রাজশাহীতে ইটভাটায় পুড়ছে আমচাষীদের স্বপ্ন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেট, রাজশাহী, বার্তা২৪.কম
রাজশাহীতে ইটভাটায় পুড়ছে আমচাষীদের স্বপ্ন, ছবি: বার্তা২৪

রাজশাহীতে ইটভাটায় পুড়ছে আমচাষীদের স্বপ্ন, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ইটভাটার ধোঁয়ায় কপাল ‍পুড়তে বসেছে রাজশাহীর আমচাষীদের। প্রতিবছরই জেলাজুড়ে ভাটারসংখ্যা বাড়ায়, বাড়ছে ক্ষতিও। চাষীরা বলছেন, ইটভাটা নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে ধীরে ধীরে বড় বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে আম চাষ। তবে ইটভাটা মালিকদের দাবি- ইটভাটার কারণে কোনো ক্ষতি নেই আম বাগানের। যদিও অবৈধ ভাটা অপসারণে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।

জানা যায়, রাজশাহী অঞ্চলের আম কেবল দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। ছড়িয়ে পড়েছে ইউরোপের নানাদেশেও। তাই রফতানিমুখী আমের বাজার ধরতে মুকুল হওয়া থেকেই বেশ সচেতন কৃষকরা। কিন্তু চাষীদের সেই আশায় বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে অপরিকল্পিতভাবে যত্রতত্র গড়ে ওঠা ইটভাটা।

জেলার বিভিন্ন উপজেলা ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ ইটভাটাই গড়ে উঠেছে ফসলি জমি ও লোকালয়ে। ভাটার আশপাশে রয়েছে ফলদ বাগান, জনবসতি, এমনকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন অনুযায়ী, সরকারি নিবন্ধন ছাড়া ইটভাটা স্থাপন, ইট তৈরি করা কিংবা ইট পোড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/14/1550135578177.jpg

এছাড়া নিবন্ধনের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রও আবশ্যক। এজন্য জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদনের পর এডিসির নেতৃত্বে সরেজমিন তদন্ত হয়। তদন্তে পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানও থাকেন। তাদের তদন্ত প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই জেলা প্রশাসক কর্তৃক নিবন্ধন দেয়া হয়।

কিন্তু রাজশাহী জেলা ইটভাটা মালিক সমিতির হিসাব মতে, জেলায় ১৫০টির মতো ইটভাটা থাকলেও পরিবেশ ছাড়পত্র রয়েছে মাত্র কয়েকটির। আর নিবন্ধন রয়েছে প্রায় ৫০টি ইটভাটার। দেখা যায়, নগরীর বাইপাস মহাসড়ক ঘেঁষে আবাদি জমির ওপর গড়ে উঠেছে ১০-১৫টি ইটভাটা।

এছাড়া পুঠিয়া, বাগমারা, তানোর, গোদাগাড়ী, দুর্গাপুর, চারঘাট, বাঘা, পবা, মোহনপুর উপজেলা ও বিভিন্ন পৌরসভা সদরে গড়ে উঠেছে অসংখ্য ইটভাটা। কৃষকদের নানা প্রলোভন দেখিয়ে কৃষিজমি লিজ নিয়ে এসব ইটভাটা স্থাপন করা হচ্ছে। আইন অনুযায়ী কয়লা দিয়ে ইট পোড়ানোর কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। কয়লার পরিবর্তে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে কাঠ, খড়ি ও বাঁশ।

রাজশাহীর পবা উপজেলার বুধপাড়া এলাকার দুরুল হোদা জানান, তার পাঁচ বিঘা জমিতে আম রয়েছে। কিন্তু পাশেই ইটভাটা থাকার কারণে ধোঁয়া এসে আঘাত হানছে বাগানে। এ কারণে আমের মুকুল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

আরেক আমচাষী আব্দুস শুকুর বলেন, কয়েক বছর থেকে এই সংকট ভয়াবহ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আম মটরদাঁনা হওয়ার সময় থেকেই ঝরে যাচ্ছে। আর একটু বড় হলে নিচ থেকে কালো দাগ হয়ে শুকিয়ে যায়। এ অবস্থার কারণে ক্ষতি হওয়ায় আমের পাইকাররাও আসছেন না। আর স্প্রে করতে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে।

রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আলিম উদ্দিন জানান, ইটভাটার ধোঁয়ার কারণে আমগাছের বোরন সিনথেসিস (এক প্রকার খাদ্য) নষ্ট হয়ে যায়। এ কারণে ফলনেও বিপর্যয় ঘটবে। তাই আমের মওসুমে ভাটাগুলো বন্ধ রাখার দাবি জানিয়েছেন তিনি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/14/1550135595779.jpg

তবে রাজশাহী ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতি সভাপতি মো. সদরুল ইসলাম বলছেন ভিন্ন কথা। তার দাবি, ‘কেবল ধোঁয়াই নয়, নানা কারণেই ক্ষতি হতে পারে আমের মুকুলের। অনেক জায়গাতেই ভাটার পাশেও আমের ফলন ভাল হচ্ছে। কোনো কোনো জায়গা হচ্ছে না। কাজেই একতরফাভাবে ভাটাকে দায়ী করা যাবে না’।

এ বিষয়ে রাজশাহী পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মামুনুর রশীদ জানান, এরই মধ্যে তারা রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নাটোরের অবৈধ ইটভাটাগুলোতে নোটিস পাঠিয়েছেন। এগুলোর পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র, এমনকি নিবন্ধনও নেই। শিগগিরই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, মৌসুমি ফল আমকে কৃষকদের জন্য লাভজনক করতে সব ধরনের উদ্যোগ নিশ্চিত করা হবে। তাই অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে।

রাজশাহীর জেলা প্রশাসক এসএম আব্দুল কাদের বলেন, রাজশাহীর আম এখন বিদেশেও সমাদৃত। তাই কৃষকরা যাতে নির্বিঘ্নে আম উৎপাদন করতে পারেন ও ন্যায্য দাম পান তা নিশ্চিত করা হবে। এরইমধ্যে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান শুরু হয়েছে। অভিযান অব্যাহত রাখা হবে বলেওন জানান তিনি।

   

তালতলীতে তিন ফসলি জমি অধিগ্রহণের প্রতিবাদে মানববন্ধন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরগুনা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বরগুনার তালতলী উপজেলায় বিদ্যুৎ প্রকল্প জন্য তিন ফসলি কৃষিজমি ও বসতভিটা অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে এমন অভিযোগ এনে তা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

শুক্রবার (১৭ মে) বেলা ১১ টার দিকে উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের আগাঠাকুর পাড়া গ্রামে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

এ মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আমরা আমাদের তিন ফসলি কৃষি জমি হারাতে চাই না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কাছে দাবি, দেশের উন্নয়ন করতে গিয়ে ১ ইঞ্চিও কৃষি জমি যাতে নষ্ট করা না হয়। আমাদের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা, বিভিন্ন ধর্মীয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং কবরসহ শত বছরে পুরোনো বসতভিটা আমরা কোন মূল্যেই হারাতে চাই না। কোন ধরনের যাচাই-বাছাই ছাড়াই ছাড় এসব জমি অধিগ্রহণ করা হলে সাধারণ মানুষসহ কৃষক পরিবারগুলো অপূরণীয় ক্ষতির মুখে পড়বে।

মানববন্ধনে আসা কৃষক নেতা শাহজাহান টুকু বলেন, এই এলাকার শতভাগ মানুষ চাষাবাদ ও কৃষিকাজের ওপর নির্ভরশীল। এখানের কৃষকরা বছরে তিনবার ফসল উৎপাদন করে এ দিয়েই তাদের জীবিকা নির্বাহ করতে হয়। এই জমি অধিগ্রহণপ্রক্রিয়া বন্ধ না করা হলে যেকোনো ধরনের প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

কুদ্দুস মৃধা নামের একজন কৃষক বলেন, সরকারের এক শ্রেণির কর্মকর্তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিল করে এসব জমি অধিগ্রহণ করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। কৃষি জমিতে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে আগাঠাকুর পাড়া ও শিকারীপাড়া গ্রামের কৃষি জমি বলে কিছুই থাকবে না। এই জমি দিয়ে দিলে আমরা খাব কি?

