রাজবাড়ীর সদর উপজেলার গোয়ালন্দ মোড় ও বসন্তপুর বাজারের দু’টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করেছে বিশেষ টাস্কফোর্স দলের সদস্যরা। এসময় দুই প্রতিষ্ঠানকে ৭ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর রাজবাড়ী জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক কাজী রকিবুল হাসান।
বিজ্ঞাপন
জানা গেছে, ‘বিশেষ টাস্কফোর্স’ কমিটির সংশ্লিষ্ট সদস্যদের অংশগ্রহণে বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) অভিযান চালিয়ে গোয়ালন্দ মোড়ের হেলথ ফার্মাকে প্রতিশ্রুত পণ্য যথাযথভাবে বিক্রি বা সরবরাহ না করার অপরাধে ২ হাজার টাকা ও বসন্তপুর বাজারের বাবু মিষ্টান্ন ভান্ডারকে খাদ্য পণ্যে নিষিদ্ধ দ্রব্যের মিশ্রণ করা এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য পণ্য উৎপাদন ও সংরক্ষণ করার অপরাধে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
অভিযানে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক কাজী রকিবুল হাসান, জেলা নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক সূর্য কুমার প্রামাণিক এবং এএসআই মো. আবু জাফর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক কাজী রকিবুল হাসান বলেন, জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বাংলাদেশের অর্থনীতির চিত্র খুব একটা আশাব্যঞ্জক নয় বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। দীর্ঘদিনেও নিয়ন্ত্রণে আসছে না মূল্যস্ফীতি, যা আইএমএফের ধারণার চেয়েও অনেক বেশি।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশে সফররত সংস্থাটির প্রতিনিধি দলের প্রধান ক্রিস পাপাজর্জিও একথা বলেন।
বাংলাদেশের বাজারে অব্যাহতভাবে খাদ্যমূল্য বৃদ্ধিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। এজন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে দ্রব্যমূল্য কমাতে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি।
রিজার্ভের অবস্থাও চাপের মুখে রয়েছে বলে মনে করেন ক্রিস পাপাজর্জি। তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতির চাপে বাংলাদেশের অর্থনীতি। এজন্য প্রবৃদ্ধি কমবে। রাজস্ব আদায়ও কমেছে।
নতুন টাকা ছাপিয়ে বাজারে ছাড়াতেও আইএমএফ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তবে সংস্থাটি বিশ্বাস করে, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেছেন তারা যে টাকাটা নতুন করে বাজারে ছেড়েছে সেটা তারা দ্রুত বাজার থেকে তুলেও নেবে। তবে সেটা যদি না করে তাহলে মূল্যস্ফীতি আরো বাড়বে, যা দেশের সাধারণ মানুষের ভোগান্তি আরও বাড়াবে।
চতুর্থ কিস্তির সাড়ে ৬৪ কোটি ডলার বাংলাদেশ ফ্রেব্রুয়ারির শেষে পাবে জানিয়ে ক্রিস পাপাজর্জিও বলেন, একই পরিমাণ অর্থ পাবে পঞ্চম কিস্তিতে। সেই কিস্তির অর্থ ছাড়ের আগে মার্চ বা এপ্রিলে চতুর্থ পর্যালোচনা করবে আইএমএফ।
তিনি বলেন, বন্যা, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের কারণে চলতি অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৩.৮ শতাংশ। তবে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.৭ শতাংশে উন্নীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ চলমান ঋণ কর্মসূচির আকার আরও ৭৫ কোটি মার্কিন ডলার বাড়ানোর জন্য অনুরোধ করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, চলমান ঋণ কর্মসূচির আওতায় চতুর্থ কিস্তিতে বাংলাদেশকে সাড়ে ৬৪ কোটি ডলার দেওয়া হবে।
রিজার্ভ নিয়ে আইএমএফের শর্তপূরণ করেছে বাংলাদেশ। নিট রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৫.৫৮ বিলিয়ন ডলার।
ঘনকুয়াশা ও দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষের কারণে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কের প্রায় ১৩ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট সৃষ্টির ৯ ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল ৮টার পর যান চলাচল স্বাভাবিক হলেও ধীরগতি রয়েছে।
