বিশ্বের বিভিন্ন শহরে দিন দিন বাড়ছে বায়ুদূষণ। দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণের কবলে মেগাসিটি ঢাকাও। বেশ কিছুদিন ধরেই বিশ্বের দূষিত শহরগুলোর তালিকায় উপরের দিকেই রয়েছে রাজধানী ঢাকা।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে বিশ্বের দূষিত শহরগুলোর তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে ঢাকা। সকাল ৮টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের তথ্যানুযায়ী, শহরটির স্কোর ২৭৬, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য খুব অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত।
বিজ্ঞাপন
একই সময়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ৪৮৭ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে ভারতের দিল্লি শহর। এ ছাড়া ২৭৫ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর শহর, ২৬৭ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে বসনিয়া হার্জেগোভিনার রাজধানী সারাজেভো এবং পঞ্চম অবস্থানে থাকা ভিয়েতনামের হ্যানয় শহরের স্কোর ২৩৮।
একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়, আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।
২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এ ছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ন্যায় বিচার নিশ্চিতে আগামী ৫ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিডিআর হত্যাকাণ্ড বিষয়ে বিশেষ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তদন্ত কমিটিতে অবসরপ্রাপ্ত বিচারক, পুলিশ ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের রাখা হবে। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যের সংখ্যা বেশি হবে। তবে পুনঃতদন্তের বিষয়ে এখনো নিশ্চিত না। এ আদেশ দেয়ার এখতিয়ার আদালতের বলে জানান তিনি।
গঠিত কমিটি বিডিআর বিদ্রোহের পুরো ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করবে বলেও জানান উপদেষ্টা।
এর আগে গত রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে হাইকোর্টকে জানানো হয়, পিলখানার ঘটনায় দুটি মামলা বিচারাধীন থাকায় এ নিয়ে নতুন করে কমিটি গঠন করা হলে বিচারাধীন মামলার সঙ্গে সাংঘর্ষিক অবস্থার সৃষ্টি হবে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্ত চেয়ে আন্দোলন শুরু করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিডিআর হত্যার পুরো ঘটনার তদন্তে কমিশন গঠনের কথা সামনে আসে।
২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিআর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। এ ঘটনায় রাজধানীর লালবাগ থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। পরে এসব মামলা নিউমার্কেট থানায় স্থানান্তরিত হয়। সিআইডি দীর্ঘ তদন্ত শেষে হত্যা মামলায় ২৩ বেসামরিক ব্যক্তিসহ প্রথমে ৮২৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় ৮০৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। পরে আরও ২৬ জনকে অভিযুক্ত করে মোট ৮৩৪ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। রক্তক্ষয়ী ওই বিদ্রোহের প্রেক্ষাপটে বাহিনীটির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
কুষ্টিয়ার বিভিন্ন উপজেলায় খেজুর রস সংগ্রহ ও রস জ্বালিয়ে গুড় তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন গাছিরা। শীতের শুরু থেকেই বাড়ছে রসের চাহিদা। পাশাপাশি রস জ্বালিয়ে তৈরি করা গুড়ের চাহিদাও অনেক।
শীত মৌসুমে আবহমান গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য গ্রামাঞ্চলের ঘরে ঘরে খেজুর রস দিয়ে তৈরি হয় হরেক রকমের পিঠা ও পায়েস। পাশাপাশি খেজুরের গুড় দিয়ে তৈরি হয় নানান পিঠাপুলি। তাই বাণিজ্যিকভাবেও খেজুরের রস সংগ্রহ ও গুড় তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করতে হচ্ছে গাছিদের।
জেলার বাইরের গাছিরাও এসে কুষ্টিয়ায় রস সংগ্রহ করে গুড় তৈরি করছে। সুস্বাদু এই খেজুরের রস আগুনে জ্বালিয়ে তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন রকমের পাটালি ও লালি গুড়। ফলে এসব গাছিদের এখন দম ফেলার ফুরসত নেই। খেজুর ও রস বিক্রি করেও আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন এখানকার গাছিরা।
