পিঠার পসরা জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা

  • স্টাফ করেস্পন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, রংপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

রংপুরে পিঠার পসরায় জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। আশ্বিনের শেষ না হতেই শহরের বিভিন্ন মোড়ে মৌ মৌ করছে পিঠার ঘ্রাণ। মাটির চুলায় গরম ভাপে চালের গুড়া,গুড়,নারিকেল দিয়ে তৈরি করে রাখা হচ্ছে ভাপা পিঠা। আগাম ভাপা পিঠা খেতে রসনা প্রেমীরা ভিড় জমাচ্ছেন দোকানে। দূর থেকে ধোঁয়া ওঠা ভাপা পিঠার ঘ্রাণ দুয়ারে কড়া নেড়ে জানান দিচ্ছে শীতের বার্তা।

রংপুর নগরীর বিভিন্ন স্থানে বিকেল থেকে এক চাকার ছোট্ট ভ্যানে ভাপা পিঠার পসরা সাজিয়ে প্রতিপিস বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা৷ অল্প পুঁজি নিয়ে ৪-৬ কেজি চাল,৫-৬ টি গুড়ের ডিমা কিছু নারিকেল দিয়ে পিঠা তৈরি করে বেশ সাড়া পাচ্ছেন বিক্রেতা। দৈনিক বিক্রি হচ্ছে ১৫০০ টাকা, এতে উপকরন খরচ বাদ দিয়ে লাভও হচ্ছে বেশ।
নতুন মৌসুমের পিঠা দেখে সখ করে কিনে খাচ্ছেন,পরিবারের জন্যও নিয়ে যাচ্ছেন ক্রেতারা।

বিজ্ঞাপন

লোভনীয় স্বাদে তৃপ্তি নিয়ে পিঠা খেতে আসা ক্রেতা রাকিব বলেন, বাঙ্গালির চিরায়ত পিঠার তালিকায় অন্যতম ভাপা। নতুন চালের গুড়াো গুড়,আর নারিকেলের ঘ্রাণে জিভে জল আসে। পিঠা না খেয়ে যেন উপায় নেই। গতবারের দরে ১৫ টাকা করেই আছে। কেবলই চুলা থেকে নামিয়ে গরম পিঠা দিলেন খুব স্বাদ লাগছে।

ধোঁয়া ওঠা পিঠার দৃশ্য দেখে চলতি রিকশা থামিয়ে পিঠা কিনছেন ক্রেতা সুলতানা। তিনি বলেন, শীত পুরোপুরি না নামতেই ভাপা পিঠা দেখেই আনন্দ লাগছে। পিঠা খাবোনা তাই কি আর হয়? শহরে থাকা হয় কাজের ব্যস্ততায় মাঝে এত কষ্ট করে পিঠা বানানো হয়ে উঠে না। পরিবারের চাহিদা মেটাতে বেশি করে নিয়ে যাচ্ছি। এই মৌসুমে আজকেই প্রথম পিঠা খাওয়া হবে পরিবারের সবাই মিলে খুব আনন্দ নিয়ে খাবো। সবকিছুর দাম বাড়লেও পিঠার দাম গতবছরের মতই আছে ১৫ টাকা দরে।

রংপুর নগরীর প্রেসক্লাব সংলগ্ন মৌসুমে পিঠা বিক্রেতা আল-আমিন বলেন, আমি লেখাপড়ার পাশাপাশি শীত মৌসুমে পিঠার দোকান দেই। অল্প কিছু পুঁজি নিয়ে দোকান দিয়েছি। বাসা থেকে পিঠা বানানোর সব উপকরণ এনে বিকেল থেকে দোকান দেই। নতুন নতুন ভাপা পিঠা দেখে ক্রেতারা চাহিদা করে খাচ্ছে। আবার বাসায় নিয়ে যাচ্ছে। দৈনিক ৪-৫ কেজি কখনো ৬ কেজি চালের আটা শেষ হয়। আস্তে আস্তে আরও বাড়াবো। দিনে ১৫০০-১৬০০ টাকা বিক্রি হয়৷ মৌসুমে যে টাকা ব্যবসা করি এই লাভ দিয়ে বাবার ব্যবসায় যোগান দেয়া যায়, আমারও লেখাপড়ার খরচ,বাড়ির একটা ঘাটতি পূরণ হয়। ৩-৪ দিন হয় দোকান দিছি বেচাকেনা ভালো হচ্ছে।