ডেঙ্গুতে আরও ৭ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ১২০৯

  • স্টাফ করেসপন্ডেট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ডেঙ্গুতে আরও ৭ জনের মৃত্যু

ডেঙ্গুতে আরও ৭ জনের মৃত্যু

এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগী ও মৃতের সংখ্যা দিনদিন বেড়েই চলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে চলতি মাসের প্রথম ৭ দিনে ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৪০ জনের। আর চলতি বছর মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩৭ জনে।

বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া সাতজনের মধ্যে চারজন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার। এছাড়া দুইজন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের। মৃতদের মধ্যে একজন রয়েছেন খুলনা বিভাগের।

গত একদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজার ২০৯ জন। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৯ হাজার ৪৫৬ জনে।

বিজ্ঞাপন

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়াদের মধ্যে ঢাকা সিটি করপোরেশনের ৪০৬ জন এবং বাকিরা ঢাকার বাইরের। এ সময়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন এক হাজার ১০৮ জন।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৬৯ হাজার ৪৫৬ জনের মধ্যে ৬৩ দশমিক ২০ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৬ দশমিক ৮০ শতাংশ নারী। এছাড়া এখন পর্যন্ত মৃত ৩৩৭ জনের মধ্যে ৫১ দশমিক ৩০ শতাংশ নারী এবং ৪৮ দশমিক ৭০ শতাংশ পুরুষ।

২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গেল বছর দেশে তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। অপরদিকে এক হাজার ৭০৫ জন মশাবাহিত এই রোগে মারা গেছেন। যা দেশের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড।

এর আগে ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন। ওই সময় চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। ওই বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

এছাড়া ২০২২ সালে ডেঙ্গু নিয়ে মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ওই বছর মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে ২৮১ জন মারা যান।