রাজধানীর সবুজবাগে চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই

  • স্টাফ করেসপন্ডেট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

রাজধানীর সবুজবাগ থানার গ্রিন মডেল টাউন এলাকায় গলায় রশি পেঁচিয়ে বিধান মণ্ডল (১৯) নামে এক অটোরিকশা চালককে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এসময় অটোরিকশাটি নিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা।

রোববার (২ ডিসেম্বর) রাত সোয়া ১২টার দিকে সবুজবাগ থানা পুলিশ বেগুনবাড়ি বাঁশবনের পাশে একটি ফাঁকা জায়গা থেকে রিকশা চালকের মরদেহটি উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায় পুলিশ।

বিজ্ঞাপন

পরিবার সূত্রে জানা যায়, নিহত বিধান মণ্ডলে ডেমরার কয়েতপাড়া এলাকার মহাদেব মণ্ডলের ছেলে।

নিহত বিধান মণ্ডলের খালাতো ভাই সুজন মন্ডল বলেন, পরিবারের সঙ্গে ডেমরা কায়েতপাড়া ৭০ নম্বর ওয়ার্ডে থাকতেন বিধান মন্ডল। তিন ভাইয়ের মধ্যে সে ছিল সবার ছোট। বিধানের বাবা মহাদেব মন্ডল ফার্নিচারের ব্যবসা করেন। দুই মাস আগেই বিধানকে তার বাবা অটোরিকশাটি কিনে দিয়েছিলেন। রোববার সন্ধ্যায় খাওয়া-দাওয়া করে সে অটোরিকশা নিয়ে বের হয়েছিল। এরপর রাতে বিধান বাসায় না ফেরার পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। কোথাও না পেয়ে রাতে সবুজবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে গেলে একটি মরদেহ উদ্ধারের খবর শুনতে পান। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিধানের মরদেহ শনাক্ত করেন। অটোরিকশা ছিনতাইয়ের জন্যই বিধানকে হত্যা করা হয়েছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

সবুজবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. এনামুল হক মিঠু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে রাত সোয়া ১২টার দিকে সবুজবাগ বেগুনবাড়ি কাশবনের একটি খালি প্লট থেকে বিধানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এসময় তার গলায় রশি পেঁচানো ছিল। এছাড়া মাথার পেছনে থেতলানো আঘাত, থুতনির বাম পাশে আঁচড়ের দাগ দেখা যায়।

এসআই মিঠু আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, রিকশা চালককে শ্বাসরোধে হত্যার পর তার অটোরিকশাটি ছিনতাই করে নিয়ে গেছে। আর মরদেহটি বেগুনবাড়ি ফাঁকা জায়গায় ফেলে রাখা হয়েছে। এই ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছেন। ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত এবং ঘাতকদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সবুজবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইয়াসিন আলী বলেন, এই ঘটনায় কে বা কারা জড়িত সে বিষয়টি এখনো জানা যায়নি। তবে ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে। পুলিশ এই ঘটনা তদন্ত করছে।