চাকরিচ্যুত শ্রমিকদেরকে চাকরি পুনর্বহালের দাবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

গার্মেন্ট শ্রমিকদের বিরুদ্ধে ‘ঢালাওভাবে’ বিভিন্ন কারখানার দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেফতাকৃতদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়েছে ইন্ডাষ্ট্রি অল বাংলাদেশ কাউন্সিল (আইবিসি)। একইসঙ্গে, ‘গণহারে’ চাকরিচ্যুত শ্রমিকদেরকে চাকরিতে দ্রুত পুনর্বহাল করার দাবিও জা‌নি‌য়ে‌ছে সংগঠনটি।

মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লা‌বের আব্দুস সালাম হ‌লে আ‌য়ো‌জিত সংবাদ স‌ম্মেল‌নে সংগঠনটির নেতারা এসব দা‌বি জানান।

লিখিত বক্তব্যে আইবিসি’র মহাসচিব সালাউদ্দিন স্বপন ব‌লেন, সরকার ঘোষিত নিম্নতম মজুরি নিয়ে পোশাক শিল্পের শ্রমিকরা গত ১০ ডিসেম্বর থেকে ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত পোশাক শিল্পাঞ্চলগুলোতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন হয়। পর্যায়ক্রমে তা মারাত্বক আকার ধারণ করে। যার পরিপ্রেক্ষিতে সমস্যাসমূহ চিহ্নিতকরণ এবং তা সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের লক্ষ্যে গত ৮ জানুয়ারি সরকারের শ্রম মন্ত্রণালয় শ্রম সচিবকে প্রধান করে ১২ সদস্য বিশিষ্ট ত্রিপক্ষীয় কমিটি গঠন করে। ওই কমিটি গত ১০, ১২ এবং ১৩ জানুয়ারি ধারাবাহিক সভায় মিলিত হয়ে সংকট সমাধানে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণে একমত হয়।

তিনি ব‌লেন, শ্রমিকরা কা‌জে যোগদান কর‌বে, এমন সময় মালিকরা আন্দোলনের বিপদ থেকে মুক্তি পেয়েই শ্রমিকদের উপর মামলা, হামলা, গ্রেফতার এবং চাকরি থেকে গণহারে বহিষ্কারের মহাউৎসব শুরু করেন। যার ফলে এ পর্যন্ত সাভার আশুলিয়া এবং গাজীপুরের বিভিন্ন থানায় ৩৪টি মামলায় প্রায় ৩৫০০ জন শ্রমিককে আসামি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে শতাধিক শ্রমিককে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং এ পর্যন্ত প্রাপ্ততথ্য অনুযায়ী ৯৯টি কারখানা কর্তৃপক্ষ প্রায় ১১ হাজার শ্রমিককে বিভিন্ন পন্থায় চাকরিচ্যুত করেছে।

সালাউদ্দিন স্বপন ব‌লেন, শুধু মামলা-হামলা ক‌রেই ক্ষান্ত হয় নাই তারা। বিজিএমইএ ইতোমধ্যে শ্রমিকদের ডাটাবেইজ কার্যক্রম শুরু করেছে এবং বিজিএমইএ’র তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে প্রায় ৩৫ লাখ শ্রমিককে ডাটাবেইজের আওতায় আনা হয়েছে। আমরা বিজিএমইএ’র এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। কিন্তু ডাটাবেইজকে যদি শ্রমিকদের বিরুদ্ধে পুনঃচাকরি নেওয়ার ক্ষেত্রে বিধি-নিষেধ হিসাবে ব্যবহার করা হয়, তাহলে আইবিসি তা মেনে নেবে না। আমরা দ্ব্যার্থহীন কণ্ঠে বলতে চাই, নিরাপরাধ কোনো শ্রমিক একক বা দলগতভাবে অবৈধভাবে চাকরিচ্যুত বা কালো-তালিকাভুক্ত করে জীবন-জীবিকার পথ রুদ্ধ করা মানবাধিকারের পরিপন্থি।

এ সময় তারা কিছু দা‌বি তু‌লে ধ‌রেন। দা‌বিগু‌লো হ‌লো:

১। সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
২। গ্রেফতারকৃত শ্রমিকদের মুক্তি দিতে হবে।
৩। চাকরিচ্যুত সকল শ্রমিকদেরকে কাজে পুনর্বহাল করতে হবে।
৪। শ্রমিকদের বিরুদ্ধে সকল ধরনের নিপিড়ন-নির্যাতন বন্ধ করতে হবে।
৫। মজুরির গেজেট প্রকাশের পর থেকে প্রোডাকশনের নামে টার্গেট দিয়ে চলমান শ্রমিক হয়রানি বন্ধ করতে হবে।

সংবাদ স‌ম্মেল‌নে তারা তা‌দের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা ক‌রেন। কর্মসূচি-

আইবিসি উল্লিখিত দাবিতে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি শ্রম মন্ত্রণালয়ে স্বারকলিপি প্রদান। সরকার দাবিগুলো বাস্তবায়ন না করলে আইবিসি পরবর্তীতে লাগাতার কর্মসূচি ঘোষণা করবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আইবিসির চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান আমিরুল হক আমিন, আইবিসির সাবেক মহাসচিব মো. তৌহিদুর রহমান, কুতুব উদ্দিন আহমেদ, বাবুল আক্তার, আইবিসি’র কেন্দ্রীয় নেত্রী নাজমা আক্তার।

   

লামা বন বিভাগের গাছ চুরি করে বিক্রি, বন কর্মকর্তাসহ বহিষ্কার ৩



আমিনুল ইসলাম খন্দকার, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, বান্দরবান
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবানের লামা বন বিভাগের সৃজিত বাগানের গাছ বিক্রিতে জড়িত থাকার অভিযোগে দুই কর্মকর্তাসহ তিনজনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

বহিষ্কৃতরা হলেন তৈন রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা খান জুলফিকার আলী, বিট কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক ও বাগান মালি অলক কুমার সেন।

গাছ বিক্রির ঘটনা ও সাময়িক বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লামা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আরিফুল হক বেলাল। 

বন বিভাগের চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপ বন সংরক্ষক মোহাম্মদ হোছাইন এর নেতৃত্বে তদন্ত টিম বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বেলা ১১টায় ঘটনাস্থলে আসেন। তিনজন বিভাগীয় বন কর্মকর্তার সমন্বয়ে গঠিত প্রায় ১৫ জনের টিম তৈন রেঞ্জের কাঁকড়ারঝিরি আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখেন।

স্থানীয়রা জানায়, গত মার্চের মাঝামাঝিতে কাঁকড়াঝিরি এলাকায় বন বিভাগের সৃজিত বাগানের গাছ কাটা শুরু হয়। সংঘবদ্ধ চোর চক্র গহিন বনের মধ্য থেকে বিশাল বিশাল সেগুন গাছ কেটে নিয়ে গেছে। যে-সব গাছের বয়স ৪০ থেকে ৫০ বছর পর্যন্ত। কাঠগুলো পাচার করতে এক্সক্যাভেটর দিয়ে পাহাড় কেটে চোরাই রাস্তা তৈরি করা হয়। সেসময় খবরটি তৈন রেঞ্জের বিট কর্মকর্তা ও বাগান মালিকে জানিয়েছিল স্থানীয়রা। কিন্তু তারা সে বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এ কারণে চোরাই রাস্তা ব্যবহার করে কাটা গাছের কাঠগুলো লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের বনপুর ও কাঠালছড়া হয়ে চকরিয়ার মালুমঘাটের দিকে নিয়ে যায় চোরাকারবারিরা।

গত এপ্রিলে কাঁকড়াঝিরি এলাকার দুই ও তিন যুগের বেশি বয়সী সেগুনসহ অন্যান্য প্রজাতির মূল্যবান গাছ বিক্রির অভিযোগ উঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩০ এপ্রিল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন লামা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) আরিফুল হক বেলাল। ঘটনার সত্যতা পেয়ে ওই দিনই বাগানের মালিকে ক্লোজড করা হয়। একই সঙ্গে সিনিয়র বন কর্মকর্তা হাবিব উল্লাহকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেয়া হয়। কেটে নেয়া গাছগুলো থেকে গড়ে ১০ ঘনফুটের বেশি কাঠ ধরা হয়েছে।

