আত্মহত্যায় কি প্ররোচিত করছে গণমাধ্যম!



মাজেদুল নয়ন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আত্মহত্যা কাম্য নয়, ছবি: প্রতীকী

আত্মহত্যা কাম্য নয়, ছবি: প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

আমরা সবাই একসময় শিশু ছিলাম। ধীরে ধীরে ভালো-খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন বয়সে এসে পৌঁছেছি। আপনি নিজেও যদি নিজের অতীত সময়গুলোতে চোখ ঘুরান, সেখানে আশাহীন, সাহায্যহীন, মানসিক চাপ অতিক্রম করার কিছু সময় খুঁজে পাবো। যারা সময়গুলো এখন পর্যন্ত অতিক্রম করেছেন, তারা জানেন কিভাবে বাধা পেরিয়ে এগিয়ে যেতে পেরেছেন। আর যারা এই বাধায় আটকে গিয়েছেন, নিজেদের জীবনকে বিসর্জন দিয়েছেন তাদের জন্য শোক ও সমবেদনা।

কেমন জানি স্বাভাবিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে এখন প্রতিদিনকার অনলাইন নিউজপোর্টাল ব্রাউজ করে বা দৈনিক পত্রিকার পাতা ওল্টালে অথবা টেলিভিশনে স্ক্রলে আত্মহত্যার খবর দেখা বা পড়া। যিনি আত্মহত্যা করেছেন! তার পরিচয়, তার পরিবারের অবস্থা, কিভাবে আত্মহত্যা করেছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কার কথা লিখে গিয়েছেন! সবকিছুই গণমাধ্যম নিঁখুতভাবে তুলে ধরছে, বিশ্লেষণ করছে।

এরপর ফলোআপ সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে, পরে আরও অন্তরালের খবর। বাদ যাচ্ছে না পারিবারিক, সামাজিক অবস্থানের মতো বিষয়গুলোও। তবে দুনিয়াজুড়ে কিন্তু আত্মহত্যার খবর প্রকাশে একটি মানদণ্ড মেনে চলা হয়। বিশেষত আত্মহত্যার খবর প্রকাশই করা হয় না।

একবার সিঙ্গাপুরে স্ট্রেইট টাইমসের সাবেক সম্পাদক এলান জনকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, 'আত্মহত্যার খবরের বিষয়ে কি করে সিঙ্গাপুরের গণমাধ্যমগুলো?'

উত্তরে তিনি বলেছিলেন, 'আত্মহত্যার খবর প্রকাশ করা হয় না। কারণ যিনি আত্মহত্যা করেছেন, তিনি প্রচারের জন্যেই এই দূর্ভাগ্যজনক পরিণতি বেছে নিয়েছেন। এই ধরনের সংবাদ প্রকাশ, অন্যদেরও আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিতে প্ররোচিত করে।'

তবে কি আমাদের গণমাধ্যমগুলো এই আত্মহত্যাকে আলোচিত করে তুলছে?

গবেষণায় এটা বারবারই উঠে এসেছে, আত্মহত্যার সংবাদ যে মানুষকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করে। গত বছর প্রকাশিত কানাডিয়ান মেডিকেল এসোসিয়েশনের জার্নালে বলা হয়েছে, আত্মহত্যায় মানুষকে যে বিষয়গুলো প্ররোচিত করে, তার মধ্যে একটি বড় কারণ হচ্ছে তাকে আত্মহত্যার খবর জানানো। যে কাজটি এখন বাংলাদেশের গণমাধ্যম করে যাচ্ছে।

তাই প্রতিদিন আত্মহত্যার খবর পাওয়ার দায়তো গণমাধ্যমেরও কিছু রয়েছে।

ওই জার্নালে বলা হয়েছে, আত্মহত্যা থেকে মানুষকে বিরত রাখতে বড় ভূমিকা রাখতে পারে গণমাধ্যম। মানুষের মধ্যে আশা জাগিয়ে তুলতে পারে গণমাধ্যম। সেটি কি করছে গণমাধ্যম?

আমেরিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথের এক গবেষণায় দেখা গেছে, গণমাধ্যমে যখন আত্মহত্যার খবর বেশি প্রকাশ হতে থাকে, তখন আত্মহত্যার হারও বাড়তে থাকে। কারণ যারা এই ধরনের কঠিন মুহূর্ত অতিক্রম করছেন, তারা ভাবেন আত্মহত্যা করলে তাদের খবরটিও এভাবে প্রকাশ পাবে। আর যাদের ওপর তাদের ক্ষোভ রয়েছে, তারাও মানসিকভাবে শাস্তির সম্মুখিন হবে।

সাম্প্রতিক সময়ের আত্মহত্যার ঘটনাগুলোর মধ্যে একটি বিষয় লক্ষণীয়। সেটি হচ্ছে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে দায়ী করা। ভিকারুন্নেসা স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণীর ছাত্রী অরিত্রির আত্মহত্যা দেশের মানুষকে মর্মাহত করে। স্কুলের শিক্ষক এবং প্রতিষ্ঠানকে দায়ী করা হয়। গণমাধ্যম তীর ছুঁড়তে থাকে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রের আত্মহত্যা বছরের শুরুতেই দেশবাসীকে মর্মাহত করে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে আঙুল তোলে গণমাধ্যম। চলে চুলচেরা নানা বিশ্লেষণ।

চিকিৎসক আকাশের আত্মহত্যার পরে তার স্ত্রী মিতুর দিকে যেভাবে গণমাধ্যম তেড়ে আসলো, তাতেও দেখা যায় দায়ী ব্যক্তিদের অপরাধী প্রমাণ করতে সচেষ্ট থাকে সমাজ এবং গণমাধ্যম।

গবেষণা বলছে, যারা হতাশাগ্রস্ত হয়ে আত্মহত্যার মতো পথ বেছে নেয় এবং কারও ওপর প্রতিশোধ নিতে চায়, তাদেরকে উৎসাহ দেয় এই ধরনের সংবাদগুলো। তারাও ভাবেন, তাদের আত্মহত্যার পর সমাজ এবং গণমাধ্যম এই ধরনের প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে উঠবে।

তাই গবেষণা এবং আর্ন্তজাতিক মানসম্পন্ন সংবাদমাধ্যমগুলো পর্যালোচনা করলে, আমাদের গণমাধ্যমেরও নিজেদের প্রশ্ন করতে হবে, আত্মহত্যার সংবাদ বিস্তারিতভাবে প্রকাশের অর্থ কি! গণমাধ্যম কি প্ররোচনা দিচ্ছে নাকি! বা আত্মহত্যা ঠেকাতে কি করছে গণমাধ্যম!

   

হাটহাজারীতে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের হাটহাজারীর একটি কেন্দ্রে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২১ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় হাটহাজারী উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের জোবরা পি.পি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, হাটহাজারীর জোবরা পি.পি কেন্দ্রের বাইরে চেয়ারম্যান প্রার্থী রাশেদুল আলম ও সোহরাব হোসেন নোমানের সমর্থকদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এসময় দুই পক্ষ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় জড়িয়ে পড়ে। পরস্পরের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে তারা। এসময় রেললাইনের পাশে আগুন দেওয়া হয়।

ঘটনার সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্বাভাবিক থাকলেও বাইরে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে র‌্যাব ও বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে অবস্থান করছে।

চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, কেন্দ্রের বাইরে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশ ও স্ট্রাইকিং ফোর্স তাদের ধাওয়া করে পরিস্থিতি নিযন্ত্রণে আনে। তবে এতে ভোট গ্রহণের কোনো সমস্যা হয়নি। এ ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করা যায়নি।

