শেরপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, ৭ জনের প্রাণহানি

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, শেরপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

শেরপুরে কয়েক দিনের টানা ভারী বর্ষণ ও ভারত থে‌কে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। ঝিনাইগাতীর মহারশি ও নালিতাবাড়ীর ভোগাই ও চেল্লাখালী নদীসহ অঞ্চলের বিভিন্ন নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে জেলার শতাধিক গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে শতশত পরিবার।

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) ভোরে আকস্মিক পানি বৃদ্ধির ফলে দেখা দেয় বন্যা। এতে এখন পর্যন্ত ৭ জনের মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে। তাদের উদ্ধার অভিযানে কাজ করছে সেনাবাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসনসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

বিজ্ঞাপন

রোববার (৬ অক্টোবর) সকাল থেকেই জেলাজুড়ে থেমে থেমে বৃষ্টিতে বন্যার্তদের দুর্ভোগ আরও বেড়ে গেছে। নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে বন্যার পানিতে।

বন্যায় ঝিনাইগাতি বাজার ও বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান পানিতে তলিয়ে গেছে। সকাল থেকে নতুন করে শেরপুর সদর এবং নকলা উপজেলার আরও ৬টি ইউনিয়ন পানিতে প্লাবিত হয়েছে। বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে শহরের বিভিন্ন এলাকায়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মাদরাসা, ঘরবাড়িসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকেছে।

https://imaginary.barta24.com/resize?width=700&quality=100&type=webp&path=uploads/news/2024/Oct/06/1728194963363.jpg
ছবি: সংগৃহীত

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, নালিতাবাড়ীর ভোগাই নদীর পানি কমে বিপৎসীমার ৫১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং চেল্লাখালী নদীর পানি কমে বিপৎসীমার ১৮৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান বলেন, শনিবার রাতে নকলায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া বন্যায় নালিতাবাড়ী উপজেলায় পাঁচজন ও ঝিনাইগাতীতে একজনের মৃত্যু হয়েছে।