‘ফ্যাসিবাদ তৈরির পেছনে কিছু সাংবাদিক নেতা কাজ করেছেন’
দেশে ভয়াবহ ফ্যাসিবাদ তৈরির পেছনে কিছু সাংবাদিক নেতা কাজ করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, ‘বিগত সাড়ে ১৫ বছর বাংলাদেশের গণমাধ্যম অত্যন্ত নিয়ন্ত্রিত ছিল। দেশে যে ভয়াবহ ফ্যাসিবাদ তৈরি হলো, এর পেছনেও কাজ করেছেন কিছু সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।’
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব পরিদর্শনে এসে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মেয়র এসব কথা বলেন। প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় মেয়র বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী শক্তি সবসময় নিজের আসন ও ক্ষমতা পোক্ত রাখতে পদলেহী সাংবাদিক তৈরি করে। শেখ হাসিনাও এর ব্যতিক্রম ছিল না। আমরা গণতন্ত্রপরায়ণ ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে বাংলাদেশ পেয়েছি, এ বাংলাদেশ থেকে শক্ত হাতে গণমাধ্যমকে ফ্যাসিবাদ মুক্ত করতে হবে।’
মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, অতীতে নির্বাচনের আগে বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে বলা হতো ওরা জঙ্গি ও সন্ত্রাসী। তাদের নির্বাচন করতে দেওয়া যাবে না। এসব গণমাধ্যমে প্রচার করা হতো। পরিকল্পিতভাবে পাতানো, সাজানো নির্বাচনকে বৈধতা দেওয়ার সব চেষ্টা করানো হয় গণমাধ্যম দিয়ে। ভবিষ্যতে আমার দেশ, দিগন্ত টেলিভিশন, চ্যানেল ওয়ান ও ইসলামিক টিভির মতো কোনো গণমাধ্যম যাতে বন্ধ না হয় সে ব্যাপারে আমাদের আরো সোচ্চার হতে হবে।
মেয়রকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের অন্তর্বর্তী কমিটির সদস্যসচিব দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার আবাসিক সম্পাদক জাহিদুল করিম কচি। এ সময় অন্তর্বর্তী কমিটির সদস্য কালের কণ্ঠের ব্যুরো প্রধান মুস্তফা নঈম, কমিটির সদস্য গ্লোবাল টেলিভিশনের ব্যুরো প্রধান গোলাম মাওলা মুরাদ, প্রেস ক্লাবের সাবেক গ্রন্থাগার সম্পাদক ইসলামিক টিভির ব্যুরো প্রধান মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমান, ৭১ টিভির বিভাগীয় প্রধান সাইফুল ইসলাম শিল্পী, বাসসের বিশেষ সংবাদদাতা মিয়া মোহাম্মদ আরিফ, দৈনিক দিনকালের ব্যুরো প্রধান হাসান মুকুল, সিনিয়র সাংবাদিক ওয়াহিদ জামান, মানবকণ্ঠের ব্যুরো প্রধান মো. আলী, বিজনেস বাংলাদেশের ব্যুরো প্রধান জাহাঙ্গীর আলম, সাংবাদিক আবু সুফিয়ান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।