হাতীবান্ধায় পিকআপ থেকে সার লুট, দুই ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ
লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধায় পিকআপ থামিয়ে ৫৩ বস্তা সার লুটের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ বলছে সার লুটের সাথে ছাত্রদলের শরিফুল ইসলাম সবুজ ও রাশেদুল ইসলাম সবুজ নামে দুই নেতা জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিকালে ওই উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের দোয়ানী মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পার্শ্ববতী পাটগ্রাম উপজেলার থানা পাড়া এলাকার আশরাফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি কালীগঞ্জ উপজেলার চাপারহাট এলাকার শাহজাহান নামে এক সার ব্যবসায়ীর কাছে অবৈধ ভাবে ৮০ বস্তা বিভিন্ন সার বিক্রি করেন। সেই সার গুলো নিয়ে একটি পিকআপ যোগে পাটগ্রাম থেকে কালীগঞ্জ যাওয়ার পথে হাতীবান্ধার বড়খাতা দোয়ানী মোড় এলাকায় আটক করেন কয়েকজন যুবক।
হাতীবান্ধা উপজেলার পশ্চিম সারডুবী গ্রামের আলিবর আলীর পুত্র ও বড়খাতা বিএনপি-র সাবেক সভাপতি আনোয়ারুল ইসলামের ভাতিজা শরিফুল ইসলাম সবুজ এবং একই উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সম্পাদক ও রমনীগঞ্জ এলাকার আবু তালেবের পুত্র রাশেদুল ইসলাম সবুজসহ কয়েকজন গাড়ী থেকে ৫৩ বস্তা সার লুট করে নিয়ে যায়।
পুলিশ খবর পেয়ে রাতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। সেই অভিযানে ফকিরপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম সবুজের বাড়ি থেকে ১১ বস্তা ও তার দেয়া তথ্যমতে আরো ৩৬ বস্তাসহ মোট ৪৭ বস্তা সার উদ্ধার করে পুলিশ।
হাতীবান্ধা উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক রুবেল ইসলাম ও সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ নোমান জানান, তারা এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। লোকমুখে শুনেছেন মাত্র। খোঁজখবর নিয়ে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি-সম্পাদকের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।
হাতীবান্ধা থানার ওসি মাহমুদুন-নবী এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, লুট হওয়ার ৫৩ বস্তা সারের মধ্যে ইতোমধ্যে ৪৭ বস্তা সার উদ্ধার করা হয়েছে। শরিফুল ইসলাম সবুজ ও রাশেদুল ইসলাম সবুজ নামে ওই ব্যক্তি এ লুটের সাথে জড়িত থাকার সত্যতা পেয়েছি। তদন্ত করে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।