বিইআরসির সদস্য হলেন যারা

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে (বিইআরসি) সদস্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সৈয়দা সুলতানা রাজিয়া, মো. মিজানুর রহমান মো. আব্দুর রাজ্জাক ও মো. গিয়াস উদ্দিন জোয়াদ্দার।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর ) তাদের নিয়োগ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। তাদের কার্যকাল ৩ বছর বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রজ্ঞাপনে।

বিজ্ঞাপন

বিইআরসির সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনের মুখে পদত্যাগে বাধ্য হন নুরুল আমিন কমিশন। এরপর ২৫ আগস্ট চেয়ারম্যান হিসেবে জালাল আহমেদ নিয়োগ পেলেও সদস্যপদ শূন্য ছিল।

কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের পদত্যাগসহ ৪ দফা দাবিতে ১৪ আগস্ট থেকে আন্দোলন শুরু করে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। আন্দোলনের মুখে ২০ আগস্ট পদত্যাগ করেন চেয়ারম্যান মো. নুরুল আমিন। অন্য সদস্যরা পদত্যাগ না করায় ২০ আগস্ট থেকে কমিশনের মূল ফটক অবরোধ কর্মসূচি পালন করে আন্দোলনকারিরা। কয়েকদিন অফিসে অনুপস্থিত থেকে ২৮ আগস্ট পদত্যাগ করেন সদস্য ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, ড. মো. হেলাল উদ্দিন ও আবুল খায়ের মো. আমিনুর রহমান।

বিজ্ঞাপন

২০২৩ সালের মার্চে ৩ বছরের জন্য নরুল আমিন কমিশন গঠন করা হয়। এরপর সদস্য বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পেট্রোলিয়াম নিয়োগের জন্য ৮ সেপ্টেম্বর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ২৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আবেদন করতে বলা হয়। অতীতে আমলারা নিয়োগ প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করলেও এব বিশেষজ্ঞ প্যানেল গঠন করে দেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান।

২০০৩ সালে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন পাশের মাধ্যমে নিরপেক্ষ ও আধাবিচারিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গঠিত হয়। গ্যাস ও বিদ্যুতের কোম্পানিগুলোর জবাবদিহিতা এবং ভোক্তার অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গঠিত বিইআরসি মূলত ২০০৯ সালে যাত্রা শুরু করে। এ পর্যন্ত ১৩টি প্রবিধানমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। তার ১২টি প্রবিধানমালাই এক যুগেরও বেশি সময় ধরে অনুমোদনের অপেক্ষায় ঝুলে রয়েছে।

আইনে সকল ধরনের জ্বালানির দাম নির্ধারণের এখতিয়ার থাকলেও প্রবিধানমালা ঝুলে থাকায় শুধুমাত্র গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম নির্ধারণ করে আসছিল বিইআরসি। ৩৪(৩) ধারায় বলা হয়েছে বিইআরসি প্রবিধানমালা প্রণয়ন করবে। তবে শর্ত থাকে যে, প্রবিধানমালা প্রণয়ন না করা পরর্যন্ত সরকার প্রজ্ঞাপন দ্বারা নির্ধারণ করতে পারবে। পেট্রোলিয়ামের বিধিমালা অনুমোদন না হওয়ায় ধুয়া তুলে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জ্বালানি তেলের দাম নির্ধারিত হয়ে আসছে। ২০২৩ সালে হঠাৎ করেই আইন সংশোধন করে নির্বাহী আদেশে দাম সমন্বয় (কম/বেশি) করার বিধান যুক্ত করা হয়। তারপর থেকে নির্বাহী আদেশে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম নির্ধারণ করায় কার্যত বেকার হয়ে পড়ে আধাবিচারিক প্রতিষ্ঠানটি।

অন্তবর্তীকালীন সরকার নির্বাহী আদেশে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম নির্ধারণ না করার ঘোষণা দিলে আশাবাদী হয়ে ওঠেন খাত সংশ্লিষ্টরা। অনেকেই ভেবেছিলেন এবার প্রবিধানমালাগুলো অনুমোদন হবে। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ থেকে উদ্যোগও নেওয়া হয়। তবে ৩ মাস অতিবাহিত হলেও খুব একটা অগ্রগতি দৃশ্যমান হয়নি।