এর আগে গতরাত বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ১২টার দিকে মহাসড়কের টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার ধলাটেংগুর ৭নং ব্রিজ এলাকায় দুই ট্রাকের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এতে করে মহাসড়কের যমুনা সেতু পূর্ব টোলপ্লাজা থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ১৩ থেকে ১৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট সৃষ্টি হয়েছিল। ফলে যাত্রী ও চালকরা চরম ভোগান্তির শিকার হন।
এদিকে, যানজটের কারণে উত্তরাঞ্চল থেকে ছেড়ে আসা যানবাহনগুলো ভূঞাপুর-এলেঙ্গা আঞ্চলিক মহাসড়ক হয়ে চলাচল করছে। এতে এই সড়কেও বিভিন্ন স্থানে থেমে থেমে যানজট সৃষ্টি হয়।
পুলিশ ও যমুনা সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, ঘনকুয়াশার কারণে মহাসড়কের কালিহাতী উপজেলার ধলাটেংগুর ৭নং ব্রিজের কাছে দুই ট্রাকের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে এলেঙ্গা থেকে সেতু পূর্ব সিঙ্গেল লেন থাকায় মুহুর্তে যানজট সৃষ্টি হয়।
ফলে মহাসড়কে গাড়ির চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় বেশ কয়েকবার টোল আদায় বন্ধ হয়ে যায় এবং দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাক দুটি সরাতে অনেকটা সময় লাগে। এর কারণে যানজট সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ ও সেতু কর্তৃপক্ষের সদস্যরা যৌথভাবে ট্রাক সরিয়ে নিলে ধীরে ধীরে যান চলাচল স্বাভাবিক হতে থাকে।
যমুনা সেতু পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আলমগীর আশরাফ জানান, দুই ট্রাকের সংঘর্ষ, ঘনকুয়াশা ও টোল আদায় বন্ধ হওয়ায় মহাসড়কের সেতু পূর্ব থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত যানজট সৃষ্টি হয়েছিল। ট্রাক দুইটি সরানোর পর গাড়ির ধীর গতি থাকলেও বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার পর স্বাভাবিক গতিতে যানবাহন চলাচল করছে।
কুষ্টিয়ায় উৎসবমুখর পরিবেশে শুরু হয়েছে পিঠামেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসব। শিল্পী সমাজ কুষ্টিয়ার আয়োজনে বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে এ মেলার উদ্বোধন করেন জেলা কালচারাল অফিসার সুজন রহমান।
কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমির আঙিনায় বসছে এ মেলা। এতে ৫৫টি স্টল বসছে। যার মধ্যে পিঠাপুলিসহ নকশি কাঁথা, হোমমেড খাবার, ফুচকাসহ নানান ধরনের স্টলের পাশাপাশি শিশুদের জন্য রয়েছে নাগরদোলা। ঐতিহ্যবাহী গরুর গাড়ি, লাঙ্গল, ঢেঁকি, বাকে করে খেজুরের রস আহরণসহ মাটির চুলায় পিঠা তৈরির আয়োজন।
এদিকে উদ্বোধনের প্রথমদিন থেকে বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থীদের ঢল নেমেছে। একই সঙ্গে পিঠা, সাংস্কৃতিক উৎসব ও নানান ধরনের স্টল থাকায় অনেকটা ভিন্ন এ মেলা।
দর্শনার্থী বিপুল হোসেন ও কনক রেজা বলেন, এমন আয়োজন আমাদের অনেক ভালো লেগেছে। বাঙালির ঐতিহ্য পিঠা-পুলির সমারোহ দেখতে ভালো লাগছে। এরমধ্যে আমাদের ঐতিহ্য পুনরুদ্ধার হবে। আমরাও নতুন নতুন পিঠার সাথে পরিচিতি হচ্ছি।
মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা গেছে, সারি সারি স্টল। এসব স্টলে বাহারি পিঠার সমারোহ। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য এবং বিলুপ্তপ্রায় পিঠার পসরা সাজানো হয়েছে।
স্টল মালিক আইরা কিচেনের মালিক নারী উদ্যোক্তা এমএস ইমা খাতুন বলেন, আমাদের স্টলে সব ধরনের পিঠা রয়েছে। তাছাড়াও পুডিং, মোমো, হোমমেড কেক বিক্রি করে থাকি।
প্রথমদিন থেকে বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থী ভিড় জমিয়েছেন। এতে আমরাও বেশ আনন্দিত। বাহারি পিঠার সমারোহ থাকায় আমাদের স্টলে ভিড় রয়েছে, আশা করি আগামীদিন গুলোতে দর্শনার্থীদের আরও ভিড় বাড়বে। মেলায় আগত দর্শনার্থী ও স্টল মালিকদের দাবি প্রতি বছরই যেন এমন আয়োজন করা হয়।
