পরিচ্ছন্নতা কর্মী নেন পাসপোর্টের আবেদন, দুদকের হানা

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

সেবাপ্রার্থীদেরকে হয়রানিসহ বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) । অভিযান চলাকালীন পরিচ্ছন্নতা কর্মী বাবর উল আলম পাসপোর্টের আবেদন জমা নেওয়ার দ্বায়িত্ব পালনের তথ্য উঠে আসে। একই সময় পাসপোর্ট অফিসের দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যরা ও কয়েকজন কর্মকর্তা সেবা গ্রহিতাদের অহেতুক হয়রানি সহ অশোভন আচরণের সত্যতা মিলেছে।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে দুদক চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আজগর হোসেনের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আজগর হোসেন বলেন, একজন সেবাগ্রহীতা অভিযোগ করেছেন, লক্ষ্মীপুর পাসপোর্ট অফিসে পাসপোর্ট করতে দালালের মাধ্যমে না আসলে হয়রানির শিকার হতে হয়। পাসপোর্ট পেতেও লম্বা সময় অপেক্ষা করতে হয়। ওই গ্রাহক দুদকের প্রধান কার্যালয়ে অভিযোগ করেন। প্রধান কার্যালয়ের অনুমতিক্রমে আমরা লক্ষ্মীপুর পাসপোর্ট অফিসে অভিযান পরিচালনা করি।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, অভিযানের সময় অফিস চত্বরের ভেতরে দালালের উপস্থিতি পাইনি। তবে আমরা প্রাথমিকভাবে দেখতে পেয়েছি সেবাগ্রহিতারা খারাপ ব্যবহারের শিকার হচ্ছেন। এ বিষয়ে সহকারী পরিচালককে দেখার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কোন দালালের মাধ্যমে সেবাগ্রহীতাদের যেন আসতে না হয়, এখানে এসে যেন কেউ বলতে না পারে যে আমরা মাধ্যম হয়ে এসেছি, এ ধরনের একটি নির্দেশনা দিয়েছি। অভিযোগ রয়েছে দালালের মাধ্যমে যে-সব আবেদন করা হয় তাতে সুনির্দিষ্ট কিছু চিহ্ন থাকে। কিন্তু আমরা বেশ কিছু আবেদন যাচাই করে তা পাইনি। তবে দুই একটা নোট পেয়েছি। তা নিয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে ডিএসবি প্রতিবেদনের জন্য আবেদনগুলোতে নোট রাখা হয়েছে।

পরিচ্ছন্নতা কর্মীর বিষয়ে দুদকের সহকারী পরিচালক বলেন, অফিসের আদেশ অনুযায়ী পরিচ্ছন্নতা কর্মী বাবর পাসপোর্ট আবেদনগুলো যাচাইয়ের কাজ করছেন। আমাদের ডকুমেন্ট দেখানো হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক একেএম আবু সাঈদ বলেন, দুদকের এটি নিয়মিত অভিযান। তারা আমাদের কাছে তথ্য জানতে চেয়েছেন। আমরা কীভাবে কাজ করছি তা বলাও আমাদের দায়িত্ব। আমরা তাদেরকে সবকিছু বলেছি। তারা আমাদেরকে বলেছেন সেবাগ্রহীতারা যেন হয়রানি না হয়, এজন্য আমাদেরকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে। আবেদনের কোনো কাগজপত্র ভুল থাকলে তা আমরা লিখে দিই।
আবেদনকারীকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। লোকের স্বল্পতা থাকায় পরিচ্ছন্নতা কর্মীকে দিয়ে বাড়তি কাজ করানো হয়। কাজটি জটিল না হওয়ায় তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।