নিজ, স্ত্রী, সন্তান ও বিশ্বস্ত ব্যক্তিদের নামে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগে গাজীপুরের কালিয়াকৈর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মুজিবুর রহমানকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আগামী ৫ জানুয়ারি সকাল ১০টায় তার স্থাবর সম্পদের ইনকাম ট্যাক্স, ট্রেড লাইসেন্সসহ সব কাগজপত্র নিয়ে তাকে সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে।
এর আগে, গত মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক আলমগীর হোসেনের স্বাক্ষরিত চিঠি সাবেক মেয়র বরাবর আসে।
দুদকের দেয়া চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, কালিয়াকৈরে পৌরসভার সাবেক মেয়র মুজিবুর বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। তার নিজের নামে, স্ত্রী সন্তান, ও বিশ্বস্ত ব্যক্তিদের নামে, বাড়ি, দোকানপাট, মার্কেট, জমি, প্লট, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান নির্মাণের অভিযোগ রয়েছে। এসব সম্পদের উৎস কোথায় তার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য বর্ণিত অভিযোগ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বক্তব্য শ্রবণ ও গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন।
অভিযোগপত্রে এও বলা হয়, অভিযোগ বিষয়ে বক্তব্য দেয়ার লক্ষ্যে আগামী ৫ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টায় দুদক, প্রধান কার্যালয়, ঢাকায় হাজির হতে হবে। নির্ধারিত সময়ে হাজির হয়ে বক্তব্য দিতে ব্যর্থ হলে বর্ণিত অভিযোগ সংক্রান্ত বিষয়ে আপনার কোনো বক্তব্য নেই মর্মে গণ্য করা হবে।
প্রসঙ্গত, কালিয়াকৈর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মুজিবুর রহমান আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন বিগত কয়েক বছরে আওয়ামী লীগের সাবেক মুক্তিযুদ্ধা মন্ত্রী ও গাজীপুর ১ আসনের সংসদ সদস্য আকম মোজাম্মেলের ঘনিষ্ঠজন ছিলেন। তার ছত্রছায়ায় বছরের পর বছর কালিয়াকৈর পৌরসভার মেয়র পদে বহাল থেকে পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক জমি প্লট ক্রয় করেছেন।
এছাড়াও গত পৌরসভার নির্বাচনে সাবেক আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীকে হারিয়ে ফের পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন। নাম প্রকাশ না করে একাধিক ব্যক্তি বলেন, কালিয়াকৈর পৌরসভার ভেতর সবচেয়ে বড় বড় জমি, প্লটের ব্যবসায় মুজিবুর রহমানের শেয়ার রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় মূল্যবান জমি ক্রয় করে বহুতল ভবণ নির্মানসহ অসংখ্য মার্কেট, দোকানপাট করেছেন তিনি। সম্প্রতি তার এমন অবৈধ সম্পদের কথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও উঠে এসেছে।