মানুষ অধীর আগ্রহে বসে আছে, দ্রুত নির্বাচন দিন: ডা. জাহিদ

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪. কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন

অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, সাধারণ মানুষ অধীর আগ্রহে বসে আছে কখন তারা নিজের অধিকার প্রয়োগ করবে। সেজন্য বিএনপি বলছে, যত দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্ভব নির্বাচন দিতে হবে। নির্বাচন যত দ্রুত দেওয়া হবে তত দ্রুত বিশৃঙ্খলা দূর হবে। দেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। আজকের বাস্তবতায় সেটি (নির্বাচন) হচ্ছে সবচেয়ে বড় প্রয়োজনীয়তা। 

রোববার (২৪ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে নার্সেস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ন্যাব) উদ্যোগে আয়োজিত ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেছেন।

বিজ্ঞাপন

অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, জনগণের প্রকৃত মালিকানা ফেরত দিতে হবে। গণতন্ত্রকে তার সঠিক জায়গায় রাখতে হবে। অর্থাৎ, মানুষ চিন্তা করবে তার ভোট কাকে দিবে। দেশ শাসন কে করবে সেটা জনগণ সিদ্ধান্ত নিবে। সংস্কার অবশ্যই হবে। সংস্কার করতে হলে জনআকাঙ্খা বাস্তবায়ন করতে হবে। জনআকাঙ্খার প্রতিফলন হচ্ছে সংবিধান। সবকিছু আপনি আমি করে ফেললে হবে না। মানুষ কি চায় এবং তাদের মতামতের সুযোগ হচ্ছে ভোট।

অনেকে বলে বিএনপি তাড়াতাড়ি ভোট চায়। বিএনপি তো সবসময় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার সাথে ছিল এবং আছে। বিএনপি তো কখনোই স্বৈরাচারের দোসর নয়। বিএনপি সাধারণ মানুষের মনের কথা বুঝে। 

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে বাংলাদেশে যে পরিস্থিতি বিরাজমান, দেশের ভেতর এবং বাইর থেকে অনেক ষড়যন্ত্র চলছে। এই ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে দেশের মানুষকে সজাগ থাকতে হবে। দেশ থেকে পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনতে হবে। যারা আমাদের ভাইদেরকে গুম, খুন করেছে এদেশের প্রচলিত আইনে প্রত্যেকের বিচার করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ২০১৭ তে কর্মসূচি দিয়েছিলেন ভিশন ২০৩০। এরপরে আমাদের নেতা তারেক রহমান ২০২২ এর ডিসেম্বরে রাষ্ট্র মেরামতের ২৭ দফা কর্মসূচি দিয়েছেন। আর ২৩ এর জুলাই মাসে সকল গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দলকে নিয়ে ২৭ দফাকে ৩১ দফা করে সংস্কার কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন। বিএনপি শুধু নিজের কথা বলে তা নয়। বিএনপি রাষ্ট্রের কথা বলে, আগামীদিনের কথা বলে।

বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, এই দেশে আজকে যে নারী শিক্ষা, তার আলোকবর্তিকা যদি বেগম রোকেয়ার পরে কারো কথা বলতে হয়, সেটি হচ্ছে বেগম খালেদা জিয়া। এর কারণ হলো, নারী শিক্ষার জন্য প্রথম বই দিয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া। বিনা পয়সায় স্কুল করে দিয়ে পড়ার সুযোগ সৃষ্টি করা। নারী বিষয়ক মন্ত্রণালয়ও খালেদা জিয়া করেছেন। অর্থাৎ এদেশের যত মঙ্গল এবং যত ভালো কিছু আছে তার পেছনে জড়িয়ে রয়েছেন, শহীদ জিয়া; খালেদা জিয়া ও বিএনপি।

শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, পদত্যাগের তিন দিন আগেও উনি বলেছিলেন শেখের বেটি পালায় না। কিন্তু, তিন দিনের আগেই তিনি পালিয়ে গেছেন। নিজের দল, নিজের নেতাকর্মী কারও তার বিন্দুমাত্র ভালোবাসা নেই। অপর দিকে বেগম খালেদা জিয়া এই বাংলাদেশে আছেন। ওনাকে (খালেদা জিয়া) ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় ছয় বছর জেলে রাখা হয়েছে। উনি অনেক কম্প্রোমাইজ করেছেন। কিন্তু, তিনি তো দেশ ছেড়ে যাননি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে আপনারা (শেখ হাসিনা) পঙ্গু বানিয়ে দিয়েছেন। শতশত নেতাকর্মীকে গুম করেছেন। হাজার হাজার নেতাকর্মী ১৬ বছরেও শহীদ হয়েছে আবার জুলাই আগস্টেও শহীদ হয়েছে। ১ লাখ ৬০ হাজার মামলায় ৭০ লাখ গণতন্ত্রকামী মানুষকে আপনারা (শেখ হাসিনা) দমিয়ে রাখতে পারেননি। আমাদের নেতা তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশের সকল গণতন্ত্রকামী মানুষ ঐক্যবদ্ধ।

নার্সেস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ন্যাব) সভাপতি জাহানারা খাতুনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলামসহ আরও অনেক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।