বায়ুদূষণের ৩০ শতাংশ আসে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে: পরিবেশ উপদেষ্টা

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

বায়ুদূষণের ৩০ শতাংশ আসে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে উল্লেখ করে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান পরিবেশ উপদেষ্টা বলেছেন, বাকি ২৮ শতাংশ আসে পাওয়ারপ্ল্যান্ট থেকে। নির্মাণ কাজ, শিল্প দূষণ থেকে আসে ১৩ শতাংশ। এই সমস্ত কিছু আমাদের নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, বায়ুদূষণ রোধে আমরা একটা টাস্কফোর্স গঠন করে দিয়েছি। তারা ১৪টি গ্রুপে ভাগ হয়ে আগামী শনিবার নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, সাভার এবং ঢাকায় অভিযান পরিচালনা করবে। 

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর পুরাতন এলিফ্যান্ট রোড বিআইআইএসএস এ আয়োজিত গ্লোবাল ক্লাইমেট নেগোসিয়েশনস চ্যালেঞ্জেস এন্ড প্রায়োরিটিজ ফর বাংলাদেশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, টাস্কফোর্স নির্মাণ কাজ নিয়ন্ত্রণ করবে, দূষণকারী যারা আছে তাদের নিয়ন্ত্রণ করবেন। অবৈধ ইটভাটা ভেঙে দিবেন। পানি ছিটানোর ব্যবস্থা করবেন। এই কাজগুলোর ফলে জনদূর্ভোগ কিছুটা কমবে কিন্তু বায়ুদূষণ রাতারাতি ঠিক হবে না।

তিনি বলেন, আমি প্ল্যান শুনতে শুনতে ক্লান্ত হয়ে গেছি। আমি মন্ত্রণালয়ে আসলেই বলে একটা প্ল্যান করতে হবে, ওয়ার্কশপ করতে হবে, প্রজেক্ট করতে হবে। এই প্ল্যানগুলো বাস্তবায়নের তেমন কোন উদ্যোগ দেখি না। আসলে মন্ত্রণালয় টেকনিক্যাল কাজগুলো করবে। মন্ত্রণালয়ের কাজ মাঠে গিয়ে গাছ লাগানো না, মৎস্য চাষ করা না। কিন্তু কথা হচ্ছে, আমি মন্ত্রণালয়কে এক্টিভিজমের জায়গায় দেখতে চাই। পরিবেশ মন্ত্রণালয় ব্যুরোক্রেটিক হলে চলবে না। এক্টিভিজমে যেতে হবে। তাকে দেখাতে হবে সে মাঠে আছে। এইবার চাই বাস্তবায়নের দিকে যেতে।

উপদেষ্টা বলেন, জনস্বাস্থ্যের যে অবস্থা বায়ুদূষণের কারণে ইটভাটা পোড়ানো কিছুদিন বন্ধ রাখা উচিৎ। স্টিল মিলের কার্যক্রম কিছুদিন বন্ধ রাখা উচিৎ। পাওয়ারপ্ল্যানটগুলো স্ট্রিক্ট মনিটরিংয়ে আনা উচিত। একই সাথে যত আমাদের উম্মুক্ত জায়গা আছে রাস্তাগুলোতে সেগুলো কিছু না হউক ঘাস দিয়ে তো ঢেকে ফেলা সম্ভব। এই রকম বায়ুদূষণের সময় পান্থপথের গাছগুলো কেটে উজার করে ফেললাম, আমরা কোথায় সবুজ করবো তা না করে সবুজকে আরও খয়েরি করে ফেললাম।

আমরা সব কিছু ধ্বংস করে দিয়ে নতুন করে শুরু করতে হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঢাকা শহরের ২১টা খাল আমরা চিহ্নিত করেছি। কর্মপরিকল্পনা প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গেছে। ঢাকা শহরের খালগুলো পুনঃখনন করলাম, অবৈধ দখল মুক্ত করলাম, সব করলাম, সব কিছু সময় মতো করে ফেললাম। কিন্তু আপনি হাতিরঝিলের পাশ দিয়ে আপনি হাটতে চান না? কেন চান না? কারণ গন্ধ আসে আপনার নাকে। ৫৩ বছরে যে সমস্যার সমাধান হয়নি আমি চার মাসে সেটা কেমন করে, করে ফেলবো? কিন্তু কাজটা আমাদের করতে হবে।