ছয় মাসে লক্ষ্যমাত্রার বেশি রাজস্ব আয় ভোমরা বন্দরে

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ভোমরা বন্দর

ভোমরা বন্দর

প্রথম ছয় মাসে আমদানি বাণিজ্যে ভোমরা বন্দর থেকে ৬০৪ কোটি ২৫ লাখ টাকার রাজস্ব সংগ্রহ করা হয়েছে। যার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল এক হাজার ৯ কোটি টাকা। সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দেশের অর্থনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি রাজস্ব আহরণ করেছে এই বন্দর।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ অর্থবছরে ভোমরা বন্দরের আমদানি বাণিজ্যে ভারত থেকে এ সময়ে প্রায় ১৩ লাখ ৯৪ হাজার মেট্রিক টন পণ্য এসেছে, যা থেকে উল্লেখযোগ্য রাজস্ব আয় হয়েছে। দেশীয় পণ্য রফতানি করে এ বন্দর থেকে প্রথম ছয় মাসে ১৬ কোটি ২৪ লাখ ৪৩ হাজার টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

আমদানির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য রাজস্ব আয়ের জন্য মাসওয়ারি পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায়, জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিমাসে উল্লেখযোগ্যভাবে রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। জুলাইয়ে আয় হয়েছে ৮৬ কোটি ৭১ লাখ টাকা, আগস্টে ৯৬ কোটি ২০ লাখ টাকা, সেপ্টেম্বরে ৮৯ কোটি ৮৯ লাখ টাকা, অক্টোবরে ১২৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা, নভেম্বরে ১২২ কোটি ১৬ লাখ টাকা এবং ডিসেম্বরে ৮৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা।

অন্যদিকে, রফতানি বাণিজ্যে ধারাবাহিক উন্নতি লক্ষ্য করা গেছে। প্রথম ছয় মাসে দেশীয় পণ্য রফতানি করে রাজস্ব আয় হয়েছে ১৬ কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে জুলাইয়ে আয় হয়েছে ২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, আগস্টে ২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা, সেপ্টেম্বরে ২ কোটি ৭৭ লাখ টাকা, অক্টোবরে ২ কোটি ৪৩ লাখ টাকা, নভেম্বরে ৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা এবং ডিসেম্বরে ২ কোটি ৯৬ লাখ টাকা।

বিজ্ঞাপন

ভোমরা স্থল শুল্ক স্টেশনের ডেপুটি কমিশনার আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে ক্রমবর্ধমান প্রবৃদ্ধির কারণে প্রথম ছয় মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় সম্ভব হয়েছে। আগামী দিনগুলোতে এ ধারা অব্যাহত থাকবে।

ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবু মুছা বলেন, ভোমরা বন্দর দিয়ে বাণিজ্যিক কার্যক্রম বাড়ছে। সঠিক নীতিমালার ফলে রাজস্ব আদায়েও অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে।

সংশ্লিষ্টদের মতে, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং কার্যক্রম আরও গতিশীল হলে ভোমরা বন্দরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ বন্দরের অগ্রগতি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করছে।