বনবিভাগের ‘ভুয়া মামলা’ তুলে দেয়ার আশ্বাস উপদেষ্টার

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বনবিভাগের সব ভুয়া মামলা তুলে দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেন, বনবিভাগের ‘ফলস কেইস’ তুলে নেয়ার ক্ষেত্রে আদালতের রায় ও বিগত সরকারেরও নির্দেশ ছিল। বনবিভাগের সব ‘ফলস কেইস’ তুলে দেয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।

শুক্রবার (৮নভেম্বর) বিকেলে বনানীর বিদ্যানিকেতন স্কুল এন্ড কলেজে গারোদের নতুন ফসল ঘরে তোলার উৎসব ‘ঢাকা ওয়ানগালা ২০২৪’ উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

রেজওয়ানা হাসান বলেন, বনবাসীর সাথে বনবিভাগের দ্বন্দ্ব থাকলে তার সুবিধা নেয় দখলকারীরা, যারা বনের গাছ অবৈধ উপায়ে কাটে তারা। আমাদের বন বিভাগ বনবাসীদের অংশগ্রহণে সোশ্যাল ফরেস্ট করেছে। সামাজিক বনায়ন বৃদ্ধি করার জন্য কমিটি ঘোষণা করেছি, তারা সেই অনুযায়ী কাজ করছে।

তিনি বলেন, আমরা একটি দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর মধুপুর নিয়ে একটা রায় পেয়েছিলাম। সে সময়ে সরকারের যে সর্বোচ্চ আইনি কর্মকর্তা এটর্নি জেনারেল তিনি দফায় দফায় বাধা দিয়েছেন। কিন্তু উনার কোন যুক্তি ছিল না। বিষয়টা হচ্ছে একটি বনাঞ্চলে যখন গারোরা বসবাস করে, তখন সেই বনাঞ্চলকে রিজার্ভ ঘোষণা করতে হলে সরকারকে কতগুলো বিধান ফলো করতে হয়। সে বিধান ফলো করে তাদের ভূমির অধিকার, পানি, যাতায়াতের অধিকার, বনজ দ্রব্য আহরণের অধিকার নিশ্চিত করে তারপরেই রিজার্ভ ঘোষণা করতে পারে। কিন্তু আমাদের সরকাররা প্রবল পরাক্রমশালী সরকার হয়, তারা এগুলোর ধার ধারে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, প্রাকৃতিক বনের সামাজিক বনায়নের কোনো যুক্তি দেখিনা। যুক্তিযোগ্য হলো যে জমিগুলো বেদখল হয়ে গেছে সেগুলো আমরা ফেরত আনবো। আমরা সংস্কারের প্রক্রিয়া শুরু করেছি। আদিবাসীদের বনের উপরে যে অধিকার আছে, তা ডোর টু ডোর সার্ভে করে জানা হবে। তবে বাণিজ্যিকভাবে বনে চাষ করা যাবে না। বনবাসীকে না জানিয়ে বন উন্নয়ন কাজ করা হবে না।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা আরও বলেন মধুপুর শালবন জাতীয় ঐতিহ্য। এটা রক্ষা করলে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ উপকৃত হবে। এটাকে আমাদের সকলের প্রচেষ্টায় রক্ষা করতে হবে। পরিবেশ হচ্ছে গণতন্ত্রের মতো। গণতন্ত্র যেমন সকলে মিলে অংশগ্রহণ না করলে গণতন্ত্র হয় না, এমনি পরিবেশও সকলে দায়িত্ব মনে না করলে পরিবেশ রক্ষা হয় না।

ঢাকা ওয়ানগালা ২০২৪-এর সভাপতি নকমা সীমান্ত চিশিমের সভাপতিত্বে উৎসবে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন প্রশাসক মো. মাহমুদুল হাসান, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কালচারাল হেরিটেজ শাখার অতিরিক্ত সচিব নাফরিজা শায়মা, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য এম এম ফজলুল হক (আরিফ), এউএসএইড বাংলাদেশের মিশন ডিরেক্টর রিড জে. অ্যাশলিম্যান, কবি ও লেখক মতেন্দ্র মানখিনসহ অন্যান্যরা।