এ সময় বক্তব্য রাখেন, তালতলী উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান মিয়া মোস্তাফিজুর রহমান, বড়বগী ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর মিয়া আলম মুন্সী, কৃষক নেতা শাহজাহান টুকু প্রমুখ।

ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচিতে কৃষক, নারী, ব্যবসায়ীসহ সহস্রাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

;

১০ হাজারের বেশি বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাবে যুক্তরাজ্য



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
১০ হাজারের বেশি বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাবে যুক্তরাজ্য

১০ হাজারের বেশি বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাবে যুক্তরাজ্য

  • Font increase
  • Font Decrease

অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের ফেরত পাঠাতে সম্প্রতি বাংলাদেশের সঙ্গে ফাস্ট ট্র্যাক রিটার্ন চুক্তি করেছে যুক্তরাজ্য। এই চুক্তির আওতায় অ্যাসাইলাম আবেদন প্রত্যাখান হওয়া বাংলাদেশি নাগরিকদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে।

অ্যাসাইলাম আবেদন প্রত্যাখান হওয়া বাংলাদেশি নাগরিকদের সংখ্যা হতে পারে ১০ হাজারেরও বেশি। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ।

মূলত ভিসা নিয়ে যুক্তরাজ্যে প্রবেশের পর দেশটির ভিসা ব্যবস্থার অপব্যবহারকারীদের মধ্যে বাংলাদেশিরা শীর্ষস্থানীয় পর্যায়ে রয়েছে।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, গত বছর প্রায় ১১ হাজার বাংলাদেশি ভিসা নিয়ে ব্রিটেনে প্রবেশ করেছেন শুধুমাত্র স্থায়ীভাবে দেশটিতে থাকার প্রয়াসে। আর দেশটিতে প্রবেশের পর আশ্রয়ের আবেদন জমা দিয়েছেন তারা।

দ্য টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিবাসীরা গত বছরের মার্চ থেকে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী, কর্মী বা ভিজিটর ভিসায় ব্রিটেনে এসে রাজনৈতিক আশ্রয় দাবি করেছেন। মূলত ব্রিটেনে প্রবেশের ‘পেছনের দরজা’ হিসেবে কাজে লাগানোর প্রয়াসে এসব ভিসা ব্যবহার করেছেন তারা।

তবে দেশটিতে বাংলাদেশিদের প্রাথমিক আশ্রয় আবেদনের মাত্র ৫ শতাংশই সফল হয়েছে। অর্থাৎ ১০ হাজারের বেশি বাংলাদেশিকে যুক্তরাজ্য থেকে ফেরত পাঠানো হবে।

এমতাবস্থায় যুক্তরাজ্যের অবৈধ অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রী মাইকেল টমলিনসন বাংলাদেশের সাথে একটি ফাস্ট-ট্র্যাক রিটার্ন চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন।

এই চুক্তির অধীনে কেবল ব্যর্থ আশ্রয়প্রার্থীরাই নয়, বিদেশি নাগরিকদের যারা অপরাধী এবং যেসব ব্যক্তি ভিসা নিয়ে ব্রিটেনে প্রবেশের পর বাড়তি সময় অতিবাহিত করেছেন তাদেরও নির্বাসনের কাজ সহজতর হবে।

এপ্রিলে প্রকাশ্যে আসা অফিসিয়াল ডকুমেন্টস অনুযায়ী, ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত রেকর্ড ২১ হাজার ৫২৫ জন ভিসাধারী যুক্তরাজ্যে আশ্রয়ের আবেদন করেছেন। যা আগের বছরের তুলনায় ১৫৪ শতাংশ বেশি।

;

