ফরিদপুরে ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত জিন্নাতও চলে গেলেন
ফরিদপুরের গেরদার কাফুরা রেল ক্রসিংয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় ৫ জন নিহত ও ৩ জন আহতের ঘটনায় জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে থাকা শেখ জিন্নাতও (৫৯) চলে গেলেন।
চারদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাত বারোটার দিকে মহাখালীর বক্ষব্যাধি হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। জিন্নাতের বড় ছেলে শামীম শেখ তার বাবার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জিন্নাত ফরিদপুর সদরের গেরদা ইউনিয়নের কাফুরা এলাকার বাসিন্দা।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দুপুর সোয়া ১২ টার দিকে ফরিদপুরের গেরদা ইউনিয়নে মুন্সীবাজার কাফুরায় রেলক্রসিং এ রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী মধুমতি এক্সপ্রেস এর ধাক্কায় মাইক্রোবাসের ৫ যাত্রী নিহত হন। নিহতরা সবাই নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা ছিলেন। ফরিদপুরে বেড়াতে এসে তারা দুর্ঘটনায় পড়েন। এই ঘটনায় আরো ৩ জন আহত হন। তার মধ্যে গুরুতর আহত হন ফরিদপুরের শেখ জিন্নাত। আশঙ্জকানক অবস্থায় তাকে ফরিদপুর মেডিকেল থেকে ঢাকার মহাখালী বক্ষব্যাধি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল।
দুর্ঘটনার দিন মাইক্রোবাসটিকে বাঁচাতে রাস্তার পাশে থেকে সিগন্যাল দিচ্ছিলেন জিন্নাত। সিগন্যাল লক্ষ্য না করে সড়কে উঠে পরে মাইক্রোবাসটি। এসময় মাইক্রোবাসটি রেলের ধাক্কা খেয়ে দুমড়ে মুচড়ে যায়। গাড়ির সামনের ভাড়ি গ্লাসটি ভেঙে ছুটে গিয়ে জিন্নাতের বুকে আঘাত করে। এতে জিন্নাতের বুকের ৬টি হাড় ভেঙে যায়। গ্লাসের ভাঙা টুকরার আঘাতে ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গুরুতর আহত জিন্নাতের শারারিক অবস্থার অবনতি হলে বুধবার ( ৮ জানুয়ারি) বিকেলে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে তাকে ঢাকা মহাখালী বক্ষব্যাধি হাসাপাতালে পাঠানো হয়েছিল।
জিন্নাতের বড় ছেলে শামীম শেখ জানান, অসুস্থ বাবাকে ঢাকা রেফার্ড করলে প্রথমে বক্ষব্যাধি হাসপাতালে ভর্তি করাতে নেয়নি। তারপর আমাদের ঢাকা মেডিকেলে পাঠালে সেখানে ভর্তি করাতে পারিনি। এরপর দুইদিন একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা করায়। এরমধ্যে বক্ষব্যাধি হাসপাতালে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছিলাম। গতকাল শনিবার রাত দশটার দিকে বক্ষব্যাধি হাসপাতালে সিট পেয়ে বাবাকে ভর্তি করি। রাত বারোটার দিকে বাবার মৃত্যু হয়।
তিনি জানান, এখন থানার ক্লিয়ারেন্সের অপেক্ষায় আছি। ক্লিয়ারেন্স পাওয়ার পর বাবার মরদেহ নিয়ে ফরিদপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হবো।