এ বিষয়ে তৈন রেঞ্জ কর্মকর্তা খান জুলফিকার আলী জানান, এসব গাছ বিক্রি নয়, চুরি হয়ে গেছে। গত ছয় মাস আগে তৈন রেঞ্জ কর্মকর্তা হিসেবে তিনি যোগদান করেছেন। সেই থেকে স্থানীয় বন বিট কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক ও বাগান মালি অলক বাবু এতদিন গাছ চুরি সম্পর্কে তাকে কিছুই জানান নি। এছাড়া, সাময়িক বহিস্কার সংক্রান্ত কোনো নোটিশ পাননি বলেও জানান তিনি।

লামা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আরিফুল হক বেলাল বলেন, ৪ ও ৬ ধারায় ঘোষিত খাস ভূমিতে বন বিভাগের সৃজিত বাগানের সেগুনসহ অন্যান্য মূল্যবান বিভিন্ন প্রজাতির ১৮৭টি গাছ কাটা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে। এ ঘটনায় চলমান অভিযানে এ পর্যন্ত দুই-তৃতীয়াংশ কাঠ উদ্ধার করা হয়েছে। এসব ঘটনায় ছয়টি মামলা দায়ের হয়েছে। এছাড়া গাছ বিক্রির ঘটনায় জড়িতের অভিযোগে তিনজনকে সাময়িক বহিস্কারও করা হয়েছে। কেটে নেয়া গাছগুলোর কাঠ উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৬-৮৭ অর্থবছরে মাতামুহুরী সংরক্ষিত বনাঞ্চল ঘেঁষা কাঁকড়াঝিরি এলাকার খাস ভূমিতে সেগুনসহ অন্যান্য প্রজাতির বনজ গাছের বাগান সৃজন করা হয়। পরে ১৯৯৬-৯৭ অর্থবছরে ওই এলাকার ফাঁকা স্থানে একই প্রজাতির বনজ গাছের বাগান সৃজন করে বন বিভাগ। ১০ বছরের ব্যবধানে সৃজিত বাগানের মধ্যে প্রথম ধাপে ৬০০ একর ও পরবর্তী ধাপে ৪৫০ একর খাস ভূমিতে বাগান সৃজন করা হয়। যা লামা বন বিভাগের তৈন রেঞ্জের আওতাভুক্ত।

;

মালয়েশিয়ায় প্রতারিত হওয়া শ্রমিকরা পাচ্ছেন আড়াই কোটি টাকা



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাউথ ইস্ট এশিয়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মালয়েশিয়ার জোহরবারুতে প্রতারিত হওয়া ৭৩৩ জন বাংলাদেশি শ্রমিককে তাদের পাওনা বেতন বাবদ আড়াই কোটি টাকার বেশি প্রদান করা হবে।

গত ফেব্রুয়ারিতে জোহরবারুতে ৭৩৩ জন বাংলাদেশি শ্রমিকের খোঁজ মেলে। তাদেরকে প্রায় ৪ মাস ধরে বিনা বেতনে কাজ করানো হচ্ছিল এবং প্রতিশ্রুত কাজও দেয়া হয়নি। এর আগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি জোহর শ্রম অধিদফতর এই শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করার জন্য ৪৫ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছিল। কিন্তু সেই সময়ে নির্ধারিত টাকা পরিশোধ করেনি কর্তৃপক্ষ।

শ্রম বিভাগ জানিয়েছে মোট অপরিশোধিত বেতনের পরিমাণ ১০ লাখ ৩৫ হাজার ৫৫৭ বাথ। যা বাংলাদেশি অর্থে আড়াই কোটি টাকারও বেশি।

মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় শুক্রবার (১৭ মে) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কর্মসংস্থান আইন ১৯৫৫ এর ধারা ৬৯(৪) এর অধীনে জোহর শ্রম অধিদফতর এখন নিয়োগকর্তাকে দায়রা আদালতে এনে শ্রম আদালতের জারি করা আদেশ কার্যকর করবে।