বাংলাদেশের গণতন্ত্র শেখ হাসিনার হাতেই সুরক্ষিত: খাদ্যমন্ত্রী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শেখ হাসিনা গণতন্ত্রকামী মানুষের নেতা। বাংলাদেশের গণতন্ত্র শেখ হাসিনার হাতেই সুরক্ষিত বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

শুক্রবার (১৭ মে) সকালে নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকেদের প্রশ্নের জবাবে এই মন্তব্য করেন তিনি।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন না হলে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হতো না। প্রতিষ্ঠা হতো পাকিস্তান মডেলের গণতন্ত্র। বঙ্গবন্ধু কন্যা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছেন এবং তার নেতৃত্বে বাঙালি জাতি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে এগিয়ে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। বিএনপি ও জাতীয় পার্টি গণতান্ত্রিক রাজনীতির দল নয়। দলগুলোর জন্ম হয়েছে সেনা শাসকদের হাতে। ওই দলগুলোতে গণতান্ত্রিক চর্চাও নেই। এসময় গণতন্ত্র মানেই শেখ হাসিনা বলে উল্লেখ করেন তিনি। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনরুদ্ধার এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার অভিযাত্রায় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে বলেও উল্লেখ করেন খাদ্যমন্ত্রী।

এর আগে দলীয় কার্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ও জাতীয় চার নেতার প্রকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তিনি। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় মোনাজাত করা হয়।

এসময় নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এম এ খালেক, আব্দুল রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিভাস মজুমদার গোপালসহ আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

;

র‍্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করছে না যুক্তরাষ্ট্র



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রিন্সিপাল ডেপুটি মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল

যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রিন্সিপাল ডেপুটি মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল

  • Font increase
  • Font Decrease

মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) ও বাহিনীর সাত জ্যৈষ্ঠ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে  যুক্তরাষ্ট্র যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল তা প্রত্যাহার করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রিন্সিপাল ডেপুটি মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল।

ওয়া‌শিংট‌নের স্থানীয় সময় বৃহস্প‌তিবার স্টেট ডিপার্ট‌মে‌ন্টের নিয়‌মিত সংবাদ স‌ম্মেল‌নে এ কথা জানান তিনি।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র র‍্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করছে না। এই দাবিগুলো মিথ্যা। নিষেধাজ্ঞার উদ্দেশ্য হলো আচরণের পরিবর্তন এবং জবাবদিহিতার প্রচার।

এর আগে গত মঙ্গলবার (১৪ মে) রাতে ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিষয়টি মার্কিন বিচার বিভাগের সঙ্গে সম্পৃক্ত, যা হোয়াইট হাউস এবং স্টেট ডিপার্টমেন্ট থেকে স্বাধীন ও পৃথক। তারা স্বাধীনভাবে কাজ করে।’

সালমান এফ রহমান বলেন, হোয়াইট হাউস ও স্টেট ডিপার্টমেন্ট র‍্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পক্ষে, তবে তা বিচার বিভাগের ওপর নির্ভর করছে।

গত সপ্তাহে ৩ দিনের ঢাকা সফরে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অব স্টেট ডোনাল্ড লু'র সঙ্গে নৈশভোজের পর সালমান বলেন, ‘বিষয়টি একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে।’

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ডোনাল্ড লু দায়িত্ব পালনের সময় ‘মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা’ দেখানোর ক্ষেত্রে র‍্যাবের ‘অসাধারণ অগ্রগতির’ প্রশংসা করেছিলেন।

সে সময় তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘র‍্যাবের বিষয়ে আমাদের মধ্যে বেশ আলোচনা হয়েছে। আপনারা যদি এ সপ্তাহে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের বিবৃতি দেখে থাকেন, তারা স্বীকৃতি দিয়েছে এবং আমরা র‍্যাবের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হ্রাসের ক্ষেত্রে অসাধারণ অগ্রগতির স্বীকৃতি দিয়েছি।’

লু আরও বলেন, ‘যা দারুণ কাজ। এতে বুঝা যায়, মানবাধিকারের প্রতি সম্মান দেখিয়ে র‍্যাব সন্ত্রাসবিরোধী এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম।’

;