ফটিকছড়িতে কেন্দ্র পরিদর্শনে এসে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানও হাটহাজারীর একটি কেন্দ্রে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার কথা স্বীকার করেন।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে যে নির্বাচনী সংস্কৃতি এখানে দেখা যায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সমর্থক এবং কর্মীদের মধ্যে অনেক উৎসাহ উদ্দীপনা কাজ করে। এর থেকে অনেক সময় দেখা তাদের মধ্যে হট্টগোল হয়ে থাকে। হাটহাজারীর জোবরা কেন্দ্রে এ ধরনের একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনার কথা শুনেছি। সেখানে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আছেন এবং পরিস্থিতির সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ভোট গ্রহণে কোন সমস্যা হয়নি।

এদিকে ফটিকছড়ি, হাটহাজারী ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় দ্বিতীয় ধাপে সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। যা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এ তিন উপজেলায় ২১ জন প্রার্থী তিনটি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

;

লক্ষ্মীপুরে পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,লক্ষ্মীপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লক্ষ্মীপুরে পুকুরের পানিতে ডুবে স্কুল শিক্ষার্থী নাফিজা মোবারক মাদিহা (৮) ও তার আপন ভাই মো. ওমরের (৫) মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কামালপুর গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুই সন্তানকে হারিয়ে তাদের মা-বাবাসহ স্বজনদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। কান্নায় মূর্ছা যাচ্ছেন নিহতদের মা।

নিহত নাফিজা স্থানীয় ফাতেমা আইডিয়াল স্কুলের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী ও ওমর প্লে শাখার ছাত্র। তারা কামালপুর গ্রামের ব্যবসায়ী রাজু আহমেদের সন্তান।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পুকুর ঘাটে গেলে পা পিছলে ওমর পানিতে পড়ে যায়। এসময় ভাইকে বাঁচানোর জন্য নাফিজাও পানিতে নামে। এতে দু'জনেই পানিতে ডুবে যায়। পরে ওমর ও নাফিজাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।

ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) খুরশিদ আলম বলেন, 'ঘটনাটি মর্মান্তিক। একসঙ্গে দুটি সন্তানের মৃত্যু খুব বেদনাদায়ক। নিহতদের মা-বাবাকে শান্তনা দেওয়ার ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না।'

;

নিখোঁজ এমপি আনারের বিষয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতে চিকিৎসা করাতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া ঝিনাইদহ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের বিষয়ে জানতে চাইলে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘আনারের বিষয়ে আমার কাছে এখন পর্যন্ত কোনো আপডেট নেই। যতটুকু শুনছি, আনারের মোবাইলটাও বন্ধ আছে।

মঙ্গলবার (২১ মে) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা জানান।

তিনি বলেন, আমাদের ও ভারতের ইমিগ্রেশন পার হয়ে যথাযথভাবেই তিনি ভারতে যান। তার পরিবার থেকে আমাদের জানানো হয়েছিল, তার কোনো খোঁজ-খবর পাওয়া যাচ্ছে না। সরকারি সব সংস্থা এটা নিয়ে কাজ করছে। আমাদের এনএসআই, এসবি ও পুলিশ কাজ করছে। ভারতীয় পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে কাজ করা হচ্ছে। আশা করছি, ভারতীয় সরকারের মাধ্যমে শিগগিরই তার বিষয়ে জানতে পারব।

এর আগে, গত ১৯ মে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, এমপি মো. আনোয়ারুল আজিম আনারের বিষয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। তিনি কলকাতায় গেছেন, এসে পড়বেন।

সেদিন তিনি আরও বলেছিলেন, তিনি পুরোনো মানুষ, একজন সংসদ সদস্য, বুঝেশুনেই তো চলেন। পাশের দেশ ভারতে গেছেন। এমন তো না মিয়ানমার গেছেন, যে মারামারি লেগেছে। আমার মনে হয় তিনি এসে পড়বেন।