মালিকপক্ষ দোষী সাব্যস্ত হলে, কোম্পানি প্রতিটি অপরাধের জন্য ৫০ হাজার রিঙ্গিত বা ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হবে এবং শ্রমিকদের পাওনা মজুরি নিষ্পত্তি করতে হবে।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কোম্পানিটির বিরুদ্ধে চলা মোট ১০টি তদন্তের মধ্যে ৪টিতে মামলার অনুমতি দেয়া হয়েছে। বাকি ৬টি অধিকতর তদন্তের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এছাড়াও কোম্পানিটিতে বিদেশি কর্মী নিয়োগের কোটা প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং নিয়োগকর্তাকে নতুন বিদেশি কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

মন্ত্রণালয় আরো জানিয়েছে, একটি বিশেষ ‘নিয়োগকর্তা পরিবর্তন প্রক্রিয়া’ (পিটিএম) এর মাধ্যমে মোট ৬৯২ জন ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশি কর্মীকে এরই মধ্যে নতুন কর্মস্থলে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

;

সকাল ৯টার মধ্যে ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টানা কিছুদিন বৃষ্টিপাতের পর গত ২-৩ দিন ধরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় সিলেট বিভাগে ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়েছে। 

শুক্রবার (১৭ মে) রাত সাড়ে ১১টা থেকে শনিবার (১৮ মে) সকাল ৯টার মধ্যে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন জেলার ওপর দিয়ে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। 

নদীবন্দরের জন্য দেয়া সতর্কবার্তায় বলা হয়, সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে সন্ধ্যায় দেয়া আবহাওয়া বার্তায় জানানো হয়, সিলেটে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ ১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। এ ছাড়া রাজশাহীতে ৩, নওগাঁর বদলগাছী ও পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া ২, বগুড়ায় ১ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় রংপুরেও সামান্য বৃষ্টি হয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের দুই এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। 

এর পরের ২৪ ঘণ্টা ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের দুয়েক জায়গায় ঝড় ও শিলাবৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। 

;

স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের আনন্দ শোভাযাত্রা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রা করেছে চট্টগ্রামের ওমরগণি এম ই এস কলেজ ছাত্রলীগ।

শুক্রবার (১৭ মে) নগরীর জিইসি মোড় থেকে শুরু হয়ে শোভাযাত্রাটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। এতে এম.ই.এস কলেজ ছাত্রলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা মিছিল সহকারে যোগ দেয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশরত্ন শেখ হাসিনা যখন বঙ্গবন্ধু বিহীন বাংলাদেশে ফিরে আসে তখন থেকে বাঙালি স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। শেখ হাসিনাকে বারবার হত্যাচেষ্টা করে বাঙালির সেই স্বপ্নকে নষ্ট করতে চেয়েছিল খুনিরা। কিন্তু শত বাধা,ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে শেখ হাসিনা আজ বাংলাদেশকে একটি স্বনির্ভর রাষ্ট্রে পরিণত করেছেন।

'আজকে শেখ হাসিনা মানেই উন্নত বাংলাদেশ, শেখ হাসিনা মানেই উন্নয়ন, শেখ হাসিনা মানেই তারুণ্যের চোখে সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন। ১৯৮১ সালে আজকের দিনে বিদেশের মাটি থেকে বঙ্গবন্ধু কন্যা স্বদেশে এসে খুনি, স্বৈরাচার জিয়ার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ঘোষণা করেন, আমার হারানোর কিছুই নাই, এদেশের মানুষের মুক্তির জন্য আমি লড়াই করবো।'

তারা আরও বলেন, আজ বাংলার মানুষ ভোট এবং ভাতের অধিকার ফিরে পেয়েছে, তলাবিহীন ঝুড়ির দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। সমুদ্র জয় থেকে মহাকাশ জয় শুধু শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং সাহসিকতার জন্য সম্ভব হয়েছে। আজকে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে আমরা এম ই এস কলেজ ছাত্রলীগ ধন্য।

শোভাযাত্রায় কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ইমাম উদ্দীন নয়ন, রাকিব হায়দার, নুরুন নবী সাহেদ, আব্দুল্লাহ আল নোমান, সাজ্জাদ হোসেন, রবিউল ইসলাম খুকু, আব্দুর রাজ্জাক, সাজ্জাদ আলম, নুর মোহাম্মাদ সানি, আওরাজ ভূইয়া রওনক, নুরুজ্জামান বাবু, তৌফিক চৌধুরী প্রমুখ।

;