বগুড়ায় আ.লীগ-যুবলীগের সাত নেতাকর্মী গ্রেফতার

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম,বগুড়া
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার আদমদীঘিতে বিএনপির অফিসে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের সাত নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

রোববার (৪ নভেম্বর) রাতে র‍‍্যাব ও আদমদীঘি থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে ঢাকা মিরপুর এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

বিজ্ঞাপন

আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান এতথ্য নিশ্চিত করেছে।

গ্রেফতাকৃতরা হলেন, আদমদীঘি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সান্তাহার ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান এরশাদুল হক টুলু (৫৬), ছাতিয়ানগ্রাম ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান ইউনিয়ন আব্দুল হক আবু (৬০), কুন্দগ্রাম ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান শামিমুল হুদা খন্দকার শামিম (৫২), আদমদীঘি ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান (৫৬), উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা খন্দকার নাজিমুল হুদা (৬২), উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুমিনুল ইসলাম সুমন (৪০) ও উপজেলা যুবলীগের নেতা একরাম হোসেন (৪২)।

বিজ্ঞাপন

মামলা সুত্রে জানা যায়, গত ৪ আগষ্ট আদমদীঘিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঠেকাবার জন্য আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের প্রায় ২৫০ জন নেতা-কর্মি ককটেল, পেট্রোল সাবল ও লাঠিসহ দলবদ্ধ হয়ে উস্কানিমুলক শ্লোগান দিয়ে আদমদীঘি সদরে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থিত বিএনপির অফিসের সামনে ককটেল নিক্ষেপ ও বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতংক সৃষ্টি করে। এরপর হামলাকারিরা বিএনপি অফিসে ঢুকে দরজা জানালা ভাংচুর, চেয়ার, কাঠের আলমারী, ফ্যানসহ অন্যান্য আসবাবপত্র ও শহীদ জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি ঘর থেকে বের করে তাতে পেট্রোল ঢেলে অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে ফেলে। এ ঘটনায় গত ২৫ আগষ্ট রাতে ১২৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২৫০ জনের নামে মামলা করা হয়।

আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান গ্রেফতাকৃত ৭ আসামিকে সোমবার বগুড়া আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।