শীতে পিঠা প্রেমীদের ভিড়

নরসিংদীর অজপাড়াগাঁয়ে জমে উঠেছে পিঠা বিক্রি

  • ছাইদুর রহমান নাঈম ও শরিফ ইকবাল রাসেল, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

নরসিংদীতে শীতের রাতে পিঠা প্রেমীদের ভিড়, ছবি: বার্তা২৪.কম

নরসিংদীতে শীতের রাতে পিঠা প্রেমীদের ভিড়, ছবি: বার্তা২৪.কম

নরসিংদীর বেলাবো উপজেলার পাটুলি ইউনিয়নে পুরাদিয়া-সিএন্ডবি সড়কের পাশের দোকানগুলোতে জমে উঠেছে পিঠা বিক্রি। এসব পিঠার দোকানে ভিড় করছেন পিঠা প্রেমী নানান বয়সী মানুষ। দোকানিরাও পার করছেন ব্যস্ত সময়। প্রতিবছরই শীতকালে এই স্থানে পিঠার বাজার জমজমাট হয়ে ওঠে৷ ছবি তোলার জন্য তৈরি করা হয়েছে আলোকসজ্জা দিয়ে ঘর৷

অজপাড়াগাঁয়ের রাস্তার দুই ধারে বাহারি আলোকসজ্জা। শীত এলেই গরম পিঠা আর পিঠার সুগন্ধে মন আনচান করে ওঠে পিঠা প্রেমীদের। এসব পিঠার দোকানে পিঠা প্রেমীদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষণীয়। অনেকেই পিঠার স্বাদ নিতে দূর দূরান্ত থেকে পরিবার পরিজনদের নিয়ে আসছে।

বিজ্ঞাপন

চাহিদার শীর্ষে রয়েছে- ভাপা পিঠা ও চাউলের গুঁড়োর তৈরি চিতই পিঠা। খেজুরের গুড় ও বিভিন্ন উপাদান দিয়ে তৈরি হচ্ছে ভাপা পিঠা। চাউলের গুঁড়োর তৈরি চিতই পিঠার সঙ্গে রকমারি ভর্তার মরিচের ঝাঁজ শীতের মধ্যে তৃপ্তি এনে দিচ্ছে ভোজনরসিক মানুষের কাছে।


বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চুলার আগুন জ্বলজ্বল করছে৷ গরম গরম পিঠা খেতে চারদিকে ঘিরে আছে মানুষ। আধুনিকতার ভিড়ে এখনো টিকে আছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যের পিঠা।

বিজ্ঞাপন

নতুন চালের গুঁড়ো ও নতুন খেজুরের গুড় দিয়ে যত্ন সহকারে তৈরি করা হচ্ছে ভাঁপা পিঠা। এসব পিঠাকে আরও সুস্বাদু করার জন্য নারকেল ও খেজুরের গুড়সহ একাধিক উপাদান ব্যবহার করা হচ্ছে। এখানে ভাঁপা পিঠা ছাড়াও ক্রেতাদের জন্য চিতই পিঠা তৈরি করা হয়। ৩০ টাকা থেকে ১ শত টাকা পর্যন্ত ভাপা পিঠা পাওয়া যায়৷ চিতই পিঠা ১০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে৷

কুলিয়ারচর উপজেলা থেকে আসা আব্দুল আজিজ বলেন, ‘শীতের সময় বন্ধুদের সঙ্গে পিঠা খাওয়ার জন্য এখানে আসি৷ এখানে বড় দুটি দোকানে অনেক পিঠা বিক্রি হয়।’

নরসিংদীর শিবপুর থেকে আসা ইউসুফ আবু নাসের বার্তা২৪.কমকে বলেন, পরিবারের সবাইকে নিয়ে আসলাম এখানে৷ এসে দেখলাম এখানে জমজমাট পিঠার বাজার৷ পরিবারের সবাই খুশি হয়েছে।


পিঠা বিক্রেতা আলমগীর বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘শুরুতে বিক্রি কম হতো। এখন রোজ ৩০-৪০ হাজার টাকা বিক্রি হচ্ছে। দোকানে ৮ জন কর্মচারী রয়েছে। দেশীয় পিঠা তৈরি করায় মানুষের কাছে এর চাহিদা বাড়ছে।’

আরেক দোকানদার দুলু বলেন, ‘পিঠার মান ভালো রাখি তাই মানুষ আসে৷ এছাড়াও দোকানের পরিবেশ আলোকসজ্জা দিয়ে সাজিয়েছি। মানুষ খেয়ে তৃপ্তি পাচ্ছে৷ আমিও রোজ ২০-৩০ হাজার টাকা বিক্রি করছি৷’