প্রসঙ্গত, গত ১১ মে চিকিৎসার জন্য ভারতের কলকাতায় যান সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার। এরপর থেকে পরিবারের সদস্যরা তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না।

আনোয়ারুল আজিম আনার ঝিনাইদহ-৪ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য। তিনি ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে টানা ৩ বার আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

;

মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বাংলাদেশের অবস্থান সংকটজনক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

'বৈশ্বিক মতপ্রকাশ প্রতিবেদন ২০২৪' অনুসারে বাংলাদেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সংকটজনক অবস্থায় রয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে আর্টিকেল নাইনটিন। ৫ বছরের সময়কাল (২০১৮-২৩) বিবেচনায় নিলেও স্কোরের দিক থেকে একই জায়গায় আটকে আছে বাংলাদেশ। 

মঙ্গলবার (২১ মে) রাজধানীর লেকশোর হাইটসে 'আর্টিকেল নাইনটিনের' বৈশ্বিক মত প্রকাশের স্বাধীনতা প্রতিবেদন প্রকাশ' শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেন আর্টিকেল নাইনটিনের দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক শেখ মনজুর-ই-আলম।

তিনি বলেন, 'বিগত দশ বছর বা ২০১৩-২০২৩ সাল এই সময়কাল বিবেচনায় নিলে বাংলাদেশের মতপ্রকাশ স্কোর কমেছে ৮ পয়েন্ট। ২০১৩ সালে বাংলাদেশের জিআরএক্স স্কোর ছিল ২০ যা মতপ্রকাশের শ্রেণীগত দিক থেকে অতি বাধাগ্রস্ত দেশ। ২০১৪ সালে স্কোর ৪ পয়েন্ট কমে ১৬ স্কোর নিয়ে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো মতপ্রকাশের সংকটজনক শ্রেণীতে ঢুকে পড়ে। যা থেকে বাংলাদেশ এখনও উত্তরণ ঘটাতে পারেনি।'

একইভাবে ২০০০ সাল থেকে মতপ্রকাশের স্কোর বিশ্লেষণ করলে দেখা যাচ্ছে এই সময়কালে বাংলাদেশের স্কোর কমেছে ৩২ পয়েন্ট। ২০০০ সালে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৪৪, যেটি মতপ্রকাশের শ্রেণীগত দিক থেকে 'বাধাগ্রস্ত' হিসেবে বিবেচিত। 'বাধাগ্রস্ত' থেকে 'অতিবাধাগ্রস্ত' দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবনমন হয় ২০০৬ সালে। স্কোর ২০০৫ সালের তুলনায় ৪ পয়েন্ট কমে নেমে আসে ৩৯ এ। পরবর্তী বছর ২০০৭ সালে আরও ১০ পয়েন্ট কমে স্কোর নেমে আসে ২৯ এ। পরের দুই বছর (২০০৮ ও ২০০৯ সালে) স্কোর ৫ পয়েন্ট বেড়ে ৩৪এ উন্নীত হলেও ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেনি পরবর্তী বছরগুলোতে। বরং বছর বছর স্কোর কমেছে এবং মতপ্রকাশের সংকটজনক শ্রেণীতে নেমে আসে ২০১৪ সালে।

সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের ( টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। তিনি বলেন, 'মানুষ কে প্রটেক্ট করার নামে মানুষের অধিকার খর্ব করা হচ্ছে। এখন ক্ষমতার রাজনীতির সাথে স্বাধীন মত প্রকাশের দ্বন্দ্ব বিদ্যমান।'

এ সময় দৈনিক প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের গণতন্ত্র, আইন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সংকটে জনগণ সবচেয়ে বিপদে আছে। নাগরিক পরিসরে সংকুচিত হচ্ছে। রাষ্ট্র যদি জনগণকে ভয় পায় বা সন্দেহ করে তবে তা সবচেয়ে বিপজ্জনক।'

সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

;