শীতের সকালে সূর্য মিটমিট করে আলো ছড়ানোর আগেই দেখা মেলে রস জ্বালিয়ে গুড় তৈরির দৃশ্য। খেজুরের রস আহরণ শেষে হাঁড়িতে সংগৃহীত রস নিয়ে বড় চুলার কাছে ছুটে আসেন গাছিরা। এরপর টিনের বড় পাত্রে রস ঢেলে জ্বাল দিয়ে শুরু হয় গুড় তৈরির প্রক্রিয়া। আস্তে আস্তে এসব রস শুকিয়ে আড়াই থেকে তিন ঘণ্টার ব্যবধানে জ্বালানোর ফলে তৈরি হয় লাল গুড়।
গাছিরা জানায়, প্রতিদিন বিকাল থেকে সন্ধ্যার মধ্যেই খেজুর গাছের সাদা অংশ পরিষ্কার করে ছোট-বড় মাটির কলস বেঁধে রাখা হয় রসের জন্য। এরপর ভোর থেকেই ওইসব গাছ থেকে রস সংগ্রহ করা হয়। সকালের দিকে কেউবা রস কিনে নিয়ে যায়। আবার এই রস দিয়ে পাটালি ও লালি গুড় তৈরি করে বিক্রি করে থাকেন তারা।
জানা গেছে, কুষ্টিয়ার সদর, দৌলতপুর এবং মিরপুর উপজেলার গ্রামগুলোতে খেজুর গাছের সংখ্য বেশি। এসব খেজুর গাছ থেকে রস আহরণ ও গুড় তৈরি করে লাভবান হচ্ছেন গাছিরা। আবার বাড়তি লাভের আশায় এসব এলাকায় আসছেন অন্য জেলার গাছিরাও। খেজুর গুড় তৈরির পেশায় এখন বাড়তি আয়ে খুশি তারা।
এ সময় প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় এক গাছির। তিনি কুষ্টিয়া শহর বাইপাস সড়কের ধারে প্রায় দুইশ খেজুর গাছ লিজ নিয়েছেন। স্থানীয় এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকায় শীতের ৪ মাসের জন্য খেজুর গাছগুলো লিজ নেওয়া হয়েছে। এসব গাছ থেকে ৪ জন মিলে প্রতিদিন রস সংগ্রহ করে গুড় তৈরি করেন। এছাড়াও খেজুরের রসও বিক্রি করা হয়।
তিনি আরও বলেন, প্রায় বিশ বছর ধরে এভাবে খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করি। এরপর এসব রস দিয়ে পাটালি ও লালি গুড় তৈরি করি।
রাজশাহীর বাঘা থেকে আসা দুলাল জানান, এবছর কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ এলাকায় আড়াইশ গাছ লিজ নিয়ে খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করে গুড় তৈরি করে থাকে। তবে তার উৎপাদিত এই গুড় বিক্রিতে কোন ঝামেলা নেই। সকালের দিকে ক্রেতারা এসে নগদ টাকা দিয়ে কিনে নিয়ে যায়।
তবে তিনি অভিযোগ করে বলেন, এলাকার কিছু খারাপ মানুষ থাকে তারা রাতের আঁধারে রস খেয়ে আবার হাড়ি ভেঙে ফেলে রাখে। এতে করে আমাদের বছরে এক থেকে দেড়শ হাড়ি আবার নতুন করে কিনতে হয়।
নাটোরর সিংড়া থেকে আসা আলাউদ্দিন নামে আরেক গাছি জানান, শীত মৌসুমের শুরু থেকেই খেজুর গাছের রস সংগ্রহ করা হয়। শীতের প্রায় চার মাস রস সংগ্রহ করা যায়। এই রস থেকে বিভিন্ন রকমের পাটালি ও লালি গুড় তৈরি করে বাজারে বিক্রি করে আমরা সংসার চালাই। তিনি আরও বলেন, শীতের পিঠা ও পায়েসের জন্য খেজুরের রস ও গুড়ের বাড়তি চাহিদা রয়েছে।
স্থানীয় খেজুর রস ক্রেতা শিমুল জানান, শীতের সকালে গাছ থেকে নামানো কাঁচা রসের স্বাদ বর্ণনা করা সম্ভব নয়। এছাড়াও জ্বাল দেওয়া রসের তৈরি বিভিন্ন সুস্বাদু খাবার অতুলনীয়। এখান থেকে রস কিনে বোতলে করে বাড়ির জন্য নিয়ে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
সাইদুল নামে একজন জানান, খাঁটি গুড় পাওয়ার আশায় এখানে আসলাম। ভোরে খেজুরের রস খেয়েছি। আবার বসে থেকে রস জ্বালিয়ে গুড় তৈরি করে কিনে নিলাম। আসলে বর্তমানে ভেজালের কারনে খাঁটি জিনিসের প্রাপ্যতা একটু মুশকিল হয়ে গেছে। তাই এখানে এসে গুড় কিনতে পেরে ভালো লাগছে।
অনলাইনে খেজুরের খাঁটি গুড় বিক্রি করেন কৃষকের বন্ধু এসএম জামাল। তিনি জানান, খেজুরের বহুল ব্যবহার নিয়ে বর্ণনার শেষ নেই। রস দিয়ে নানা রকম পিঠা, পায়েস, গুড়, কুটির শিল্প, আয় ও কর্মসংস্থান হয়। সার্বিক বিবেচনায় খেজুর সমধিক গুরুত্ববহ একটি প্রজাতি। মানুষ খেজুরের খাঁটি গুড় পেতে চাই। কিন্তু অনেক সময় দুস্কর হয়ে পড়ে। তবে আমি ভোর থেকে গাছিদের রস সংগ্রহ করার পরতা জ্বালিয়ে তৈরি করা গুড় বিভিন্ন ভোক্তাদের কাছে পাঠিয়ে থাকি।
কুষ্টিয়ার পরিবেশবিদ গৌতম কুমার বলেন, খেজুর পরিবেশবান্ধব, স্থানসাশ্রয়ী একটি বৃক্ষ প্রজাতি। এ প্রজাতি দুর্যোগ প্রতিরোধী বিরূপ প্রাকৃতিক পরিবেশেও টিকে থাকতে পারে। খেজুর রস ও গুড় বিক্রি করে খামারির আর্থিক লাভ ও স্বাবলম্বী হওয়ার দৃষ্টান্ত বেশ সুপ্রাচীন। গ্রামীণ অর্থনীতি এবং মৌসুমি কর্মসংস্থানে খেজুর গাছের অগ্রণী ভূমিকা রয়েছে। বিশেষ করে শীতকালে বাংলাদেশের সর্বত্রই খেজুর রস, খেজুর গুড় দারিদ্র্য বিমোচনসহ বাঙালি সংস্কৃতিতে রসঘন আমেজ লক্ষ্য করা যায়। বাংলাদেশের মাটি ও কোমল প্রকৃতি খেজুর গাছ বেড়ে ওঠার জন্য বেশ উপযোগী। রাস্তা, বাঁধ, পুকুর পাড়, খেতের আইল এবং আবাদি জমিতে এ বৃক্ষ বেশ ভালো জন্মে।
