অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই : শামসুজ্জামান দুদু

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতার পাশাপাশি দেশের গণতন্ত্রকামী সর্বস্তরের মানুষের সমর্থন থাকায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ব্যর্থ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।

শনিবার (১৯ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আসে দিন যায় পত্রিকার উদ্যোগে গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আমাদের করণীয় শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথি বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া বাংলাদেশকে রক্ষা করার আর কোনো পথ নেই উল্লেখ করে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, এই দেশ স্বাধীন করতে দেশের মানুষ এক সাগর রক্ত দিয়েছেন। এরকম রক্ত পূর্ব এশিয়ার কোনো জাতি দেয়নি। শুধু তাই নয় বিশ্বের অন্য কোনো জাতি দিয়েছে কিনা আমার জানা নেই। সেই দেশে ৫২ বছর পরে এসে গণতন্ত্র সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য কথা বলতে হবে এটা বড়ই ট্রাজেডি। এর থেকে বেরিয়ে আসতে হলে মানুষকে ভোটের অধিকার দিতে হবে। নির্বাচন করার ক্ষমতা দিতে হবে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, একটা নির্বাচন দেন। কিসের পুলিশ কিসের প্রশাসন? এসব বাহানা আমাদেরকে বাদ দিতে হবে। যে জাতি বিনা অস্ত্রে একটা ফ্যাসিস সরকারকে তাড়িয়েছে। তাহলে নির্বাচনের জন্য এত প্রস্তুতি লাগবে কেন? আপনারা মানুষকে ছোট করে দেখবেন না। নির্বাচন দেন নির্বাচন কীভাবে করতে হয় দেশে জনগণ জানে। পাকিস্তান আমলে পাকিস্তান সেনাবাহিনী, পাকিস্তানে কর্মকর্তাদেরকে আঙ্গুল দেখিয়ে একটা দল কে বিজয় করেছিল। জিয়াউর রহমান কে অখন্ড সমর্থন দিয়েছিল এদেশের মানুষ।

তিনি  আওয়ামী লীগের নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, তাদের বিচার হাই কোর্ট সুপ্রিম, কোর্ট, নিম্ন আদালতে নয় গুলিস্তান মোড়ে বিচার করা উচিত। তারা যেভাবে নির্বিচারে মানুষ হত্যা করেছে এটা ভাবা যায়। যারা হত্যাকারী তাদেরকে রক্ষা করার জন্য সেনাবাহিনী ছিল। আর এদেশের কৃষক শ্রমিক যারা দেশকে রক্ষা করছে তাদেরকে রক্ষা করার জন্য আনসার বাহিনীও নাই।

সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, জাতীয়তাবাদীদের ঠেকানো শুরু হয়েছে ওয়ান ইলেভেন থেকে। তার ধারাবাহিকতা এখনো আছে। কীভাবে বিএনপিকে ঠেকানো যায়, কীভাবে স্বাধীনতা পন্থীদেরকে ঠেকানো যায়, কীভাবে গণতন্ত্র পন্থীদেরকে ঠেকানো যায়। এটা বন্ধ করতে হবে।

গোলটেবিল বৈঠকে আর বক্তব্য রাখেন কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম আব্দুল্লাহ। এছাড়া আর উপস্থিত ছিলেন মানবাধিকার কর্মী মঞ্জুর হোসেন ঈসা, কৃষক দল নেতা এসকে সাদী, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।