কুমাশ পেজের স্বত্বাধিকারী তাবাসসুম তাসা বলেন, আমরা এখানে হাতে মেহেদি পরিয়ে থাকি। বেশ ভালো সাড়া পাচ্ছি। প্রতিদিন বিশেষ করে বিকেল থেকে রাত অবধি তরুণীদের ভিড় লেগেই থাকে।
দশ টাকায় টিকিট কাটার পর বন্ধু স্বজনের সঙ্গে একটি বড় স্টলে ঢুকেছেন আক্তার হোসেন। তিনি বলেন, এখানে ঢুকে মনে হলো কোনো গ্রামীণ পরিবেশের মধ্যে ঢুকেছি।
আনজুম কিচেনের স্বত্বাধিকারী সাফিনা আনজুম জনী বলেন, কালের বিবর্তনে হারাতে বসেছে বাংলার চিরায়ত ঐতিহ্য। সেই ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে শিল্পী সমাজ কুষ্টিয়ার আয়োজন কিছুটা হলেও ভূমিকা রাখবে। নতুন প্রজন্ম এই মেলার মাধ্যমে নানা রাকমের পিঠা-পুলির সঙ্গে পরিচিত হবে।
শিল্পী সমাজ কুষ্টিয়ার সভাপতি জাহিদ হাসান বলেন, বাঙালির ঐতিহ্য পিঠা-পুলির সংস্কৃতিকে পুনর্জ্জীবিত করতে এমন আয়োজন। এখানে নানান ধরনের স্টল এবং পিঠার স্টল ভিন্নতা পেয়েছে। আমরা আমাদের সংস্কৃতি ধরে রাখতে এ আয়োজন করেছি।
৫ দিনব্যাপী এ আয়োজনে জেলার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন পরিবেশন করবেন। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে এ মেলা। ২১ ডিসেম্বর এ আয়োজনের সমাপ্তি ঘটবে।
বাংলাদেশে নতুন করে অন্তত ৮০ হাজার রোহিঙ্গা প্রবেশ করেছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল মিসরের কায়রোয় মালয়েশিয়ার হায়ার এডুকেশন মন্ত্রী ড. জামব্রি আবদুল কাদিরের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা জানান।
ড. ইউনূস বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সহিংসতার কারণে গত কয়েক মাসে ৮০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এ সময় তিনি রাখাইনের বাস্তুচ্যুত মানুষের জন্য জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে একটি নিরাপদ অঞ্চল প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান।
ড. ইউনূস কায়রোয় ডি-৮ সম্মেলনে যোগ দিতে অবস্থান করছেন এবং বৈঠকটি ছিল তাঁর সম্মেলন সফরের অংশ। এ বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। এর মধ্যে ছিল মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মীদের নিয়োগ, উচ্চশিক্ষায় সহযোগিতা, রোহিঙ্গা সংকট এবং আসিয়ানে বাংলাদেশের সম্ভাব্য যোগদানবিষয়ক আলোচনা।
এ সময় ড. জামব্রি আবদুল কাদির বলেন, রোহিঙ্গা সংকটসহ অন্যান্য বিষয়ে কুয়ালালামপুর বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবে। তিনি আরও বলেন, আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের দিকে তাকিয়ে আছি।
এদিকে, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, সংঘাত, আঞ্চলিক নিরাপত্তা, রোহিঙ্গা সমস্যা সব সময় ওয়াশিংটনের অগ্রাধিকারের তালিকায় আছে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের সঙ্গে সব সময় কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, বাংলাদেশের সরকার এবং জনগণ সবসময় রোহিঙ্গা ইস্যুতে উদারতা দেখিয়েছে। মিয়ানমার থেকে পালিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে। আমরা রোহিঙ্গা এবং অন্যান্য অরক্ষিত সম্প্রদায়কে সমর্থনে সবসময় বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করব।
বিবিসি বাংলায় ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪-এ প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে এখন রোহিঙ্গার সংখ্যা ১২ লাখেরও বেশি। এর মধ্যে আট লাখ রোহিঙ্গা ঢুকেছে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে পরবর্তী কয়েকমাসে। তবে বাস্তবে এ সংখ্যা আরও অনেক বেশি বলে দাবি স্থানীয় সূত্রগুলো।
মিশর সফরে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনুস নতুন করে রোহিঙ্গা শরণার্থী অনুপ্রবেশের যে তথ্য তুলে ধরলেন তা যোগ করলে এ সংখ্যা আরও বাড়বে। সর্বোপরি মিয়ানমারের চলমান সংঘাতময় পরিস্থিতি যে রোহিঙ্গা শরণার্থী অনুপ্রবেশের ঝুঁকি অনেকগুণ বাড়িয়ে তুলছে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।