গণঅধিকার পরিষদের সমাবেশে হামলা, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গ্রেফতার
রাজধানীর পল্টন থানার বিজয়নগর পানির ট্যাঙ্কি এলাকায় ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর ভিপি নুরের দল গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের দূর্ণীতি অনিয়ম, গুম হত্যা, ব্যাংক লুট, ভোট ডাকাতিসহ ফ্যাসিবাদী আচারণের প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ সমাবেশে হামলা ও গুলির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মনিরুজ্জামান সুমনকে গ্রেফতার করেছে পল্টন থানা পুলিশ।
এরআগে গত ২৪ সেপ্টেম্বর পল্টন থানায় বাদী হয়ে মামলাটি করেন গণ অধিকার পার্টির কর্মী ও হামলায় চোখে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হওয়া রুবেল। গুলিতে মামলার বাদীর একটি চোখ নষ্ট হয়ে যায়।
মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার শাসনামলের বিভিন্ন মন্ত্রী ও নেতাদের আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও মামলায় আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাসহ অজ্ঞাত ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় বাদী অভিযোগ করেছেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের গুম, হত্যা, ব্যাংক লুট, ভোট ডাকাতি, মানবাধিকার লঙ্ঘন, অগণতান্ত্রিক ক্ষমতা চর্চার প্রতিবাদে গণ অধিকার পরিষদ ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর দুপুরে শান্তিপূর্ণ মহা সমাবেসের আয়োজন করে। মামলার বাদী মঞ্চে বক্তব্য দেওয়ার সময়ে আসামিদের নির্দেশ ও প্রত্যদক্ষ মদদে অজ্ঞাত ৩০০/৩৫০ জন ব্যক্তি ও পুলিশের পোষাক পরিহিত ব্যক্তিরা অতর্কিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি বর্ষণ শুরু করে। এতে বাদী রুবেল গুলি বৃদ্ধ হয়ে মঞ্চে লুটিয়ে পড়ি এবং তার ডান চোখে গুলিবিদ্ধ হয়। প্রানে বেঁচে গেলেও তার ডান চোখর দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে যায় এবং চোখের গঠনগত দিক থেকে ছোট হয়ে যায়। সেদিন মঞ্চে থাকা বাংলাদেশ শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান সহ অনেকেই বুকে গুলি বিদ্ধ হয়।
পল্টন থানা সূত্রে জানা গেছে, পল্টন এলাকায় ২৮ অক্টোবরের ঘটনায় আন্দোলনকারীদেও ওপর নৃশংসভাবে হামলা ও গুলি চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। হামলাকারীদের মধ্যে শান্তিনগর এলাকার বাহিন্দা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য মনিরুজ্জামান সুমন অন্যতম।
এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গত পহেলা অক্টোবর শান্তিনগরে অভিযান চালিয়ে সুমনকে গ্রেফতার করে পল্টন থানা পুলিশ। পরবর্তীতে আদালতে হাজির করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠায়। সুমন বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।