ফটিকছড়িতে সহবস্থানের রাজনীতি কামনা জামায়াতের
চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতের জামায়াতে ইসলামী সহবস্থানের রাজনীতি কামনা করে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির ফটিকছড়ি থানা সেক্রেটারি ইউসুফ বিন সিরাজ।
বুধবার (৬ নভেম্বর) বিকালে উপজেলা সদরস্থ সংগঠনটির দলীয় কার্যালয়ে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি জানান, জামায়াত-বিনএনপি মিলে অতীতের মতো ঐক্যবদ্ধভাবে একটি সম্প্রতির ফটিকছড়ি গড়ে তুলতে হবে। ফটিকছড়িতে কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে আমাদের মতবিরোধ নেই। আমরা সহবাস্থনের রাজনীতি কামনা করছি। ফটিকছড়িতে শান্তি প্রতিষ্ঠায় আমরা বদ্ধপরিকর।
সম্প্রতি জামায়তের অঙ্গ সহযোগী সংগঠন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সঙ্গে বিএনপির একাংশে মধ্যে অটোরিকশা চালক সমিতির বিরোধ নিয়ে জামায়াতের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারের প্রতিবাদে এ সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জামায়াত সেক্রেটারি ইউসুফ বিন সিরাজ বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও শ্রমিক ফেডারেশন চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি বা কোন ধরনের অন্যায়কে কখনো সমর্থন করে না। সাম্প্রতিক একটি বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ কিছু পত্রপত্রিকায় অপপ্রচার ছড়ানো হয়েছে। যার সাথে জামায়তের কোনো সম্পর্ক নেই।
এসময় তিনি সাংবাদিকদের যাচাই-বাচাই করে সঠিক তথ্য প্রচার ও জাতির সমানে সত্য তথ্য তুলে ধরার অনুরোধ জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ফটিকছড়ি থানা জামাতের আমোন মাস্টার নাজিম উদ্দিন সিকদার, জামায়াত নেতা নবীর হোসেন মাসুদ, সিরাজুল ইসলাম, অফিস সম্পাদক মুহাম্মদ জাফর প্রমূখ।
এক ঘন্টার ব্যবধানে একই স্থানে পৃথক সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ফটিকছড়ি শাখা নেতারা।
সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শ্রমিক সংগঠনচির ফটিকছড়ির সভাপতি নাজিম উদ্দিন ইমু। তিনি বলেন, চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে সম্প্রতি আটক হওয়া শ্রমিকলীগ নেতা সরোয়ারকে থানা থেকে ছাড়িয়ে আনার বিষয়টি ভুয়া ও উদ্দ্যেশ্য প্রণোদিত। শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন এ রকম নোংরা রাজনীতি কখনো করেনি। ভবিষ্যতেও করবে না।
সিএনজি চালক সমিতির নামে এতদিন যারা ফটিকছড়িতে চাঁদাবাজি করেছে সেই আওয়ামী দোসরদের বিতাড়িত করতে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন কাজ করছে বলে জানান নাজিম উদ্দিন ইমু।
৪ নভেম্বরের ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রভাহিত না করতে তিনি বন্ধু সংগঠন বিএনপির প্রতি অনুরোধ জানান।
এ সময় শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের উপজেলা সাধারণ সম্পাদক গাজী বেলাল, ইব্রাহিম খলিলসহ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
গত ৪ নভেম্বর রাতে উপজেলার পাইন্দং ইউনিয়ন শ্রমিকলীগ সভাপতি সরোয়ার পুলিশের হাতে আটক হওয়া নিয়ে রাতে স্থানীয় বিএনপি ও শ্রমিক কল্যাণ ফেড়ারেশনের নেতা কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ৪ জন নেতাকর্মী আহত হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এ ঘটনায় দল দুটির কেউই কোন ধরনের মামলা করেনি।