। এদের আচার-আচরণও তেমন ভালো না। যতটা জানি স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় তারা হাসপাতালের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে।

দোকানের কারণে অ্যাম্বুলেন্সসহ রোগী নিয়ে আসা গাড়িগুলো বিড়ম্বনার শিকার

চাঁদপুর থেকে মায়ের চিকিৎসা করাতে আসা সুমন বার্তা২৪.কমকে বলেন, মা ব্রেন স্ট্রোক করছেন। প্রথমে বুঝিনি। তারপর মাকে নিয়ে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলাম, সেখান থেকে ঢাকার নিউরো সাইন্স হাসপাতালে। তারা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বেড খালি না থাকার অজুহাতে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠায়। এখানে এসেও পদে পদে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। কাউকে কোন প্রশ্ন করলে উত্তর দিতে চায় না। প্রথমেই গেটের দুই পাশে দোকান ও মানুষের ভিড়ে অ্যাম্বুলেন্স প্রবেশ করতে নানা রকমের সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়েছে। তারপর শুরু হলো ট্রলি আর হুইল চেয়ার নিয়ে টানাটানি। দুইশত টাকার নিচে খুশি না স্ট্রেচারকর্মীরা।

হাসপাতালের অভ্যন্তরে ভাসমান দোকান ও হকারদের উৎপাতের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ডা. মো. শফিউর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, হাসপাতালের অভ্যন্তরে ভাসমান হকার কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য না। তবে এটাও সত্যি যে আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। অনেক কিছু আমাদের নজরে আসে না। লোকবলের অভাব। তবে আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ করলে বিষয়টি খতিয়ে দেখব।

হাসপাতালের সামনের সড়কে ভাসমান দোকানের সারি

সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা মাঝেমধ্যে আমাদের তথ্য দিয়ে সহায়তা করলে, আমরা যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণে আরও উদ্যোগী হবো।

অভিযোগ আছে আউটসোর্সিংয়ের কর্মচারী ও আনসার সদস্যদের যোগসাজশ এবং রাজনৈতিক দলের নেতাদের যোগসাজশে হকার উচ্ছেদ সম্ভব হচ্ছে না। প্রতিটি দোকান থেকে কমপক্ষে প্রতিদিন ১০০ থেকে ৩০০ টাকা চাঁদা তোলা হয়। যার একটা অংশ স্থানীয় কতিপয় রাজনৈতিক নেতাদের পকেটে যায়। এছাড়া হাসপাতালের অভ্যন্তরে ভাসমান হকার প্রবেশেও গুণতে হয় ৫০ টাকা থেকে ১০০ টাকা।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কোন হকার মুখ খুলতে রাজি হয়নি।

;

পরিবহনে চাঁদাবাজি, মূলহোতাসহ গ্রেফতার ১৩



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

আন্তঃজেলা ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, লরী ও সিএনজিসহ বিভিন্ন পরিবহন হতে অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলনকালে চাঁদাবাজ চক্রের অন্যতম মূলহোতা ইউসুফ ও সাব্বিরসহ মোট ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১০)। রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ও কোতয়ালী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

মঙ্গলবার (২১ মে) র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-১০ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সহকারী পুলিশ সুপার এম. জে. সোহেল এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, যাত্রাবাড়ী এলাকার চাঁদাবাজ চক্রের অন্যতম মূলহোতা মো. ইউসুফ গাজী (২৮), মোহাম্মদ ইউসুফ (৫৭), মো. পিন্টু মিয়া (৪০), মো. ডালিম (১৯), মো. পাভেল (১৯) ও মোহাম্মদ আলী (২৫।

এসময় তাদের নিকট থেকে আদায়কৃত চাঁদা নগদ ৮ হাজার ৪১০ টাকা ও ৬টি কাঠের লাঠি উদ্ধার করা হয়।

এছাড়া বাবুবাজার এলাকায় অপর একটি অভিযান পরিচালনা করে চাঁদাবাজ চক্র সাব্বির গ্রপের অন্যতম মূলহোতা মো. সাব্বির (৬০), নাজির হোসেন (৪৮), মো. কামাল উদ্দিন (৫০), মো. বিল্লাল হোসেন (৪৫), মো. বিল্লাল হোসেন (২৮), মো. নাজির উদ্দিন ভূঁইয়া (৪৪), এবং মো. রনি হোসেন (৪০) কে গ্রেফতার করা হয়।
এসময় তাদের নিকট থেকে আদায়কৃত চাঁদা নগদ ৭ হাজার ৩৫০ টাকা, ৬টি লাঠি ও ১টি প্লাস্টিকের পাইপ উদ্ধার করা হয়।


র‍্যাবের সহকারী পুলিশ সুপার এম. জে. সোহেল বলেন, অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলনকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ও কোতয়ালী এলাকা হতে চাঁদাবাজ চক্রের অন্যতম মূলহোতা ইউসুফ ও সাব্বিরসহ মোট ১৩ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০।

তিনি বলেন, গতকাল ২০ মে র‌্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানাধীন দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে আন্তঃজেলা ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, লরী ও সিএনজিসহ বিভিন্ন পরিবহন হতে অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলনকালে চাঁদাবাজ চক্রের অন্যতম মূলহোতা ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

এছাড়া গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানী ঢাকার কোতয়ালী থানাধীন বাবুবাজার এলাকায় অপর একটি অভিযান পরিচালনা করে আন্তঃজেলা ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, লরী ও সিএনজিসহ বিভিন্ন পরিবহন হতে অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলনকালে চাঁদাবাজ চক্র সাব্বির গ্রপের অন্যতম মূলহোতা মো. সাব্বিরসহ ৭ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা বেশ কিছুদিন যাবৎ রাজধানীর কোতয়ালী, যাত্রাবাড়ী, ডেমরা ও দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় আন্তঃজেলা ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, লরী ও সিএনজিসহ বিভিন্ন পরিবহনের ড্রাইভার ও হেলপারদের সাথে অশোভন আচরণের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে অবৈধভাবে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করে আসছিল।

গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।

;