পঞ্চগড়ে শীতের আগমন, ১৭.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পঞ্চগড়
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

কুয়াশাচ্ছন্ন পঞ্চগড়ের বাড়িঘর, ছবি: বার্তা২৪.কম

কুয়াশাচ্ছন্ন পঞ্চগড়ের বাড়িঘর, ছবি: বার্তা২৪.কম

হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে বইতে শুরু করেছে হিমেল হওয়া। এখানে ধীরে ধীরে বাড়ছে শীতের ঠান্ডা পরশ। নিম্নমাত্রার তাপমাত্রা রেকর্ড বলে দিচ্ছে ঘনিয়ে আসছে শীত।

শনিবার (১৬ নভেম্বর) সকাল ৬টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যাবেক্ষণাগার কার্যালয়।

বিজ্ঞাপন

সকালে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ভোরের সূর্য উঠলেও হালকা কুয়াশা ঝরা প্রকৃতি। সবুজ ঘাসের ডগায় টলমল করছে শুভ্র শিশির। বৃষ্টির ফোটার মতো ঝরছে শিশির কণা। কুয়াশার চাদরের আড়ালে মাঠে দেখা যায় চাষিদেরও। অপরদিকে, শীতকে ঘিরে বাংলার ঘরে ঘরে প্রস্তুতি নিচ্ছে নবান্নের আয়োজন।

স্থানীয়রা জানান, ধীরে ধীরে বাড়ছে শীতের মাত্রা। সন্ধ্যার পর থেকেই উত্তরীয় হিমেল হাওয়ায় শীতের পরশ অনুভূত হচ্ছে। মাঝরাতের পর ভোর পর্যন্ত গায়ে কাঁথা নিতে হচ্ছে। উত্তরের এ জেলাটি বরফের পাহাড় হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘা বিধৌত এলাকা হওয়ায় অন্যান্য জেলার আগেই এ অঞ্চলে শীতের আগমন ঘটে। নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শীতের দাপট বেশি হয়ে থাকে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে, শীতকে কেন্দ্র করে ব্যস্ততা বেড়েছে লেপ-তোষক কারিগরদের। শীতের প্রস্তুতি হিসেবে দু-এক মাসের আগে থেকেই কর্মব্যস্ততা বেড়ে যায় কারিগরদের। এছাড়া ব্যবসায়ীরা তাদের দোকানে শীতের কাপড় আনতে শুরু করেছেন।

তাপমাত্রা কমলেও দিনে গরম ও রাতে হালকা শীতের কারণে বেড়েছে মৌসুম পরিবর্তনজনিত বিভিন্ন রোগব্যাধি। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শিশু ও বয়স্করা সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

পঞ্চগড়ের প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, আগের তুলনায় তাপমাত্রা কিছুটা কমতে শুরু করেছে। আজ শনিবার সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৭ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এখন দিন যত যাবে তাপমাত্রা আরও কমতে শুরু করবে।