সারাদেশের মহানগর, জেলা সদর ও উপজেলা পর্যায়ে সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রথম থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য আজ মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) থেকে ভর্তির ডিজিটাল লটারী শুরু হচ্ছে।
রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত হবে এ-সংক্রান্ত লটারি।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) এক চিঠিতে জানিয়েছে, ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠান মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত হবে। ডিজিটাল লটারি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর প্রতিষ্ঠান প্রধান/অভিভাবক/শিক্ষার্থী লিংক থেকে তাদের নির্ধারিত আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে ফলাফল ডাউনলোড করতে পারবেন। ডাউনলোড করা ফল প্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে প্রতিষ্ঠান প্রধান সংশ্লিষ্ট জেলা ও উপজেলা ভর্তি কমিটির সভাপতি বরাবর ই-মেইলে প্রেরণ করে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরকে অবহিত করবেন।
উল্লেখ্য, গত ১২ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত অনলাইনে স্কুলে ভর্তির আবেদন করার সুযোগ পেয়েছিল শিক্ষার্থীরা। এ সময়ে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে মোট ৯ লাখ ৮৩ হাজার ৫৩৯ জন শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন করেছে।
সরকারি স্কুলে ভর্তির জন্য আবেদন করেছেন ৬ লাখ ৩৫ হাজার ৭২ জন শিক্ষার্থী। আর বেসরকারি স্কুলে ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৪৬৭টি।
ভর্তি কমিটি জানিয়েছে, ৬৮০টি সরকারি স্কুলে ১ লাখ ৮ হাজার ৭১৬টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ৬ লাখ ৩৫ হাজার ৭২ জন। সরকারিতে স্কুল আবেদনকারীরা পছন্দ দিয়েছে ৯ লাখ ৬৪ হাজার ৮৫০টি।
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়াতে অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খেয়ে স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে স্বামী। ঘটনার পরপরই নিহতের স্বজনেরা ঘাতক স্বামী নাহিদকে আটক করে।
নিহত গৃহবধূর নাম রিনা আক্তার (২২)। তিনি উপজেলার সোনাদিয়া ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম মাইজচরা গ্রামের কনস্টেবলের বাড়ির নাদু মিয়ার মেয়ে।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার সোনাদিয়া ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম মাইজচরা গ্রামের কনস্টেবলের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
আটক মো.নাহিদ হোসেন (২৬) খুলনা জেলার রাজাপুর গ্রামের মৃত খলিল মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় একজন ফার্নিচার মিস্ত্রি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৪ বছর আগে নাহিদ রিনাকে বিয়ে করে। এরপর প্রায় স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে আসা যাওয়া করতেন। গত ১০-১৫ দিন আগে নাহিদ সস্ত্রীক একমাত্র ছেলেকে নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে আসেন। সোমবার সন্ধ্যার দিকে তিনি শ্বশুর বাড়িতে থেকে স্থানীয় চরচেঙ্গা বাজারে যান। সেখানে তিনি একটি ফার্মেসি দোকান থেকে বেশ কয়েকটি ডিসিপিন-২ নামে ঘুমের ওষুধ কিনে সেবন করে। একপর্যায়ে নেশাগ্রস্থ অবস্থায় রাত ৯টার দিকে বাড়িতে ফিরেন। পরবর্তীতে নেশা করা নিয়ে স্ত্রী রিনার সাথে তার বাগবিতন্ডা ও মারামারি হয়। এ নিয়ে রানা উত্তোজিত হয়ে স্ত্রীর বুকে ছুরিকাঘাত করে। এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.মনিরুজ্জামান বলেন, অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খেয়ে নেশাগ্রস্থ হয়ে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে স্ত্রীকে হত্যা করেছে ওই যুবক। তাৎক্ষণিক নিহতের স্বজনেরা অভিযুক্ত স্বামীকে আটক করে। ঘটনাস্থল থেকে আটক স্বামীকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে।