রংপুরে সাবেক দুই এমপিসহ আ.লীগ-জাপার ৩৯ নেতা-কর্মীর নামে মামলা

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুর-১ আসনের সাবেক দুই সংসদ সদস্য মশিউর রহমান রাঙ্গা ও আসাদুজ্জামান বাবলু

রংপুর-১ আসনের সাবেক দুই সংসদ সদস্য মশিউর রহমান রাঙ্গা ও আসাদুজ্জামান বাবলু

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বাধা ও গঙ্গাচড়া বিএনপির পার্টি অফিস ভাঙচুর, লুটপাট, ছিনতাই এবং সাধারণ মানুষকে হয়রানিমূলক মামলা দেয়ার অভিযোগে রংপুর-১ আসনের সাবেক দুই সংসদ সদস্য মশিউর রহমান রাঙ্গা ও আসাদুজ্জামান বাবলুসহ আওয়ামী লীগ এবং জাতীয় পার্টির ৩৯ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে ২৫০ থেকে ২৬০ জনকে অজ্ঞাতনামা দেখিয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) গঙ্গাচড়া মডেল থানায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল বাবু বাদী হয়ে এই মামলা করেন। তিনি উপজেলার কোলকোন্দ আলে কিশামত মাঝাপাড়া এলাকার বাসিন্দা। গঙ্গাচড়া মডেল থানার উপপরিদর্শক ডেভিড হিমাদ্রী বর্মা মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বিজ্ঞাপন

এই মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন, সাবেক এমপি মশিউর রহমান রাঙ্গার ছেলে জিতু, উপজেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মমিনুল ইসলাম মমিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমিন, গজঘন্টা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী, সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুল মতিন অভি, মর্ণেয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান,গঙ্গাচড়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাজহারুল ইসলাম লেবু, যুবলীগ নেতা আতাউর রহমান, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহাজালাল প্রমুখ।

এই মামলার এজাজারে উল্লেখ করা হয়, বিগত সরকারের ১৫ বছর সময়ে এলাকার আইন শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডসহ রাজনৈতিক শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনে বাধা দান, বাকস্বাধীনতা খর্ব, দলীয় কার্যালয়ে হামলা, নেতা-কর্মীদের মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানিসহ প্রকাশ্যে জীবন নাশের হুমকি এবং নানাভাবে দমন-পীড়নমূলক অন্যায় অত্যাচার করেছে। আসামিরা ১৪ দলীয় মহাজোটের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মী ও সমর্থক। এ অবস্থায় গত ১৯ জুলাই ডাকবাংলো সংলগ্ন বিএনপি পার্টি অফিস ভাঙচুর করে এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে সাড়া দিয়ে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ প্রদর্শনের সময় আসামিরাসহ প্রায় ২৫০ থেকে ২৬০ হামলা চালায় এবং লুটপাট ছিনতাই করে।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে মামলার বাদী আব্দুল্লাহ আল বাবু জানান, আমি নিজেও চিন্তিত মামলাটি নিয়ে। নিরপরাধ মানুষ বিনা কারণে মামলায় পরে হয়রানির শিকার হোক এটা আমি চাই না। আমি একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি সেটা সময় হলে সবাই বুঝতে পারবে।